কে লিখেছিল বইটি শয়তান নাকি এলিয়েন alhadimedia 360


 উনিশশো বারো সালে একজন পলিশ বুক ডিলার ওয়ার্ল্ড ভায়ানিজ ইতালি ঘুরতে গিয়েছিলেন. যেখানে সে একটি বই পায়. তারপর সে ওই বইটি কিনে নেয়. বইটির কোন টাইটেল ছিল না. বইতে লেখক কের নামও লেখা ছিল না. বইতে অনেকগুলো পৃষ্ঠা ছিল যেখানে আজব ও অদ্ভুত ধরনের ছবি আঁকা ছিল. বইটি অজ্ঞাত ভাষায় লেখা হয়েছিল. ভয়ানিত তার শেষ জীবন পর্যন্ত এই বইয়ের ভাষা ডিকট ব্যয় করেছেন. সেটা জানতে চেয়েছিল যে এই বইটি আসলে কে লিখেছে? 

আর কোথায় লিখেছে? আর এই বইটি লেখার উদ্দেশ্যই বা কি ছিল? ভয়ানী যে তার শেষ জীবনকাল এই বইয়ের রহস্য বের করতেই ব্যয় করেছেন কিন্তু সে তার একটা প্রশ্নেরও উত্তর বের করতে পারেননি. তারপরেই এই বইটির নাম দেওয়া হয় the voice manage crip. বইটিকে পরবর্তীতে অনেক প্রাচীন ভাষা বিশেষজ্ঞের কাছে পাঠানো হয়. কিন্তু কেউই এটা বিকট করতে সক্ষম হয় না. এ বইয়ে যা কিছু লেখা ছিল তা কোর্ট আকৃতিতে লেখা ছিল. 

কিন্তু তা বোঝা কারোর পক্ষে সম্ভব ছিল না. এই বইটি ইতিহাসের সবচেয়ে রহস্যময় বই হিসেবেই রয়ে গেছে. কম্পিউটার এর software ও এই বইটিকে decorat করতে সক্ষম হয়নি. অনেকে মনে করে এই বইটি ভুয়া ছিল ও কেউ হয়তো এই বইটি শুধু শুধুই বানিয়েছিল. কিন্তু যখন বিজ্ঞানীরা এই সত্যতা প্রমানের জন্য Microscope এ সত্যতা প্রমাণ করে তখন তারা জানতে পারে এই বইয়ে যে ছবিগুলো ব্যবহার করা হয়েছে আর তাতেই যে রং ব্যবহার করা হয়েছে তা ওই সময় খুব ব্যয়বহুল ছিল. 



আবার এই বইটি যে কাগজে লেখা হয়েছে তাও সাধারণ মানুষের পক্ষে কেনা সম্ভব ছিল না. এটার অর্থ হলো যে এই বইটি লিখেছে সে বইটি লিখতে অনেক টাকা খরচ করেছে. আর এটা কেউ তখনই করবে যখনই সে সত্যিই বই লিখবে. রেডিও কার্ breaking এর মাধ্যমে জানা গিয়েছে এই বইটি চোদ্দোশো সালের দিকে লেখা হয়েছে. এই বইয়ে অদ্ভুত ধরনের কিছু ছবি আঁকা রয়েছে. এর মধ্যে অনেক ছবি রয়েছে যা বাস্তব পৃথিবীর সাথে কোনো মিল নেই. 

কিছু এমন ছিল যা শুধু মাইক্রোস্কোপই দেখা গিয়েছে. কিন্তু এটা কিভাবে সম্ভব? কারণ পৃথিবীর প্রথম মাইক্রোসক বা টেলিস্কপ এই বইয়ের প্রায় দুইশ বছর পরে আবিষ্কার হয়েছে. এই বই লেখক বইতে যা লিখেছেন তা স্পেশ্যাল ছিল. এটা দেখার দুটি কারণ হতে পারে. এক এই বই লেখা হয়তো এতটাই প্রাচীন যা আমরা হারিয়ে ফেলেছি অথবা লেখক হয়তো চাইনি যে এই বইয়ের রহস্য উন্মোচন হয়ে যাক. হয়তো তাই তিনি এই বই এই গোপন কোড ব্যবহার করেছেন.

 বইটি যখন মাইক্রোস্কোপ দিয়ে দেখা হয়েছিল তখন দেখা যায় এই বইয়ের দুইশোর বেশি ছবি রয়েছে. আর কোন ছবিতেই একটা ছোট্ট ভুল ধরাও পড়েনি. করে এই বইয়ের ছয় পৃষ্ঠা মিলে তৈরি একটি ইলিশের ছবি. এটাতে ওই লেখকের কোনো ভুল হয়নি এটা মেনে নিতে আসলে একটু কষ্ট হয়েছে. অনেকেই তো আবার মনে করে এই বইটি আসলে মানুষের লেখা নয়. হয়তো শয়তান বা  এলিয়েন এর লেখা এই বইটি বর্তমানে new haben এর একটি লাইব্রেরিতে সুরক্ষিত রাখা হয়েছে. আমরা আজ পর্যন্ত জানতে পারিনি এই বইটা আসলে কে লিখেছিল? এটা নিশ্চিত যে এই বইটি পৃথিবীর সবচেয়ে রহস্যময় একটি বই. প্রত্যেক বছরই নতুন নতুন লোকজন আসে এই বইটি record করতে. আর সে ক্ষেত্রে তারা পরাজয় ছাড়া আর কিছুই পায়নি. 


👹 শয়তানের বাইবেলে 

 এটি এমন একটি রহস্যময় বই  যেটিকে শয়তানের বাইবেল নামেও ডাকা হয়. হ্যাঁ, কথাটা একটা অদ্ভুত শোনালেও  এটা একটা শয়তানের বাইবেল. এই বাইবেলে নাকি পৃথিবীর সমস্ত জ্ঞান লিপিবদ্ধ করে রাখা আছে. আর এই বাইবেল লিখতে নাকি শয়ং শয়তান অর্থাৎ নরকের রাজপুত্র লুসিফানের সাহায্য নেওয়া হয়েছে. এটি পৃথিবীর ইতিহাসে এখনো পর্যন্ত আবিষ্কৃত পাণ্ডুলিপি গুলির মধ্যে সবচেয়ে বড় পাণ্ডুলিপি. 

তো চলুন দেখে নেওয়া যাক. কি এই শয়তানের বাইবেল? এর পেছনে গল্পটাই বা কি?  শয়তানের বাইবেল নামটা শোনার পর থেকে তোমাদের মনে একটাই প্রশ্ন চলছে কি লেখা আছে এর ভেতরে? ইতিহাসবিদরা পুরো পাণ্ডুলিপিটা লেখা করে ফেলেছেন. তাদের মতে শয়তানের বাইবেল নামের এই পাণ্ডুলিপিটি মধ্য যুগের এক জলজ্যান্ত এক বিশ্বকোষ. পুরোটা বাইবেল লেখা হয়েছে লেটিন ভাষায়. 

এতে ধর্মগ্রন্থ বাইবেল ছাড়াও আরো নতুন অনেক কিছু সংযোজিত হয়েছে. যেমন ফ্লোভিয়াস জোসেফস নামের এক পন্ডিতের লেখা, দি জুবিস ওয়ার এন্ড জুইশ অ্যান্টিকিউটিস নামের গ্রন্থ. ইসিডোর একটি এলস্যাক্লপিডিয়া, যাজক কোমাখ্রচিত দীপ্ত ক্রনিক্যালস অফ বহিমিয়া গ্রন্থ এবং বাইবেলে নিউ টেস্টামেন্টের এতে সংযোজিত হয়েছে.

 তো শয়তানের বাইবেল নিয়ে পুরোটা ঘটনা জানতে হলে প্রথমেই বাইবেল নিয়ে প্রজনিত কাহিনীটা জানতে হবে. সময়টা তখন তেরোশো খ্রিস্টাব্দের কাছাকাছি.  কোন এক রাজার আমলের কথা. রাজ্যের এক সন্ন্যাসী খুব বড় একটা ভুল করে ফেলায় রাজা তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে দিলেন. কিন্তু সন্ন্যাসী শেষবারের মতো রাজার কাছে প্রাণ ভিক্ষা চাইল. এর বিনিময়ে তিনি পৃথিবীর সমস্ত জ্ঞান একসাথে করে একটি পাণ্ডুলিপি তৈরি করে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিলেন রাজা কিন্তু এই সরতে রাজি হয়ে গেল. 



কিন্তু সময় দিলেন মাত্র এক রাত্রে. সোনা সাতে কাজে লেগে পড়ল. তিনি পৃষ্ঠা প্রস্তা লিখে চলছেন ধামার লক্ষণ নেই. ধীরে ধীরে রাত্রি শেষ হয়ে যাচ্ছে কিন্তু লেখা শেষ হচ্ছে না. সন্ন্যাসীর সারা মুখ দুশ্চিন্তায় ফ্যাকাশ হয়ে গেল. কারণ রাত্রের মধ্যে যদি শেষ করতে না পারলে পরদিন সকালেই সন্ন্যাসীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবে. বুঝতে পারলেন যে পৃথিবীর কোনো মানুষ এক রাতে র ভিতরেই বই শেষ করতে পারবে না. এখন তার কাছে একটাই পথ খোলা আছে. সন্ন্যাসী কারাগারের এক পাশে বসে মন্ত্র পড়তে লাগলো. 

তখনই কারাগারে এক ছায়া মূর্তির আবির্ভাব আর সেই ছায়ামূর্তি আর কেউ নয়. স্বয়ং নরকের রাজপুত্র লুসিফারের. সন্ন্যাসী হাতজোড় করে লুসিপারের কাছে প্রার্থনা করলেন এই বইটি ভোর হবার পূর্বে শেষ করে দিতে. শয়তানও কিন্তু রাজি হয়ে গেল. কিন্তু একটি সরতে. সন্ন্যাসীর আত্মাকে শয়তানকে উৎসর্গ করতে হবে. সন্ন্যাসীর কাছে আর কোন উপায় না থাকায় সন্ন্যাসী রাজি হয়ে যায়. পরদিন রাজ্ দরবারে বিশাল পাণ্ডুলিপি নিয়ে হাজির হলেন সন্ন্যাসী বইটি দেখতে যেমন বড় তেমনি ওজনেও খুব ভারী. বইটিতে তিনশো দশটি পৃষ্ঠা ব্যবহার করা হয়েছে আর প্রতিটি পৃষ্ঠায় গাধার চামড়া দিয়ে তৈরি. বইটি দৈর্ঘ্যে প্রায় ছয়তিরিশ ইঞ্চি আর প্রস্থে বিশ ইঞ্চি প্রায় পঁচাত্তর কেজি ওজনের এই বইটি আট দশমিক সাত ইঞ্চি মোটা. 

তবে বইটির শেষ দিকে অনেকগুলো পৃষ্ঠারই কোন হদিস মেলেনি. ইতিহাসবিদরা মনে করে ইচ্ছাকৃতভাবে পৃষ্ঠাগুলো  ফেলা হয়েছে. এই বইটির আসল নাম codest Gigous. অর্থাৎ বড় বই. এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত পাণ্ডুলিপি গুলির মধ্যে এটি সবচেয়ে বড় পাণ্ডুলিপি. সন্ন্যাসীর অনুরোধে লুসিফার বইটি এক মুহূর্তের মধ্যে করে দিলেও ফিরে যাওয়ার পূর্বে দেখা গেল তার স্বাক্ষর. পাণ্ডুলিপির দুইশ নয় পৃষ্ঠায় তার সাক্ষরস পেক কথাকার শয়তানের ছবি আঁকা হয়েছে. 

আর তার ঠিক বিপরীত পৃষ্ঠায় আঁকা হয়েছে পবিত্র শহর, সেরুসালেমের ছবি. আর সেই কারণেই পাণ্ডুলিপির নাম হয়ে গেল শয়তানের বাইবেল. পনেরোশো আটানব্বই সাল পর্যন্ত এটি চেক প্রজাতন্ত্রের শহর সুদিমের একটি সংগ্রহশালায় সংরক্ষিত ছিল. এরপর রাজ্যের দ্বিতীয় রুটলফেখান থেকে বইটি ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি নিয়ে ধার নেন. এবং প্রাক শহরে নিয়ে আসেন. কিন্তু তার দেওয়া প্রতিশ্রুতির কথা তিনি একদম ভুলে যান. 

ষোলোশো আঠেরো সালের দিকে চেক প্রজাতন্ত্রে যুদ্ধ বেঁধে যায়. প্রায় ত্রিশ বছর ধরে চলতে থাকা জাকরা অনেক কিছুই হারায় তার সাথে হারায় corex jigers বা শয়তানের বাইবেলটি. ষোলোশো আটচল্লিশ সালের যুদ্ধ শেষে সুইচ সৈনিকরা সর্ববৃহৎ প্রাণগুলিপিটি stock Home এ নিয়ে আসেন এবং সেখানকার রয়েল লাইব্র of stroke এ সংরক্ষণ করে রাখা হয়. এরপর থেকে বইটির উপর চলতে থাকে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা প্রচলিত কাহিনী অনুযায়ী বইটি লিখতে সময় লেগেছিল মাত্র একটি রাত. 

কিন্তু একদল গবেষকদের দাবি যদি বইটির লেখক পুরো সপ্তাহ জুড়ে প্রতিদিন ছয় ঘণ্টা ধরে লেগে থাকেন তাহলে বইটি শেষ করতে নাকি তার লেগে যাবে তিরিশ বছর. তবে বিজ্ঞানীরা সন্ন্যাসী আর লুসিফারের গল্পটা মানতে রাজি নন. কিন্তু হাতের লেখা পরীক্ষা করে বিজ্ঞানী নিশ্চিত করেছেন যে পাণ্ডুলিপিটি একজনের দ্বারাই লেখা হয়েছে এই বইটিকে নিয়ে প্রচলিত কাহিনীর দরুন বইটি সত্যিই রহস্যময় হয়ে আছে. অবশ্য প্রাচীনকালের এমন অনেক রহস্যই আজও বিজ্ঞানীরা খুঁজে চলছেন কিন্তু codex জিজ্ঞেস দিয়ে পুরোটা জানতে পারলেও সন্ন্যাসীর নামটি কিন্তু আজও অজানা রয়ে গেল. তো আজ এই পর্যন্ত আল্লাহ হাফেজ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

3 মন্তব্যসমূহ