৯৯% কমন সাজেশন ডিগ্রি ১ম বর্ষ পরিক্ষা-২০২৪ রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম পত্র

 

ডিগ্রি ১ম বর্ষ ২০২৪ সালের পরীক্ষার জন্য রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম পত্রের ৯৯% কমন সাজেশন এখানে পাবেন। গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন, সম্ভাব্য প্রশ্নপত্র বিশ্লেষণ, পূর্ববর্তী বছরের কমন প্রশ্নসহ এই সাজেশনটি তৈরি করা হয়েছে একদম নির্ভুলভাবে। যারা স্বল্প সময়ে ভালো প্রস্তুতি নিতে চান, তাদের জন্য এটি হবে সেরা সহায়ক। এখনই দেখে নিন কোন প্রশ্নগুলো পরীক্ষায় আসার সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনা রয়েছে!৯৯% কমন সাজেশন ডিগ্রি ১ম বর্ষ পরিক্ষা-২০২৪ রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম পত্র ৯৯% কমন সাজেশন ডিগ্রি ১ম বর্ষ পরিক্ষা-২০২৪ স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস

ডিগ্রি ১ম বর্ষ ২০২৪ সালের পরীক্ষার জন্য রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম পত্রের ৯৯% কমন সাজেশন এখানে পাবেন। গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন, সম্ভাব্য প্রশ্নপত্র বিশ্লেষণ, পূর্ববর্তী বছরের কমন প্রশ্নসহ এই সাজেশনটি তৈরি করা হয়েছে একদম নির্ভুলভাবে। যারা স্বল্প সময়ে ভালো প্রস্তুতি নিতে চান, তাদের জন্য এটি হবে সেরা সহায়ক। এখনই দেখে নিন কোন প্রশ্নগুলো পরীক্ষায় আসার সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনা রয়েছে!


খ-বিভাগ

(যেকোনো পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর দাও)

১. রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সংজ্ঞা দাও। রাষ্ট্রবিজ্ঞানকে কেন বিজ্ঞান বলা হয়?

২. রাষ্ট্র ও সমাজের মধ্যে পার্থক্য কী?

৩. আইনের প্রধান উপাদানসমূহ কী কী?

৪. সার্বভৌমত্ব কী?

৫. ম্যাক্সওয়েলের মতে “রাষ্ট্রতত্ত্ব হচ্ছে মানসবিদ্যা” — ব্যাখ্যা কর।

৬. মানুষ প্রকৃতিগতভাবে সমাজবদ্ধ—ধারণা কী?

৭. রাষ্ট্রের বৈশিষ্ট্যসমূহ আলোচনা কর।

৮. রাষ্ট্রের সাধারণ ইচ্ছা কী? সাধারণ ইচ্ছার সঙ্গে সকলের ইচ্ছার পার্থক্য কর।

৯. জন্মাদিষ্ট সম্পর্কের তত্ত্বের মূল ব্যাখ্যা কর।

১০. অ্যারিস্টটলের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের কারণ দাও।

১১. জাতীয়তাবাদের উপাদানসমূহ কী কী?

১২. অর্থনীতির ক্ষেত্রে কী বোঝায়?

১৩. আধুনিক রাজনৈতিক ধারণা বিশ্লেষণ কর।

১৪. সমাজবিজ্ঞানের রাষ্ট্রতত্ত্বের বৈশিষ্ট্য লেখ।

১৫. আমলাতন্ত্রবাদ কী?

১৬. রাষ্ট্রের মধ্যে রাজনৈতিক রাজনীতি কী ভূমিকা পালন করে আলোচনা কর।

১৭. আইনি সরকার কী?


গ-বিভাগ


(যেকোনো পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর দাও)

১. রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রকৃতি ও পরিধি আলোচনা কর।

২. স্বাধীনতা কী? গণতন্ত্রের মধ্যে স্বাধীনতার গুরুত্বসহকারে আলোচনা কর।

৩. রাষ্ট্রের উৎপত্তির সমাজিক চুক্তি মতবাদ আলোচনা কর।

৪. রাষ্ট্রবিজ্ঞানের আধুনিকতার পটভূমিকা আলোচনা কর।

৫. “গণতন্ত্রে আইনানুগ গণপরিচালনার জন্য অত্যাবশ্যক”—উক্তিটি ব্যাখ্যা কর।

৬. প্লেটোর শিক্ষাতন্ত্র আলোচনা কর।

৭. রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অ্যারিস্টটলের অবদান আলোচনা কর।

৮. সাংবিধানিক সরকারের বৈশিষ্ট্যসমূহ লেখ।

৯. সমাজবিজ্ঞানের সাধারণতা দুটি ব্যাখ্যা কর।

১০. রাষ্ট্রের উৎপত্তি সংক্রান্ত বিবর্তনমূলক মতবাদটি আলোচনা কর।

১১. আইন কী? আইনের উপাদানসমূহ আলোচনা কর।

১২. আইনের ক্ষেত্রে আইনানুগ গণপরিচালনার গুরুত্ব আলোচনা কর।

১৩. মানুষ প্রকৃতিগত ও প্রকৃতিগতভাবে রাজনীতি সম্পর্কে টমাস হবসের ধারণা আলোচনা কর।

১৪. দণ্ড প্রদানের তত্ত্বসমূহের ধারণা আলোচনা কর। ভূমির দণ্ড ধারণার সঙ্গে তুলনা কর। উত্তরের পক্ষে যুক্তি প্রদান কর।

১৫. যুক্তরাজ্যের সরকারের ক্ষমতার শর্তাবলি বিশ্লেষণ কর।

১৬. আধুনিক রাষ্ট্রের উদ্দেশ্য ও কার্যাবলি আলোচনা কর।


প্রশ্নগুলোর উত্তর

খ-বিভাগ

১. রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সংজ্ঞা দাও। রাষ্ট্রবিজ্ঞানকে কেন বিজ্ঞান বলা হয়?

রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সংজ্ঞা:

রাষ্ট্রবিজ্ঞান হলো রাষ্ট্র, সরকার, ক্ষমতা, আইন, নাগরিক, নীতি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিজ্ঞান। এটি মানুষের রাজনৈতিক জীবন ও রাষ্ট্রের গঠন, কার্যাবলি ও উদ্দেশ্য নিয়ে আলোচনা করে।

অ্যারিস্টটল বলেছেন— “রাষ্ট্রবিজ্ঞান হলো সর্বোচ্চ বিজ্ঞান, কারণ এর লক্ষ্য মানবকল্যাণ।”


কেন বিজ্ঞান বলা হয়:

রাষ্ট্রবিজ্ঞানকে বিজ্ঞান বলা হয় কারণ—

১. এটি পর্যবেক্ষণ, বিশ্লেষণ ও তথ্যভিত্তিক গবেষণার মাধ্যমে জ্ঞান উৎপন্ন করে।

২. এ বিষয়ে নির্দিষ্ট নীতি, সূত্র ও তত্ত্ব রয়েছে।

৩. পরীক্ষণযোগ্য ও যুক্তিসঙ্গত ব্যাখ্যা প্রদান করে।

৪. পূর্বানুমান করা সম্ভব— যেমন ভোটার আচরণ, রাষ্ট্রব্যবস্থার পরিবর্তন ইত্যাদি।

৫. জ্ঞান পদ্ধতিগতভাবে সংগৃহীত ও বিশ্লেষণ করা হয়।

 উপসংহার:

তাই রাষ্ট্রবিজ্ঞানকে সমাজবিজ্ঞানের একটি শাখা এবং বৈজ্ঞানিক গবেষণাভিত্তিক একটি শাস্ত্র বলা হয়।

২. রাষ্ট্র ও সমাজের মধ্যে পার্থক্য কী?

বিষয় রাষ্ট্র সমাজ

১. সংজ্ঞা রাজনৈতিক সংগঠন সামাজিক সম্পর্কের সমষ্টি

২. গঠন নির্দিষ্ট ভূখণ্ড, জনগণ, সরকার, সার্বভৌমত্ব পারিবারিক, ধর্মীয়, অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান দ্বারা গঠিত

৩. উদ্দেশ্য শৃঙ্খলা ও আইন রক্ষা পারস্পরিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন

৪. শক্তি আইনি বলপ্রয়োগের ক্ষমতা আছে আইনি বলপ্রয়োগের ক্ষমতা নেই

৫. উৎপত্তি সমাজ থেকেই উদ্ভূত রাষ্ট্রের পূর্বে সমাজের সৃষ্টি

৬. ক্ষেত্র সংকীর্ণ—শাসন সম্পর্কিত বিস্তৃত—মানবজীবনের সব দিক অন্তর্ভুক্ত

 উপসংহার:

সমাজ ছাড়া রাষ্ট্রের অস্তিত্ব নেই, কিন্তু রাষ্ট্র সমাজের একটি রাজনৈতিক অংশ মাত্র।

৩. সার্বভৌমত্ব কী?

সংজ্ঞা:

সার্বভৌমত্ব হলো রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ও চূড়ান্ত ক্ষমতা, যার অধীনে রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে সব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান কাজ করে এবং বাহ্যিকভাবে রাষ্ট্র স্বাধীন থাকে।

বৈশিষ্ট্য:

১. এটি সর্বোচ্চ ও অবিভাজ্য ক্ষমতা।

২. এটি স্থায়ী ও স্বাধীন।

৩. রাষ্ট্রের আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগের ক্ষমতা এর অন্তর্ভুক্ত।

৪. অন্য রাষ্ট্রের অধীন নয়।

উপসংহার:

সার্বভৌমত্ব ছাড়া রাষ্ট্রের অস্তিত্ব কল্পনাও করা যায় না; এটি রাষ্ট্রের মূল বৈশিষ্ট্য।


৪. রাষ্ট্রের বৈশিষ্ট্যসমূহ আলোচনা কর।

রাষ্ট্র গঠনের জন্য চারটি মূল উপাদান প্রয়োজন—

১. জনগণ: রাষ্ট্রের প্রধান উপাদান। জনগণই রাষ্ট্রের কর্তৃত্বের উৎস।

২. নির্দিষ্ট ভূখণ্ড: একটি নির্দিষ্ট সীমানা ছাড়া রাষ্ট্র গঠন সম্ভব নয়।

৩. সরকার: জনগণ ও ভূখণ্ডের ওপর আইন প্রয়োগ ও শাসন পরিচালনার সংগঠন।

৪. সার্বভৌমত্ব: রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ও স্বাধীন ক্ষমতা।

অন্যান্য বৈশিষ্ট্য:

স্থায়িত্ব ও সংগঠিত রূপ

আইন ও শৃঙ্খলার অস্তিত্ব

নাগরিকত্বের ভিত্তি

উপসংহার:

এই চারটি উপাদান একত্রে বিদ্যমান থাকলেই একটি পূর্ণাঙ্গ রাষ্ট্র গঠিত হয়।


 গ-বিভাগ


১. রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রকৃতি ও পরিধি আলোচনা কর।

প্রকৃতি:

রাষ্ট্রবিজ্ঞান হলো সমাজবিজ্ঞানের একটি শাখা, যা রাষ্ট্র, সরকার ও রাজনীতির তত্ত্ব ও বাস্তব রূপ বিশ্লেষণ করে। এর প্রকৃতি—

১. এটি বৈজ্ঞানিক ও বিশ্লেষণধর্মী।

২. এটি বস্তুনিষ্ঠ ও গবেষণাভিত্তিক।

৩. এটি মানবকেন্দ্রিক ও নীতিনির্ভর।

পরিধি:

রাষ্ট্রবিজ্ঞানের পরিধি অত্যন্ত বিস্তৃত—

১. রাষ্ট্রের উৎপত্তি, গঠন ও কার্যাবলি।

২. আইন, শাসন ও প্রশাসন।

৩. গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও অধিকার।

৪. আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও বিশ্বরাজনীতি।

৫. রাজনৈতিক চিন্তা ও মতবাদ।

 উপসংহার:

রাষ্ট্রবিজ্ঞান রাষ্ট্র ও মানবজীবনের রাজনৈতিক সব দিককে অন্তর্ভুক্ত করে—তাই এর পরিধি সীমাহীন।

২. স্বাধীনতা কী? গণতন্ত্রে স্বাধীনতার গুরুত্বসহকারে আলোচনা কর।


স্বাধীনতা:

স্বাধীনতা হলো মানুষের নিজ ইচ্ছানুযায়ী কাজ করার অধিকার, তবে তা আইন ও নৈতিকতার সীমার মধ্যে।

 জন স্টুয়ার্ট মিল বলেছেন— “স্বাধীনতা মানে নিজের মত প্রকাশ ও কাজ করার অধিকার, যতক্ষণ না তা অন্যের ক্ষতি করে।”


গণতন্ত্রে স্বাধীনতার গুরুত্ব:

১. মত প্রকাশের স্বাধীনতা: জনগণ সরকারের সমালোচনা ও পরামর্শ দিতে পারে।

২. সংগঠনের স্বাধীনতা: নাগরিকরা দল বা সংগঠন গঠন করতে পারে।

৩. নির্বাচনের স্বাধীনতা: জনগণ স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারে।

৪. ব্যক্তিগত উন্নয়নের সুযোগ: স্বাধীনতা মানবিক মর্যাদা নিশ্চিত করে।

৫. সুশাসন প্রতিষ্ঠা: স্বাধীন মতামত রাষ্ট্রকে জবাবদিহিমূলক করে তোলে।

 উপসংহার:

স্বাধীনতা গণতন্ত্রের আত্মা—এটি ছাড়া গণতন্ত্র কেবল নামমাত্র হতে পারে।

৩. রাষ্ট্রের উৎপত্তির সামাজিক চুক্তি মতবাদ আলোচনা কর।

মূল ধারণা:

সামাজিক চুক্তি মতবাদ অনুযায়ী, মানুষ প্রাকৃতিক অবস্থায় ছিল স্বাধীন কিন্তু বিশৃঙ্খল। শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য তারা পারস্পরিক চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্র গঠন করে।


মূল চিন্তাবিদগণ:

১. থমাস হবস:

মানুষ স্বার্থপর ও হিংস্র। তাই তারা নিরাপত্তার জন্য ক্ষমতা শাসকের হাতে তুলে দেয়।

২. জন লক:

মানুষের প্রাকৃতিক অধিকার (জীবন, স্বাধীনতা, সম্পদ) রক্ষার জন্য সরকার গঠন করে।

৩. রুসো:

রাষ্ট্র জনগণের সাধারণ ইচ্ছার প্রতিফলন। সরকার জনগণের প্রতিনিধি মাত্র।

 উপসংহার:

এই মতবাদে রাষ্ট্রকে মানুষের পারস্পরিক চুক্তির ফল হিসেবে দেখা হয়—অর্থাৎ রাষ্ট্র মানুষের সৃষ্টি, ঈশ্বরপ্রদত্ত নয়

৪. সাংবিধানিক সরকারের বৈশিষ্ট্যসমূহ লেখ।

১. সংবিধান দ্বারা পরিচালিত সরকার।

২. ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা থাকে।

৩. আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত থাকে।

৪. নাগরিকের মৌলিক অধিকার রক্ষিত হয়।

৫. বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত।

৬. জনপ্রিয় 

তিনিধিদের মাধ্যমে সরকার গঠিত হয়।

৭. ক্ষমতার বিভাজন নীতি বিদ্যমান।

উপসংহার:

সাংবিধানিক সরকার মানে এমন শাসনব্যবস্থা যেখানে শাসক নিজেও সংবিধানের অধীন।





একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ