যতবারই পড়ি ততবারই মনে হয় যেনো চোখে পানি চলে আসে

১ মিনিট ধৈর্য ধরে পড়ুন


তালহা নামের অর্থ কি,হযরত যায়েদ রাঃ কে ছিলেন,সাহাবীদের জীবনী পর্ব-৪ (জীবন্ত শহীদ হযরত তালহা রা.),হযরত তালহা কিভাবে মারা যান?,তালহা সম্পর্কে নবীজি কি বলেছেন?,জীবন্ত শহীদ কে?,হযরত তালহার কবর কোথায়?তালহাকেযতবারই পড়ি ততবারই মনে হয় যেনো চোখে পানি চলে আসে

জান্নাতের সার্টিফিকেট প্রাপ্ত সাহাবী হযরত তালহা (রা.) প্রতিদিন নবীজির পেছনে ফজরের নামাজ পড়েন। কিন্তু নামাজে সালাম ফিরানোর সাথে সাথে তিনি মসজিদে না বসে তাড়াতাড়ি বাড়ি চলে যান। এভাবে কয়েকদিন চলার পর অন্যান্য সাহাবিরা এটা নিয়ে আলোচনা শুরু করলেন যে প্রতিদিন ফিরিয়েই তালহা চলে যান।

অথচ নবীজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ফজরের পর সূর্য উদয় না পর্যন্ত মসজিদে বসে বয়ান করেন। অন্যান্য সব সাহাবিরা ও রাসূলের কাছে বসে থাকেন। এক পর্যায়ে এই কথা নবীজির কানে পৌঁছালো। নবীজি সাহাবিদের বললেন, আগামীকাল ফজরের নামাজ শেষে তালহা যেন আমার সাথে দেখা করে।


পরের দিন নামাজে আসলে তালহাকে একথা জানিয়ে দেয়া হলো। ফজরের নামাজ শেষ। তালহা বসে আছেন নবীজির সাথে দেখা করার জন্য। একপর্যায়ে নবীজি তালহাকে ডাকলেন, নবীজি অতি মোলায়েম কন্ঠে তালহাকে বললেন, তালহা আমি কি তোমাকে কষ্ট দিয়েছি। আমি কি তোমার হক নষ্ট করেছি।

একথা শুনে তালহা কেঁদে ফেললেন এবং বললেন, হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমার জীবন আপনার জন্য উৎসর্গ হোক। আপনি আমার কোন হক নষ্ট করেননি। নবীজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন তাহলে তালহা! তুমি প্রতিদিন নামাজ শেষে আমার কাছে না বসে চলে যাও কেন?

তালহা কেঁদে কেঁদে বললেন, রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমার এবং আমার স্ত্রীর সতর ঢাকার জন্য একটি মাএ জামা আছে। যেটা পড়ে যখন আমি নামাজ পড়ি। আমার স্ত্রী তখন উলঙ্গ থাকেন। স্ত্রী যখন নামাজ পড়ে আমি তখন উলঙ্গ থাকি। এক্ষেত্রে ফজরের নামাজের সময় একটু অসুবিধা হয়ে যায় ইয়া আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ফজরের নামাজে আসার সময় আমি আমার স্ত্রীকে একটা গুহায় রেখে আসি......!


এমতাবস্থায় আমি যদি নামাজ শেষে এখানে বসে থাকি তাহলে তো আমার স্ত্রীর নামাজটা কাযা হয়ে যাবে। ইয়া আল্লাহর রাসূল, এজন্য আমি নামাজ শেষে দৌড়ে চলে যাই।

তালহার কথা শুনে আল্লাহর রাসূল দরদর করে কাঁদছেন। নবীজির দাঁড়ি বেয়ে বেয়ে চোখের পানি পড়তাছে। সাথে সাথে নবীজি তালহাকে জানিয়ে দিলেন তালহারে নিশ্চয়ই তুমি জান্নাতে যাবে।


আল্লাহু আকবর সুবহানআল্লাহ (মুসনাদে আহমাদ)।

দেখুন একটা মাএ জামা ছিল তালহা (রা:) এবং তার স্ত্রীর তারপর ও আল্লাহর প্রতি কোন অভিযোগ ছিল না। ইবাদতের প্রতি কোনো অযুহাত ছিল না। আর আমাদের কত অভিযোগ কতো অযুহাত আল্লাহর প্রতি। আল্লাহ মাফ করুন।


"যখন একজন মানুষ মারা যায়, তখন তার কাজ শেষ হয়ে যায়, তিনটি ছাড়া: চলমান দান, জ্ঞান যা থেকে উপকৃত হয় এবং একটি ধার্মিক সন্তান যে তার জন্য প্রার্থনা করে।"

হযরত মোহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)



পুরো হাদিসটা পড়ে কি শিক্ষা পেলেন! কমেন্ট করেন।



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ