ভাজা ছোলার উপকারিতা ও অপকারিতা alhadimedia 360


Chhola Bhaji

খাবারের মধ্যে ছোলাকে বেশ পষ্টিকর আহার হিসেবে ধরা হয়. কারণ এর মধ্যে প্রোটিনের মাত্রা বেশ ভালো মাত্রায় হবার সাথে সাথে অন্যান্য নিউট্রিয়ন গুলো এর মধ্যে পাওয়া যায়. কিন্তু এটাও বুঝতে যে কোনো খাবারের ভালো গুণ শরীরে পেতে গেলে সেই খাবারের ভালো দিক আর খারাপ দিকের সাথে জানতে হবে সেই খাবারের সঠিক সময় আর সঠিকভাবে খাবার নিয়ম কে. ছোলা খাবার ভালো দিক কি কি রয়েছে আর কি কি খারাপ দিক রয়েছে. আর একদিনে কতটুকু ছোলা খাওয়া উচিত. 

ছোলা খাবার সঠিক সময়. মানে সকাল বিকাল না সন্ধ্যেতে? আর ছোলাকে পানি দিয়ে কাঁচা অঙ্কুর বের করে নাকি সেদ্ধ করে খাওয়া উচিত, আর ওজন বাড়ানো এবং ওজন কমানো ব্যক্তিরা, কিভাবে এটাকে তাদের diet এ নেবে? ছোলা খাবার কি কি ভালো আর খারাপ দিক রয়েছে. ছোলাতে সবথেকে বেশি মাত্রায় কার্বোহাইড্রেট এবং প্রোটিন পাওয়া যায়. আর তাছাড়া ভিটামিন বি নাইন, মানে ফলিক অ্যাসিড, ম্যান আয়রন, পটাশিয়াম, কপার, জিঙ্ক. আর অন্যান্য ভিটামিন অ্যান্ড মিনারেলস অনেক মাত্রায় পাওয়া যায়. 

আর সবচেয়ে ভালো কথা ছোলাতে ফাইবারের মাত্রা কিন্তু বেশ রয়েছে. যেটা কার্ব কে রেগুলেট করার সাথে সাথে কোষ্ঠকাঠিন্যকে দূর করে পাচন কিয়াকে আরো ভালো করে কাজ করার জন্য সাহায্য করে কারণ যে কোনো ব্যক্তির কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার একমাত্র কারণ হলো তার খাবারে য়ার ঠিক মতো না থাকা. কিন্তু ছোলাতে ফাইবার বেশ পরিমাণ রয়েছে. আবার আমাদের শরীরে ব্যাট কোলেস্টেরলকে কমিয়ে ব্লাড প্রেসার আর ব্লাড সুগারের মাত্রাটাকেও কিন্তু নিয়ন্ত্রণ করে. 

সাথে এর মধ্যে থাকা হাই কোয়ালিটি পোর্ ওজন বাড়ানো এবং ওজন কমানো দুটোতেই অনেক সাহায্য করে থাকে. কিন্তু তার জন্য জরুরি এই ছোলা কে সঠিকভাবে ব্যবহার করা. ছোলা কাঁচা ভাজা আনা অঙ্কুরিত করে খাওয়া ভালো বন্ধুরা এটা বুঝতে হবে ছোলা কে আলাদা আলাদা ভাবে খেলে তার effect ও কিন্তু আলাদা আলাদা ভাবেই আমাদের শরীরে পরবে আর আপনার কাছে যদি তথ্য না থাকে তবে এটা খেয়েও আপনি কিন্তু সমস্যায় পড়তে পারেন. 



পানি ভেজানো চোলাতে পষ্টিক তত্ত্বের মাত্রা অনেক বেশি হয়ে থাকে. কিন্তু এটা হজম হতে একটু সময় লাগে. কারণ কাঁচা ছোলার ভেতরে থাকা য়বারকে ভাঙতে আমাদের পাচনতন্ত্রের বেশ বেগ পেতে হয়. এই জন্য যদি আপনি কাঁচা ঝোলা খেয়ে থাকেন তবে সব সময় তাকে ভালো করে চাবিয়ে খান. আর অল্প মাত্রায় ব্যবহার করুন. কিন্তু ছোলাকে অঙ্কুরিত এর গুণ কিন্তু আরো বেড়ে যায়. কারণ অঙ্কুরিত ছোলার মধ্যে এনজাইম, প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেলস আর ফাইবারের মাত্রা অনেক মাত্রায় বেড়ে থাকে.

 আর এখানে বোঝার মতো বিষয় হলো ছোলা কিন্তু কমপ্লিট সোর্স অফ প্রোটিন নয়. কারণ এতে মেথরিন নামের অ্যামিনো অ্যাসিড মিসিং থাকে. কিন্তু ছোলা অঙ্কুরিত হবার পর এর মধ্যে অ্যামিনো অ্যাসিডের মাত্রাও ফুলফিল হয়ে যায়. যার ফলে অঙ্কুরিত ছোলা complete, protein food এ পরিণত হয়. কিন্তু এটা মাথায় রাখবেন. অঙ্কুরিত ছোলার এত ভালো দিক থাকা সত্ত্বেও এরমধ্যে খারাপ দিক রয়েছে. যা হল এর মধ্যে থাকা ব্যাকটেরিয়া.

 ভেজাছোলাকে অনেক সময় রাখার জন্য এর মধ্যে কিছু ব্যাকটেরিয়া grow হওয়ার চান্সও বেড়ে যায়. এইজন্য বাচ্চা বয়স্ক এবং গর্ভবতী মহিলাদের অঙ্গ ছোলা কাঁচা মানে জলে ভেজানো অঙ্কুরিত ছোলা ব্যবহার করা একদম উচিত নয়. কারণ তাদের ইমিউনিটি পাওয়ার খুব কম হয়. যার ফলে ওই ঝোলাতে থাকা ব্যাকটেরিয়া শরীরের ক্ষতি করতে পারে. কিন্তু সে তাই ছোলা কে অল্প মাত্রায় সেদ্ধ করে বা ভেজে খাওয়া যেতেই পারে. হ্যাঁ তবে এর ফলে ওই ভাজা চোলাই ভিটামিন এবং মিনারেলস এর মাত্রা তো কমে যায়.

 কিন্তু এটা খাওয়া সেফ এবং এটা হজমও তাড়াতাড়ি হবে এখন বলি ছোলা কখন খেতে হবে? মানে এটা খাবার সঠিক সময়. বন্ধুরা সেদ্ধ ছোলার ব্যবহার সারাদিনে যেকোনো সময় করা যেতে পারে. তবে সব থেকে ভালো সকালের খাবারে এটা খাওয়া. কিন্তু জলে ভেজা ছোলা সকালে খালি পেটে ব্যবহার করাই ভালো আর এটা খাবার পর অন্য কিছু খাবার জন্য এক থেকে দেড় ঘন্টা গ্যাপ অবশ্যই নেওয়া উচিত. যাতে ছোলা খাবার ভালো গুণটা পুরো শরীর নিতে পারে. 



 এটা কত টুকু খাওয়া উচিৎ যেকোনো ব্যক্তির এক দিনে কতটুকু ছোলা খাওয়া উচিত সেটা নির্ভর করে সেই ব্যক্তির পাচন আর তার physical activity র ওপর, কিন্তু তবুও যদি আপনি য়ে ভিজিয়ে কাঁচা ছোলা খাচ্ছেন তবে আপনি এক থেকে দু মুঠো ছোলা খেতে পারেন. তার বেশি একদম নয়. আর যখনই আপনি ছোলা খাবেন তখনি এটাকে ভালো করে চিবিয়ে খাবেন. কারণ জলে ভেজানো ছোলা হজম হতে অনেক সময় লাগে তার ফলে এটা বেশি ব্যবহার করলে গ্যাসের সমস্যা এবং পেট ভারী হতে পারে কিন্তু এটাকে সেদ্ধ বা ভেজে আপনি পঞ্চাশ বা ষাট গ্রাম খেতে পারেন 

আর যারা জিম বা এক্সারসাইজ করে থাকেন তাদের জরুরি মত একশো বা দেড়শো গ্রাম তাদের diety নিতে পারেন. কিন্তু এখানেও একটা কথা মাথায় রাখবেন আপনি যখন ছোলা খাচ্ছেন তখন একবারেই একশো বা দেড়শো ছোলা খেয়ে ফেলবেন না. কিছু সময় অন্তর অন্তর গল্প করে দু-তিনবার এটাকে ব্যবহার করুন. এবার আসি ওজন বাড়ানো বা কমানোতে কিভাবে ছোলা আমাদের সাহায্য করতে পারে. বন্ধুরা ছোলাতে ভালো প্রোটিন সোর্স হবার জন্য এটা মাসালকে এবং বাজে চর্বিকে ঝরাতে অনেক সাহায্য করে. 

আর তাছাড়া এতে carbohydrate এর সাথে, fiber মজুত রয়েছে. যার জন্য এটা low glycamic খাবারের মধ্যেও পড়ে যায়. আর যেটা কিন্তু ভালো কথা কারণ লোভ লাইসেমিক খাবার শরীরে ধীরে ধীরে সলভ হয়. যার ফলে এটা রক্তে সুগারের লেভেল এবং শরীরে চর্বির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে. যদি আপনি ওজন কমানোর জন্য ডায়েট করছেন আপনি কুড়ি থেকে পঁচিশ গ্রাম ছোলা রাতে জলে ভিজিয়ে খোলা ছেড়ে দেন. এবং সকালে উঠে সেটাকে ভালো করে চাবিয়ে ফেলুন. কারণ কাঁচা ছোলায় পষ্টিক তত্ত্ব অধিক মাত্রায় থাকে.

সাথে এটা শরীরে ধীরে ধীরে হজম হওয়ার জন্য খিদে অনেক সময়ের জন্য কম করে দেয়. যার জন্য ওজন কমানোতে বেশ সাহায্য হয়ে থাকে. আর যদি আপনার কাঁচা ছোলা হজম হয় না, গ্যাসের সমস্যা করে তবে আপনি কাঁচা ছোলাকে সেদ্ধ করে খান. সাথে যদি আপনি ছোলার test কে inhans করতে চান, তবে তার মধ্যে পেঁয়াজ, টমেটো, ধনেপাতা অল্প পরিমান লবন এবং একটু খানি লেবুর রস দিয়ে নিন. তার ফলে টেস্ট আরো বেড়ে যাবে. আর সাথে পৌষ্টিক তত্ত্বর মাত্রাও কিন্তু বেড়ে থাকবে. 


আর তাছাড়া আপনি যদি চান তবে অল্প মাত্রায় কাঠ খোলাই ভাজা ছোলা সন্ধ্যায় স্ন্যাক্স হিসেবে বা সন্ধ্যার টিফিন হিসেবে ব্যবহার করতেও পারেন. কিন্তু এখানে খেয়াল রাখবেন এরকম ধরনের ভাজা ছোলা কে খোসা শুদ্ধ খাবার. কারণ পুরো ফাইবার এই খোসাতেই থাকে. আর যদি আপনি ওজন বা ডায়েট ফলো করছেন তবে ছোলা সব সময় সেদ্ধ করে খান. যাতে এই ছোলা শরীরে তাড়াতাড়ি হজম হতে পারে. এর জন্য রাতে জলে পঞ্চাশ গ্রাম ছোলাকে ভিজিয়ে রেখে সকালের খাবারে হালকা নুন দিয়ে জলে ফুট নিয়ে এটাকে ব্যবহার করুন. 

দুপুরে পঁচিশ থেকে তিরিশ গ্রাম ভাজা ছোলা অল্প একটু গুড়ের সাথে খেতে পারেন. এবং এটাই আবার সন্ধ্যায় রিপিট করতে পারেন. আর যদিও ওজন বাড়ানো এবং ওজন কমানোতে শুধু ছোলা একা কিছু করতে পারবে না. কেননা এটা পুরোপুরি সেই ব্যক্তি সারাদিনের খাবারের উপর depend করছে আর তার লাইফ স্টাইল এর উপর depend করছে. তো সবাই কে ধন্যবাদ আজ এই পর্যন্ত আল্লাহ হাফেজ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

3 মন্তব্যসমূহ