নারীদের বিশেষ কিছু আমল

 

ইবাদতের প্রতি নারীদের আগ্রহরমজানে নারীদের জন্য বিশেষ ১০ আমলমহিলাদের প্রতিদিনের আমল:,বেহেশতী নারীর গুনাবলী সম্পর্কিত মহানবীর বাণী,ইবাদতের প্রতি নারীদের আগ্রহ,রমজানে নারীদের জন্য বিশেষ ১০ আমল,alhadimedia360,hhb,


হাদীস বর্ণিত আছে যে, দুনিয়ার নেককার মহিলারা যখন বেহেশতে প্রবেশ করবে, তখন দুনিয়ার নেক আমলের বিনিময়ে তারা বেহেশতী হূরদের চেয়ে অধিক মর্যাদাশীল হবে। [তাযকেরা]

হযরত আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন- যে মহিলা (১) পাচঁ ওয়াক্ত নামায (নিয়মমত) আদায় করবে, (২) রমযানের রোযা (ঠিকমত) রাখবে, (৩) লজ্জাস্থান হেফাযত করবে এবং (৪) স্বামীকে মান্য করবে, তাকে (কিয়ামতের দিন) বলা হবে, যে দরজা দিয়ে মন চায় সে দরজা দিয়ে তুমি বেহেশতে প্রবেশ কর। [মিশকাত]


• বেহেশতী নারীর গুনাবলী

১. পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আউয়াল ওয়াক্তে পড়া। আউয়াল ওয়াক্ত বলা হয়, ওয়াক্ত শুরু হওয়াকে। এই জন্য প্রত্যেক ঘরে নামাজের চিরস্থায়ী ক্যালেন্ডার রাখা জরুরি, নামাজের জন্য মহিলাদের আযান শুনা বা আযানের অপেক্ষা করা জরুরি নয়। কারণ মহিলাদের জন্য সর্বোত্তম নামাজ হলো আউয়াল ওয়াক্তে নামাজ পড়া।

২. স্বামীর খেদমত করা। যেমন- খানা রান্না করা, কাপড় ধৌত করা এবং সংসারের দেখাশোনা করা, স্বামী অসুস্থ হলে সেবা-যত্ন করা ইত্যাদি।

৩. বাচ্চাদেরকে দ্বীনী এলেম আদব, ফরজিয়াত আখলাক শিক্ষা দেওয়া। 

৪. প্রতিদিন ঘরে বাচ্চাদেরসহ স্বামী, ভাই, বাবা, ছেলেদেরকে নিয়া তালিম করা। মাঝে মাঝে ঈমানী কথা ও ছয় সিফাতের আলোচনা করা।

৫. প্রতিদিন কোরআন তেলাওয়াত করা, কমপক্ষে একপারা তেলোয়াত করা। এবং সকাল বিকাল এই তিন তশবীহ আদায় করা। ১. একশতবার সুবহানাল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার পড়া। এই সব মিলিয়ে। হলো একবার এভাবে ১০০ বার। ২ যে কোনো দুরূদ শরিফ একশতবার পড়া ৩. যে কোনো এস্তেগফার একশতবার পড়া। এইভাবে সকালে তিনশতবার, বিকালে তিনশতবার আদায় করা প্রতিদিন।

৬. শোকর ও সবরের মধ্যে দিয়ে জীবন কাটানো। যে ব্যক্তি সুখে-দুঃখের সময় শোকর আদায় করে না, আল্লাহ পাক তাদের নেয়ামত ছিনাইয়া নেন এমনকি শক্ত আজাবে গ্রেফতার করেন। এই জন্য সর্বাবস্থায় দিল থেকে শোকর করা।

নবী করিম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ঐ ব্যক্তি শোকরকারী যাহার জবান আল্লাহর জিকির করে, যেই দিল আল্লাহ তায়ালাকে ভয় করে সেই দিল শোকরকারী হয়; আর ঐ নেক স্ত্রী যে দ্বীনের কাজে সাহায্যকারী হয়। (দুররে মানসুর)

৭. সাদেকী অর্থাৎ সাধারণভাবে জীবন কাটানোর চেষ্টা করা।

৮. স্বামীর এতায়াত করা। অর্থাৎ শরিয়াতের মধ্যে রেখে স্বামী যাহাকিছু করতে বলে তাহা পালন করা।

৯. রমজানের রোযা রাখা এবং পর্দার পুরাপুরি এহতেমাম করা।

১০. মাহরাম পুরুষকে আল্লাহর রাস্তায় বাহির করা এবং নিজেও স্বামীর সাথে মাঝে মাঝে বের হওয়া।


পুরোটা পড়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ ।


আপনাদের পরামর্শ আমাদেরকে জানান কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে কমেন্ট বক্সে লিখে কমেন্ট করুন

যদি এরকম আরও সুন্দর সুন্দর তথ্যবহুল আকর্ষণীয় লেখা পড়তে চান, তাহলে আমার সাইটটি থেকে ঘুরে আসতে পারেন: Azra Science Tips



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ