যে কারণে জাপানিরা সহজে বুড়ো হয় না

 

[1.1]

জাপানের মানুষ অন্যান্য দেশের মানুষের চেয়ে অনেক বেশি বছর বেঁচে থাকতে পারে. এখানকার মানুষের গড় আয়ু, চুরাশি বছর যেখানে বাংলাদেশের গড়া আয়ু হচ্ছে মাত্র বাহাত্তর বছর. এই দেশে বিশ্বের সব বেশি বয়স্ক মানুষ রয়েছে. একশো-তেরো বছর বয়স নিয়ে বিশ্ব রেকর্ড করা massage ও নোনাকা জাপানের নাগরিক. তিনি দুহাজার উনিশ সালে একশো তেরো বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন. তার আগের বছরে একশো সতেরো বেঁচে থাকা নাবি তাজলিমা নামে এই মহিলার মৃত্যু হয়েছিল. 

বর্তমানে বেঁচে থাকা একশো সতেরো বছর বয়সী কেন তারকা এখনো বেঁচে আছেন. কয়েক বছর আগে বীরবন ইউনিভার্সিটির রিসার্জা জাপানের মধ্যে করা গবেষণা বদলে জানতে পারে জাপানে প্রায় পঞ্চাশ হাজার এরকম মানুষ রয়েছে. যাদের বয়স একশো বছরেরও বেশি. এছাড়াও জাপানে সবচেয়ে বেশি সুস্বাস্থ্যের অধিকারী মানুষ দেখা যায়. এই জন্য সবার মনে প্রশ্ন জাগে সুস্থ থাকায় গোপন রহস্য কি?


আরো পড়ুন......পড়াশোনায় দ্রুত Improve করার  সিক্রেট টিপস 

 যেখানে technology ব্যবহার করে আমরা আমাদের স্বাস্থ্যকে বিভিন্ন ধরনের ঝুঁকিতে ফেলছি সেখানে জাপান technology তে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে. কিন্তু তারপরও সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হওয়ার সাথে সাথে তারা অনেক বেশি বছর বেঁচে থাকার ক্ষমতা তাদের মধ্যে কিভাবে রেখেছে তাহলে চলুন  জাপানের মানুষদের এত বছর বেঁচে থাকার রহস্য জেনে আসি. জাপান পরিচ্ছন্ন একটি দেশ. তারা সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে পছন্দ করে. 

গরমের সময় তারা দিনে দুইবার গোসল করে. এখানকার লোকজন নিজেদের শরীরকে বিন্দুমাত্র দুর্গন্ধে শিকার করে না. পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা জন্য জাপান পৃথিবীর সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন একটি দেশ. এদেশের লোকেরা অন্য কোনো দেশে গেলেও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে তারা কখনোই ভোলে না. তারা মনে করে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার ফলে কখনো জীবাণু ছড়ায় না. এবং মানুষ অয শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন ও হয় না. 

আরও পড়ুন : নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও মৌমাছি কেন স্ত্রী মৌমাছির সাথে মিলন করে? 

আর এই জন্যই জাপান স্কুলের ছোটবেলা থেকেই তাদেরকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নর ব্যাপারে অনেক বেশি মনোযোগী করা হয়. কফেন্ট গাইডলাইন্স. জাপানি সরকার সুস্থ রাখার জন্য অনেক ধরনের আইন কানুন প্রণয়ন করেন. সেখানে ছোটবেলা থেকে বাচ্চাদের স্বাস্থ্যকর খাবার সম্পর্কে সবকিছু জানিয়ে দেওয়া হয়. যেন তারা ছোটবেলা থেকেই এই বিষয়ে সতর্ক থাকে. 


বিভিন্ন ধরনের jack food থেকে তারা দূরে থাকে. এছাড়াও জাপানি সরকার দু হাজার আঠারো সালের জানুয়ারি মাসে একটি আইন প্রণয়ন করেছে যেখানে পঁয়তাল্লিশ থেকে চুয়াত্তর বছর বয়সী লোকদের পুরুষদের জন্য কোমরে মাফ হতে হবে তেত্রিশ দশমিক পাঁচ ইঞ্চি. এবং ছোট দের জন্য চৌত্রিশ দশমিক পাঁচ ইঞ্চি অথবা তার কম. যদি তার চেয়ে বেশি হয় তাহলে তাকে ট্যাক্স দিতে হবে. আর এইজন্য জাপানের লোকেরা ট্যাক্সের হাত থেকে বাঁচার জন্য প্রত্যেক দিন থাকার জন্য ব্যায়াম করে.

 রেডিও য়ার্ক আউট. জাপানে এক ধরনের সকালের ব্যাপ রয়েছে. যেটি প্রত্যেকদিন সকালে রেডিওতে টেলিকাস্ট করা হয়. রেডিওতে বলা নির্দেশনা অনুসারে মানুষ ব্যায়াম করে থাকে. এটি এক ধরনের অনুশীলনমূলক ব্যাম. এই ব্যায়াম জাপানীদের জন্য রীতিনীতির মতো. যেটি লোকজন প্রতিদিন মেনে চলে. রেজুও টাইসও শুরু হয়েছিল আমেরিকায়. পরবর্তীতে যে জাপানি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে আর কি জাপানীরা হাসিখুশি থাকতে পরিবার এবং আতে  আত্মীয়স্বজনের সাথে সময় অতিবাহিত করতে পছন্দ করে এবং তারা বেশিরভাগ সময় অতিবাহিত করে বাইরে.

 কারণ জাপানের মানুষজন অনেক বেশি সামাজিক তারা কারোর সাথে দেখা করার জন্য বা বিভিন্ন জায়গায় পছন্দ করে থাকে. হেলথ কেয়ার উনিশশো ষাট সাল থেকে জাপানি একটি ইউনিভার্সের হেলথ কেয়ার রয়েছে. যেটি জাপানের জিডিপির আট ভাগ অক্সিজেনের রয়েছে. লোকজন সাহায্যে স্বাস্থ্য সেবা নিয়ে থাকে. একজন জাপানী বছরে বারো থেকে চোদ্দবার নিজের স্বাস্থ্য check up করানোর জন্য ডাক্তারের কাছে যায়. 

তারা কোন ধরনের রোগ ছাড়াই ডাক্তারের কাছে গিয়ে check up করায়. অন্যদিকে আমরা ততক্ষণ পর্যন্ত ডাক্তারের চাইনা যতক্ষণ না আমরা অনেক বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ি. Transport লাইফ স্টাইল. জাপানে মানুষ কোথাও যাওয়ার জন্য পাবলিক ট্রান্সপোর্ট অথবা সাইকেলে ব্যবহার করে. তাদের কাছে নিজেদের গাড়ি থাকা সত্ত্বেও  সাইকেল ব্যবহার করে এবং ঘন্টার পর ঘন্টা বসে কাজ না করে, দাঁড়িয়ে কাজ করতে, তারা বেশি পছন্দ করেন.

 জাপানে ইস্কুলে বাচ্চাদের সাইকেল চালিয়ে যাওয়ার খুবই সাধারণ ব্যাপার. আর এতে বাচ্চারা খুব সহজে মোটাও হয় না. এটি জাপানিদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়. জাপানীরা বেশি বয়স পর্যন্ত বেঁচে থাকার সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে তাদের খাবার. তাদের খাবারের মধ্যে অধিক পরিমান কার্বোহাইড্রেট এবং খুবই পরিবারে saturated fact থাকে. চাপানি সাপটিক অথবা পানি থেকে প্রাপ্ত খাবার খেয়ে থাকে. জাপানীরা সবসময় লাল মাংস থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করে এবং সামুদ্রিক খাবার খেতে বেশি পছন্দ করে.

জাপান

জাপান বছর পৃথিবীর সব দেশ থেকে রপ্তানি করা মোট দশ ভাগ মাছ তারা একাই খেয়ে ফেলে. আমরা খাবারের পরে ডেসার্ট অথবা মিষ্টি জিনিস খাই. সেখানে জাপানীরা পছন্দ করে ফল খেতে. তারা চিনি জাতীয় খাবার থেকে একটু দূরে থাকতে পছন্দ পরে. তাদের বেশিরভাগ খাবারে ময়দা এবং আটার ব্যবহার অনেক কম. এবং তারা অনেক বেশি শাকসবজি খায়. আর এইজন্য তাদের পেট সম্পর্কিত রোগও খুব কম দেখা যায়.

 তারা রুটি ও পাউরুটির পরিবর্তে ভাত খায়. জাপানে ভাত আমাদের দেশে ভাতের চেয়ে অধিক মাত্রা স্বাস্থ্যকর. এই ভাত থেকে কখনই চর্বি জমা হয় না. eating less. কম খাওয়া বলতে diet কে বোঝানো হয়নি. জাপানি ডিকশনারিতে ডায়েটিং নামে কোন শব্দই নেই. কারণ তারা ডায়েটিং কে হারাহািবু বলে থাকে. এটির প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে তারা খাবার খেয়ে পেটের আশিভাগ অংশ পূর্ণ করে. এই অভ্যেসকে কিছু জাপানীরা শরীর সুস্থ এবং বেশি বয়স পর্যন্ত বেঁচে থাকার কারণ মনে করে. 

এই অভ্যাসের ফলে তারা খুব কম পরিমাণে ক্যালোরি গ্রহণ করে. তাদের এই অভ্যেস দেখে বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে জানতে পেরেছে পেট ভরে খেলে মস্তিষ্ক বিশ মিনিট পরে জানতে পারে. কোন ব্যক্তি যদি পেট ভরে খায় তার মানে হচ্ছে সে প্রয়োজনের খাবারের চেয়ে বেশি ভাগ বেশি খাবার খেয়ে ফেলেছে. যার ফলে পেট ফুলে যায় এবং অনেক ওজন অনুভূত হয়. পেট অনেক বেশি ফুলে যাওয়ার ফলে তারা পরের বার ওই ব্যক্তি বেশি খায় ওয়ে অফ ইটিং, জাপানিরা খাবার খাওয়ার সময় ছোট বাটি এবং চপ মিষ্টিকে ব্যবহার করে. 

যেকোনো ধরনের খাবার হোক না কেন তারা এক বাটিতে এক ধরনের খাবারই রাখে তারা . এমনটা মনে হয় যেন কোন ছোট বাচ্চাকে খাবার দেওয়া হচ্ছে. তারা ছোট বাটি নিজের ইচ্ছে মতোই খাবারের জন্য নিয়ে নেয়. আপনি যদি কখনো চপস্টিক দিয়ে খাবার খেয়ে থাকেন তাহলে জেনে থাকবেন খাবার খাওয়াও কম পরিমাণে খাওয়া হয়. যাতে খেতে অনেক বেশি সময় লাগে. বেশি সময় নিয়ে খাওয়ার ফলে তাদের পেট ভরে গিয়েছে বলে মনে হয়. 


যেমনটা আমি একটু আগে বলেছি আমাদের মস্তিষ্ক এই ব্যাপারে বিষ মিনিট তার মানে হচ্ছে চপস্টিকের ব্যবহার তাদের ফিট থাকার মুখ্য কারণ. এটি অন টাইপ. জাপানের মানুষ নিজেদের খাবারের প্রত্যেক দিনের তালিকা তৈরি করে. তারা সকালে নাস্তা করে আটটা থেকে নয়টার মধ্যে দুপুরের খাবার খায় বারোটা থেকে একটার মধ্যে. রাতের খাবার খায় ছয়টা থেকে সাতটার মধ্যে. এই খাবারে রুটিন তাদেরকে আগে থেকে খাবার তৈরি করার জন্য অনুপ্রাণিত এবং ভালো ভালো খাবার তৈরি করার জন্য সাহায্য করে.

[2.7]

খাবারের রুটিনের ফলে তারা অযথা করে ধরে খাবার খায় না. আপনার যদি খাবারের কোন রুটিন না থাকে, তাহলে সামনে যা পাবেন তাই খেয়ে ফেলতে যাবেন. যেটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য এক একদমই ক্ষতিকর. এরকম রুটিন মাফিক খাবার না খেলে আমাদের শরীরের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের রোগ বালাই বাসা বাঁধবেই. Food as an experience. খাবারের সময় আপনি কি করেন? 

আপনি খাবারের সময় হয় ব্যস্ত থাকেন অথবা খাবারে সবাই টিভি দেখেন. এরকম খাদ্যভোসের ফলে আমাদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়. কারণ আপনি কোন কাজ করার সময় খেলে এটা কখনোই চিন্তা করেন না যে আপনি কি খাচ্ছেন এবং কতটুকু কাটছেন. কিন্তু জাপানি এই ব্যাপারে খুবই সতর্ক. তারা খাবারের সময় কেবলমাত্র খাবারের মধ্যে মনোনিবেশ করেন এবং অন্য কোনো ধরনের কাজ করেন না. জাপানে খাবারকে খুবই সম্মান করা হয়. 


তারা ডাইনিং টেবিলে খাবার খায় এবং খাবারের সময় খুবই মনোযোগ খাবার খায়. কুকিং. তাদের খাবার তৈরি করার পদ্ধতি বাংলাদেশ থেকে অনেক আলাদা. জাপানে তেল যুক্ত খাবার খুবই কম রান্না করা হয়. তারা বেশিরভাগ খাবার সিদ্ধ করে খায়.  খাবারে পুষ্টিগুণ ভাজা খাবারের চেয়ে অনেক বেশি থাকে অল্প তেলে কোন কিছু ভেজে খাওয়া জাপানে অনেক বেশি বানা. এছাড়াও তাদের খাবারে একপ্রকার সুখ অবশ্যই থাকে.

 

তাদের খাবার বাড়ানোর সময় কম তেল বেশি ব্যবহার করা হয়. অন্যদিকে বাংলাদেশে কোন খাবার যত বেশি তেলে ভাজা হয় সেটিকে তত বেশি সুস্বাদু বলে মনে করা হয়. আর এটি আমাদের স্বাস্থ্যের অবনতির. অন্যতম কারণ. Green tea. আপনি কখনো কখনো সুস্থ থাকার জন্য অথবা ওজন কমানোর জন্য গ্রিন টি অবশ্যই পার করে থাকবেন. কিন্তু জাপানি গ্রীন টি এক ধরনের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী. 

এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে থাকে এছাড়াও এটি শরীরে বয়সের ছাপকেও কমিয়ে ফেলে. জাপানীরা দিনে কয়েকবার গ্রিন টি পান করে. এত পরিমান চা খাওয়ার ফলে তাদের শরীরে অধিক পাতে পানি থাকে. ফ্রি হিটের গ্রিন টি আপনি জাপানের ভিন্ন মেশিনে পেয়ে যাবেন. গ্রিন ক্যালোরির পরিমান শূন্য. অন্যদিকে সোরাকারের মধ্যে একশো পঁচিশ ক্যালোরি থাকে. আর আমাদের দেশের মানুষ বৃদ্ধির পরিবর্তে সোডা ক্যান খেয়ে খেয়ে মোটা হয়ে যাচ্ছে. 


জাপানে অধিক পরিমাণে মেশিন থাকে তারপরেও জাপানের লোক রাস্তার মধ্যে snack খাওয়া পছন্দ করে না. তারা সাধারণত তিন বেলা পুষ্টিকর খাবার খায়. যার ফলে তাদের উল্টোপাল্টা ক্ষুধা লাগে না. যদি কেউ স্নাক খায় তাও খুবই কম পরিমাণে. আপনি চাইলে জাপানের মতো দু হাজার একুশ সালের জন্য এরকমই কিছু routine বানিয়ে ফেলতে পারেন.আজকের মতো বিদায় নিচ্ছি ধন্যবাদ. 



• দৃষ্টি আকর্ষ : যদি আপনাদের কাছে আজকের এই পোস্ট ভাল লেগে থাকে তাহলে আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। প্রয়োজনে এ রকম আরো post পেতে আমাদের follow করতে পারেন। 


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

2 মন্তব্যসমূহ