গরম পানি খেলে কি হয় ? alhadimedia 360


 গবেষণা বলছে যারা গরম পানি খান তারা যদি নিয়ম না মেনে সঠিক ভাবে গরম পানি না খান তাহলে তাদের শরীরে ধীরে ধীরে diabetes উচ্চ রক্তচাপ cholesterol piles কোষ্ঠকা কিডনিতে সমস্যা সহ আরো জটিল সব রোগ শরীরে বাসা বাধতে শুরু করবে. এখন শীতকাল আর এই শীতকালে গরম পানি খান না এমন লোক খুব কমই আছে. অনেকেই ভাবে গরম পানি যখন খুশি তখনই খাওয়া যায়. কিন্তু ব্যাপারটা আসলে তা নয়. সবকিছুরই একটা নিয়ম থাকে পরিমাপ থাকে.

 ছোট থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত সবাই এই গরম পানি খাওয়া মাধ্যমে শরীর থেকে বড় বড় রোগ দূর করতে পারবেন. কিন্তু কোন উপায়ে ও কিভাবে গরম পানি খেলে তা আপনার শরীরে উপকার করবে সবকিছুই জানাবো  শরীরে কিভাবে magic এর মত কাজ করবে এই  গরম পানি খেলে কি আসলে এই সব রোগ শরীর থেকে দূর করা সম্ভব? হ্যাঁ বন্ধুরা আপনারা নিয়ম মেনে টানা পনেরো দিন এই উপায়ে যদি গরম পানি খেতে পারেন তাহলে পা থেকে মাথা পর্যন্ত কোন রোগী থাকবে না. 

তো বন্ধুরা, চলুন জেনে নেই, গরম পানি কিভাবে খেলে আপনার শরীর থেকে কোন কোন রোগ কিভাবে দূর হয়? ঘুম থেকে উঠে নাস্তা কড়ার আগে আপনি যদি এক গ্লাস গরম পানি খান তবে এটি আপনার acidity বদহজম অম্বলের মতো একাধিক সমস্যা থেকে আপনাকে সহজেই মুক্তি দিবে. আপনি কি দীর্ঘদিন ধরে কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছেন কোষ্ঠকাঠিনের সমস্যা হলে সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে. এক গ্লাস কুসুম গরম পানি খেলে পেট সহজেই পরিষ্কার হয়ে যাবে.

 এছাড়া কোষ্ঠকাঠিনের সমস্যা থেকে আপনি সহজেই মুক্তি পাবেন. কুসুম গরম পানি খেলে শরীরের ভেতরের তাপমাত্রাটা সামান্য হলেও বৃদ্ধি পায়. এবং ঘাম হয় বেশি. ঘামের সঙ্গে শরীরে জমে থাকা অপ্রয়োজনীয় উপাদান ঘামের সঙ্গে বেরিয়ে যায়. শরীরে অতিরিক্ত চর্বি কমাতে এই কুসুম গরম পানির জুড়ি নেই. গরম পানি খেলে শরীরের metabolic rate বাড়ে. এবং সহজে অনেকটা ক্যালোরি ফোরে. গরম পানি খাওয়ার চাহিদা কমিয়ে ওজন কমাতেও আপনাকে সাহায্য করবে.


প্রতিদিন সকালে খালি পেটে হালকা গরম পানির সঙ্গে পাতিলেবুর রস মিশিয়ে খেতে করলে মেদ ঝরবে দ্রুত. প্রতিদিন সকালে খালি পেটে, গরম পানি খেলে শরীরের টক্সিক উপাদান গুলি সহজেই বাইরে বেরিয়ে যাবে. ও শরীরের তাপমাত্রা বাড়বে. আর শরীরে মাত্রা বাড়লে শিরা ধমনীতে রক্ত চলাচলের গতিও স্বাভাবিক থাকবে দীর্ঘদিন ধরে যারা বাতের ব্যথায় ভুগছেন তারা খেতে পারেন এই গরম পানি. গরম পানির সঙ্গে শরীরে জমে থাকা অপ্রয়োজনীয় উপাদান ঘামের সঙ্গে বাইরে বেরিয়ে যাবে. 

ফলে ব্যথা ক্রমশ কমে আসবে. একজন মানুষের প্রতিদিন চাহিদা কতটুকু তা নির্ভর করে আবহাওয়া, তার কাজকর্মের পরিমান শরীরের অবস্থা ইত্যাদির ওপর. পানি পান নিয়ন্ত্রণের জন্য আমাদের মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামাস অংশে রয়েছে third সেন্টার বা পিপাসা কে এই কেন্দ্র জানিয়ে দেয় যে কখন পানি পান করা দরকার একজন মানুষের এই অংশটি কার্যকারী থাকলে পানির অভাব বা বাড়তি কখনোই হবে না.

 তবে কোন কোন সময় যেমন মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারের পর এই কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হলে ব্যক্তির পিপাসার নিয়ন্ত্রণের লোভ পাবে. অনিয়মিত period ও ব্যথা থেকে মুক্তি দেয় গরম পানি. এটি অনিয়মিত রীতিস্রাব ঠিক করতে এবং রীতিস্রাবের ব্যথা থেকে মুক্তি দিতে ড়ে. অনেক সময় রক্ত জমাট বেঁধে তা বেরোতে না পারলে ব্যথা হতে থাকে পেটে. এই সময় গরম পানি পান করলে, জমাট বাঁধার রক্ত ভেঙে গিয়ে ব্লাড ফ্লো সঠিকভাবে হয়. 



যা ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়. গরম পানি খেলে stress কমাতে আমাদের সাহায্য করবে জমে যাওয়ার সর্দি নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি থেকে আমাদের মুক্তি দিবে. গরম পানির ত্বককে আদ্র রাখতে সাহায্য করে এবং ব্রণের সমস্যা কেও আমাদের মুক্তি দেয়. ত্বকের তাড়ানো ধরে রাখতে ও বার্ধক্যের ছাপ পড়তে না দিতে রোজ গরম পানি পান করুন. কিভাবে ও কখন খাবেন এই গরম পানি. রোজ রাতে খাওয়ার পরে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস গরম পানি পান করুন.

 আবার সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে এক গ্লাস গরম পানি পান করুন. সকালে এই গরম পানির সঙ্গে আপনি চাইলে মধু বা লেবু মিশিয়ে পান করতে পারেন কত তাপমাত্রা গরম পানি খাবেন? অত্যাধিক তাপমাত্রা যুক্ত গরম পানি খাবেন না. সাত ডিগ্রি তাপমাত্রা বা তার কম তাপমাত্রা যুক্ত পানি পান করুন. অর্থাৎ হালকা কুসুম গরম পানি পান করুন সাধারণ অর্থে ইসুদ উষ্ণ পানি পান করুন. নাহলে জীব পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকবে. 

অনেকেই মনে করতে পারেন গরম পানি না খেয়ে ঠান্ডা পানি খেলে ক্ষতিকে. মনে রাখতে হবে ঠান্ডা পানি পান মারাত্মক ক্ষতির কারণ. যদি অল্প বয়সে ঠান্ডা পানি পান প্রভাবিত না করে তবে এটি বৃদ্ধ বয়সে ক্ষতি করবেই. ঠান্ডা পানি heart এর চারটি শিরা বন্ধ করে দেয়. এবং heart attack এর কারণ হয়. Heart attack এর মূল কারণ হচ্ছে cold drinks. এটি লিভারেও সমস্যা তৈরি করে. এটি লিভারের সাথে ফ্যাট আটকে রাখে. লিভার ট্রান্সপ্লান্টের অপেক্ষায় থাকা বেশিরভাগ মানুষ ঠান্ডা পানি পান করার কারণে এর শিকার হয়েছেন. 

এছাড়া ঠান্ডা পানি পেটের অভ্যন্তরীণ দেওয়ালকে প্রভাবিত করে. এটি অন্ত্রকে প্রভাবিত করে এবং ফলস্বরূপ ক্যান্সারের রূপ নেয়. তাই আপনি বুঝতে পারছেন ঠান্ডা পানি আপনার জন্য কতটা ভয়ঙ্কর. একদল জাপানি চিকিৎসক নিশ্চিত করেছেন যে কয়েকটি স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধানে এই গরম পানি থেরাপি একশো পার্সেন্ট কার্যকরী. এগুলোর মধ্যে কি  কি রয়েছে জানেন?

 চলুন, মাইগ্রেন উচ্চ রক্তচাপ, নিম্ন রক্তচাপ, joint এর ব্যথা, হটাৎ হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি এবং হ্রাস cholesterol এর মাত্রা বেড়ে যাওয়া কাশি শারীরিক অস্বস্তি গাঁটের ব্যথা হাঁপানি রোগ ফুসফুসে কাশি শিরার শিরার ব্যথা জরায়ু ও মুত্র সম্পর্কিত রোগ পেটের সমস্যা, ক্ষুধার সমস্যা, মাথা ব্যথা. এছাড়া চোখ, কান এবং গলার সম্পর্কিত সমস্ত রোগেও গরম পানি বেশ কার্যকর. বন্ধুরা  আজকে   আপনাদের জানিয়ে দিলাম গরম পানি পান করলে আপনার শরীরে যে কি কি উপকার হবে এবং তার পাশাপাশি ঠান্ডা পানি পান করলেও আপনার শরীরে যে কি কি ক্ষতি হতে পারে. 


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

2 মন্তব্যসমূহ