কোরআনে কি বৈজ্ঞানিক ভুল আছে ? মহাবিশ্বের বয়স কত_ alhadimedia 360°


বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, বন্ধুরা NASA WAP প্রকল্পে প্রায় নয় বছর মহাবিশ্বের পর্যবেক্ষণ ও গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তি দুই হাজার বারো সালে মহাবিশ্বের বয়স সম্পর্কে, NASA একটি আনুমানিক হিসাব প্রদান করে. Wp এর হিসাব অনুযায়ী মহাবিশ্বের বয়স প্রায় thirteen point seven seven two billion years. ্  মহাকাশ বিজ্ঞানীরা মহাবিশ্বের এই বিশাল সময়কালকে একক ধরে একটি ক্যালেন্ডার তৈরী করেছেন. যাকে কসমিক ক্যালেন্ডার বা মহাজাগতিক বর্শপুঞ্জি বলা হয়. calendar অনুযায়ী big ব্যাঙ্ক বা মহাবিস্ফোরণ সংঘটিত হয়েছে. January র এক তারিখে, ঠিক মধ্যরাতে. এবং বর্তমান সময়কে ধরা হয়েছে ডিসেম্বর মাসের একত্রিশ তারিখ মধ্যরাত. সেই হিসেবে এই ক্যালেন্ডারের প্রতিটি সেকেন্ড চারশো আটত্রিশ বছরের সমান প্রতিটি ঘন্টা প্রায় পনেরো লক্ষ আশি হাজার বছরের সমান আর প্রতিটি দিন তিন কোটি-আঠাত্তর লক্ষ বছরের সমান.

 এই ক্যালেন্ডার অনুযায়ী হযরত ঈসা আলাইহি ওয়াসাল্লাম জন্ম হয়েছে এখন থেকে ঠিক চার দশমিক আট সেকেন্ড পূর্বে. এবং হজরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জন্মগ্রহণ করেছেন. চার সেকেন্ডেরও কম সময় পূর্বে. অর্থাৎ একত্রিশে ডিসেম্বর এর মধ্য রাত এগারোটা ঊনষাট মিনিট ছাপ্পান্ন সেকেন্ড. 

সৃষ্টি জগতে সময়কাল সম্পর্কে মহান আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরানে বলেন তিনি নবমণ্ডল, ভূমণ্ডল  ভয়ের অন্তর্বর্তী সব কিছু ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন. ঠিক একইভাবে আল্লাহ তালা পবিত্র কোরানে বিভিন্ন স্থানে এই ছয় দিনের কথা উল্লেখ করেছেন. তাওরাতেও একইভাবে মহাবিশ্বের সৃষ্টি সমকাল প্রসঙ্গে, আল্লাহ তালা ছয়দিনের কথা উল্লেখ করেছেন. Book of genesis and book of exort আছে আল্লাহতালা বলেন. ছয়দিনে প্রভু এই নবমণ্ডল এবং পৃথিবী এবং তাদের মধ্যকার সমস্ত কিছুকে, তৈরি করেছেন. এখন প্রশ্ন হচ্ছে দিবস বা দিন বলতে আল্লাহতালা কি বুঝিয়েছেন? 

সাধারণ অর্থের দিবস বা দিন শব্দ দ্বারা, পৃথিবীর অধিবাসীদের জন্য ধারাবাহিক সূর্যোদয় অথবা সূর্যাস্তের মধ্যে সময়ের ব্যবধানকে বুঝায় যদি দিনকে এইভাবে সংজ্ঞাহীত করা হয় তবে দিন হচ্ছে সূর্যের চারপাশে নিজস্ব অর্থের উপর পৃথিবীর একটি পূর্ণ ঘূর্ণ য়ন, 

অথবা সময়ের একটি একক হিসেবে, চব্বিশ ঘণ্টার একটি নির্দিষ্ট পর্যায়, বা পর্ব. এই ব্যবস্থাটি আমাদের পৃথিবীতে আমাদের সুবিধার্থে আমরা মানুষরাই তৈরি করেছি. এক সূর্যোদয় থেকে পরবর্তী সূর্যোদয়ের মধ্যবর্তী ব্যবধানকে সময়ের একক ধরে তাকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে বিভক্ত করে আমরা সময় পরিমাপ করে থাকি. এরই ধারাবাহিকতায় সময়কে সঠিকভাবে পরিমাপ করা হয়

 এই জন্য মানুষ মাপন যন্ত্র বা ঘড়ি তৈরি করে. আল্লাহ তালা পবিত্র কোরানে এবং তাওড়াতে স্পষ্টভাবে ঘোষণা করেছেন যে তিনি এই গোটা বিশ্বজাতি  ছয় দিনে শূন্য থেকে সৃষ্টি করেছেন. এটা অবশ্যই আমরা দিন বলতে আক্ষরিক অর্থে যেভাবে বুঝে থাকি তা নয় কারণ পৃথিবীর এই দ্বীন উভয় আসমান ও জমিন সৃষ্টির পরই অস্তিত্বে আসে সময় সম্পর্কে আমাদের এই ধারণা সৃষ্টি হয়েছে চন্দ্র ও সূর্যের আবর্তন তথা দিন ও রাতের পরিক্রমা কে দেখে. এখন প্রশ্ন হচ্ছে আমরা কি ভাবে বুঝবো যে কোরানে ব্যবহারের দ্বারা প্রকৃতপক্ষে, একটি সুদীর্ঘ পরিমাণ সময়কে নির্দেশ করছে. এবং এই ছয়দিন চব্বিশ ঘন্টার হিসেবে নয়. যদিও কোরানে সময় সম্পর্কে ধারণা একই রকম নয়,

 যেমন আমরা স্বাভাবিক অর্থে বুঝে থাকি. পবিত্র কোরানে বিভিন্ন আয়াতে আল্লাহতালা ইয়াম শব্দটি ব্যবহার করেছেন. একাধিক দৈর্ঘ্যের সময়কালকে নির্দেশ করার জন্য. আল্লাহ তালা পবিত্র কোরানে বলেন তিনি আসমান থেকে পৃথিবী পর্যন্ত সমস্ত মহাজাগতিক বিষয় পরিচালনা করেন অতঃপর তা তার কাছে উর্দ্ধগামী হয় এমন এক দিনে যার পরিমাণ তোমাদের গণনায় এক হাজার বছরের সমান ( আয়াত ৫ সুরা ৩২ ),,

 একই ভাবে শব্দটি পঞ্চাশ হাজার বছরের একটি নির্দিষ্ট পর্যায়কে বর্ণনা করতে ব্যবহৃত হয়েছে. আল্লাহ তালা বলেন ফেরেস্তাগন এবং রুহ আল্লাহর দিকে উর্ধগামী হয় এমন এক দিনে যার পরিমাণ পঞ্চাশ হাজার বছর (আয়াত ৪ সুরা ৭০ ) তাওড়াতেও একই ভাবে দিন বা সময় বুঝাতে হিব্রু ইয়ং শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে একাধিক দৈর্ঘ্যের সময়কালকে নির্দেশ করার জন্য. 

Book of summer এ বলা আছে for the thousand yes in thai সাইড আর bat as Start এ, হাজার বছর আপনার কাছে শুধুই গতকালের মতো যেন গত রাত্রি পবিত্র কোরানের ছয়দিন বা ছয়টি পর্যায়কাল বাক্যটি ব্যবহৃত হয়েছে, সূর্য পৃথিবী এবং আকাশ মন্ডলীর যাবতীয় কিছু সৃষ্টির সময়কালকে বোঝাতে নিশ্চিত ভাবেই দিন এবং রাতকে যেভাবে আমরা দেখে থাকি

 সূর্য এবং পৃথিবী সৃষ্টির পূর্বে তার কোনো অস্তিত্বই ছিল না. সুতরাং এটা পরিষ্কার যে কোরানের বর্ণনা অনুযায়ী ইয়াম হচ্ছে সময়ের একটি পর্যায়ে. যেটা একাধিক দৈর্ঘ্যের হতে পারে. হতে পারে এটা কয়েক লক্ষ বছর অথবা কয়েক শত কোটি বছর অথবা হাজার বছর বলেন ইয়ং শব্দটি আমাদের সাপ্তাহিক দিবসের মতো নয় বারোশো খ্রিস্টাব্দে

 ইমাম আল  বালিস্তাহানি বলেন ইয়াম শব্দটির সময়কে বুঝাতে ব্যবহার করা হয়েছে যার একাধিক দৈর্ঘ্য আছে. ষোলোশো খ্রিস্টাব্দে ইমাম আবু সাউদ আল আসদি বলেন কোরানে বর্ণিত ছয় দিন সময়ের ছয়টি পর্যায়. এটা সূর্যের সাথে সম্পর্কিত আমাদের পৃথিবীকরার 

ছয়টি পর্যায়. এটা সূর্যের সাথে সম্পর্কিত আমাদের পৃথিবীর ছয় দিন নয়. কারণ সৃষ্টির শুরুর সময় পৃথিবীর সূর্য বা অন্যান্য বস্তু সমূহের কোন অস্তিত্বই ছিল না. ইংরেজিতে আরবে ভাষার একটি অন্যতম শ্রেষ্ঠ অভিধান হচ্ছে লেনলিক্সিকোন. লেলিনের অভিধান যা সংকলিত করা হয়েছে এডওয়ার্ড উইলিয়াম লেনের দ্বারা. লেন ছিলেন একজন ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত, আর ভাষাবিদ আরবি অনুবাদক এবং আরবী অভিধান সংকলক. তিনি তার অভিধানে ইয়াম শব্দের ব্যাখ্যায় লেখেন. ইয়ুম শব্দের সঠিক অর্থ নির্দিষ্ট সময়ে এবং এটা দীর্ঘ অথবা সংক্ষিপ্ত হতে পারে আর যদি এটা বহুবচন আইয়াম হয়, তবে তার অর্থ হতে পারে, পর্যায়, পর্ব বা ঘটনা. ইংরেজিতে আরবি ভাষার দ্বিতীয় সর্বশ্রেষ্ঠ অভিধান হচ্ছে, হেনসুয়ারের লেক জিকোন তিনি ঊনিশ বাহান্ন সালে at dictionary of modern richan Arabic নামে একটি আরবি জার্মানি অভিধান রচনা করেন. 

পরবর্তীতে এটি ইংরেজি ভাষায় অনুবাদ করা হয়. বর্তমানে এই অভিধানটিকে ইংরেজি শিক্ষার্থী ও ভাষাবিদদের জন্য, একটি মানসম্মত এবং অন্যতম প্রধান অভিধান হিসেবে গণ্য করা হয়. তিনি তার অভিধানে ইয়াং শব্দটি ব্যাখ্যায় বলেন ইয়ং শব্দের বহুবচন আইয়া যার অর্থ একটা দীর্ঘ সময়, এছাড়াও এর অর্থ কাল, দীর্ঘ সময়কাল, যুগ অথবা সময়. আমরা এখন জানি যে সময় ধ্রুবক অপরিবর্তনশীল কিছু নয়. 

সময় হচ্ছে আপেক্ষিক. পরস্পর সম্পর্কযুক্ত তুলনামূলক. অর্থাৎ এই পৃথিবীতে আমাদের কাছে এক বছর দশ বছর অনেক লম্বা সময় মনে হলেও, মহাবিশ্বের অন্য কোথাও বসবাসরত প্রাণীদের কাছে সেটা হয়তো বা কয়েক মুহূর্ত মাত্র আলবার্ট আইনস্টাইন এর আপেক্ষিক ভিত্তিক তত্ত্ব অনুযায়ী সময়কে স্থান থেকে আলাদা করে দেখার কোনো উপায় নেই. প্রকৃতিতে স্থান ও সময় অবিচ্ছেদ্য ভাবে মিলে আছে অধিকাংশ মানুষই সময়কে মোটামুটি সহজ ভাবেই দেখে থাকে. 






যে সময় সর্বোচ্চ সবার জন্য একই রকম. আধুনিক বিজ্ঞানের জনক আইজ্যাক নিউটনের প্রতিষ্ঠিত মতাম ও তো তাই এটা খুবই সাধারণ জ্ঞান যে সময় সর্বত্র সবার জন্য একই গতিতে চলে. আইজ্যাক নিউটনের জন্য সবাই হচ্ছে এমন কোনো কিছু যা মহাবিশ্বের একটি অপরিবর্তনীয় বৈশিষ্ট্য. সময় সবসময় একই হারে বা গতিতে পরিবর্তনশীল এবং ভবিষ্যতের দিকে চলমান. এবং সময় একই ভাবে অতিবাহিত হয়. এবং এ বিষয়ে আমরা সত্যি কিছু করতে পারি না. কিন্তু অ্যালবার্ট আইনস্ট উপলব্ধি করেন, সময় সম্পর্কে ধারণা সঠিক ছিল না. কেননা সময় বিভিন্ন গতিতে চলতে পারে. 

শুনতে অনেকটা অদ্ভুত হলেও এর অর্থ হচ্ছে সময় আমার জন্য, এবং আপনার জন্য একই রকম তাও হতে পারে. আনস্টানের এই আবিষ্কার নিউটনের সময় সম্পর্কে ধারণাকে, সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেয়. আইনস্টানি প্রথম যিনি স্থান এবং সময়ের মধ্যে এই রহস্যপূর্ণ গোপন সম্পর্ককে প্রকাশ করেন. 

আল্লাহ তালাকে সময়ের মধ্যে আবদ্ধ রেখে কখনোই কোরানের আলোকে সময়ের আপেক্ষিকতাকে, বোঝা সম্ভব নয়. তাই কোরানের আলোকে সময়ের আপেক্ষিকতাকে জানার আগে আল্লাহতালার সাথে সময়ের সম্পর্ককে ভালো করে উপলব্ধিতে রাখা প্রয়োজন. আল্লাহতালার মহান সত্তা কখনোই স্থান এবং সময়ের মধ্যে আবদ্ধ ছিলেন না এবং এখনও নন, বরং তিনি নিজেই স্থান ও সময়ের স্রষ্টা. সময় আল্লাহতালারই সৃষ্টি. আল্লাহ তালা বিশ্বজগৎ, স্থান কাল পদার্থ অথবা সৃষ্টি জগতের ভিতরের কেউ নন, তিনি এই মহাবিশ্বের বাহিরের একজন সত্তা. সৃষ্টি কর্তা তার সৃষ্টি থেকে ভিন্ন এবং আলাদা এমন যা কিছু তিনি সৃষ্টি করেছেন. অর্থাৎ আল্লাহ তাআলা এমন কোন কিছুর মতো নয়, যা মহাবিশ্বে বিদ্যমান.

 যখন এই বিশ্বজগৎ ছিল না এমনকি সময় সৃষ্টির পূর্বে যখন সময়েরও অস্তিত্ব ছিল না, অর্থাৎ এমন একটা সময় যখন সময় ছিল না, তখনো তিনি অনন্তকাল থেকে ছিলেন. মূলত এটি মানুষের চিন্তা জগতের এবং ভাষা সীমাবদ্ধতা যেখানে সে সময়ের অস্তিত্বে আসার পূর্বে কোন কিছুকে কল্পনা করতে এবং প্রকাশ করতে পারে না. কেননা পূর্বে শব্দটিও সময়ের দ্বারা সীমাবদ্ধ. যেহেতু তিনি সময়ের দ্বারা আবদ্ধ নন তাই তিনি চিরস্থায়ী এবং চিরঞ্জীব. তার কোনো শুরু নেই. ও তার কোনো শেষ ও নেই তিনি অসীম এবং তিনি অনন্ত তিনি সময়ের ঊর্ধ্বে অর্থাৎ ভবিষ্যৎ অথবা অতীত দুটোই তার কাছে বর্তমান. সময় তার কাছে কোনো কালের অর্থ বহন করে না আজ তাহলে এই পর্যন্তই. আপনারা ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন. আল্লাহ হাফেজ.



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

2 মন্তব্যসমূহ