যে কারণে আপনার বিড়াল পালন করা উচিৎ

৬ টি কারণ, আপনার বিড়াল পালন করা উচিৎ,বিড়াল পালন সম্পর্কে ইসলাম কী বলে?,যে কারণে আপনার বিড়াল পালন করা উচিৎ নবী করিম সা. বিড়াল পালনে বাধাalhadimedi
৪.১


আপনি কি জানেন?

আপনি যখন ঘুমাচ্ছেন এবং আপনার পাশে একটি বিড়াল থাকবে, তখন কোনও অস্বাভাবিক প্রাণী আপনার কাছে আসবে না। কারণ, অস্বাভাবিক প্রাণীগুলো বিড়ালকে ভয় পায়। তাই বিড়ালদের তাড়িয়ে দিবেন না, আঘাত করবেন না, কারণ বিড়াল উপকারী প্রাণী।

একটি বিড়াল বাড়ির ভিতরে খারাপ আত্মা এবং মন্দ উপাদানগুলিকে তাড়াতে পারে।

বিড়াল যদি কাঁদে তবে এটি আশেপাশের লোকেদের কাছে একটি খবর বা সতর্কবার্তা প্রদান করতে পারে।

আরও দেখুন 

• আশ্চর্য কিছু তথ্য যা সত্যি অজানা

• দিন-রাত কেন হয়, কি বলে কুরআন ও বিজ্ঞান ? 


যখন একটি বিড়াল আপনার চারপাশে হেঁটে বেড়ায় এবং আপনার পায়ে তার শরীরকে ঘসে, তখন বুঝবেন বিড়ালটি আপনাকে ভালোবাসা জানাচ্ছে এবং খারাপ আত্মা তাড়িয়ে দিচ্ছে। আপনার মধ্যে যদি দোষীত কোনো কিছু থেকে থাকে তাহলে তা দূর করছে।


আসুন, বিড়াল সম্পর্কে কিছুটা অবগত হই এবং ভালো ধারণা অর্জন করি।

ইসলামে বিড়াল সম্পর্কে কিছু তথ্য : হযরত মোহাম্মদ (صلى الله عليه وسلم) বিড়াল পছন্দ করেন। বিড়াল একটি পরিষ্কার  প্রাণী। বিড়াল বাড়ি এবং মসজিদে প্রবেশ করতে পারে। বিড়ালের প্রতি ভালোবাসা ইসলামে বিশ্বাসের লক্ষণ।

মহানবী(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আবুহুরাইরা (রাঃ)-কে বিড়ালের পিতা বলে ডেকেছেন। কারণঃ তিনি বিড়াল পোষতেন এবং ভালোবাসতেন।

ইসলামের দৃষ্টিতে বিড়াল লালন-পালন করা জায়েজ। বিড়াল পালনে ঘরে ইঁদুরের উৎপাত কমে আসে। এছাড়া মাছের কাঁটা, খাবারের ঝুটা খেয়ে আমাদের পরিবেশকেও রাখে সুন্দর ও পরিষ্কার। ইসলামে বিড়াল পালনকে যতটা সমর্থন করা হয়েছে আর কোনো পোষা প্রাণীকে এতটা করা হয়নি। বিড়াল পালনকে উৎসাহ দিয়ে অনেক হাদিস ও মাসাআলা রয়েছে।

আরও দেখুন 

• ডা. মরিচ বুকাইলি কেন বলেছিলেন - নবী মুহাম্মাদ এই তথ্য কী করে জানলেন! 

• ফেরাউনের লাশ ৩১১৬ বছর পানির নিচে অবিকৃত থাকার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা ও আল-কোরআন

একজন মহিলা জাহান্নামে প্রবেশ করেছিল একটি বিড়ালের কারণে। যাকে সে বেঁধে রেখেছিল কিন্তু খাওয়ায়নি, এবং পৃথিবীর কীটপতঙ্গকে খাওয়ানোর জন্য ছেড়ে দেয়নি।

[আল-বুখারি: 3140, মুসলিম: 2242]

এ হাদিসের ব্যাখ্যায় প্রখ্যাত হাদিসবিশারদ আল্লামা ইবনে হাজার (রহ.) বলেন, ইমাম কুরতুবি (রহ.) বলেছেন, এ হাদিস থেকে বিড়াল পালা ও বিড়ালকে বেধে রাখা জায়েজ বলে প্রমাণিত হয়, যদি তাকে খানাপিনা দেওয়ার ব্যাপারে ত্রুটি না করা হয়। (ফাতহুল বারি : ৬/৪১২)

পশু-পাখিসহ আল্লাহর যে কোনো সৃষ্টির প্রতি দয়া করলে মহান আল্লাহও দয়া করেন। অজস্র সওয়াবে ঋদ্ধ করেন।


রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন

আল্লাহ ওই ব্যক্তির চেহারা উজ্জ্বল করে দেন, যে আমার কোনো হাদিস শুনেছে। অতঃপর অন্যের কাছে পৌঁছে দিয়েছে।

[আবু দাউদঃ ৫১৫]


তাই যদি কোন বিড়াল বা কোন প্রাণী খাবারের সন্ধানে আপনার কাছে আসে, তবে তা উপেক্ষা করবেন না। এটি আপনার কাছে এসেছে শুধুমাত্র আপনার কল‍্যাণের জন্য এবং কিছু গুনাহ দূর করার জন্য।(সুবহানাল্লাহ)


 বিড়াল সম্পর্কে কিছু ভালো ধারণা অর্জন করি।

বিড়াল, খাবারে মুখ দিলে তা নষ্ট হয় না। যেমন,- ভাত, তরকারি ও দুধ ইত্যাদি খাবারে বিড়াল যদি মুখ দেয় বা খায়, তাহলে এই খাবার আপনি খেতে পারেন তাতে দোষ নেই। বিড়ালের মুখ পাক।

 

৬ টি কারণে আপনার বিড়াল পালন করা উচিৎ

• তারা আপনার বাড়িতে ফেরেশতাদের নিয়ে আসে।

• নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর অনেক বিড়াল ছিল।

• তারা সুন্নত নিয়ে আসে।

• তাদের লালা বিশুদ্ধ।

• তারা নিজেদের পরিষ্কার করে।

• তারা খুব শান্ত। 


সতর্কতা :

বিড়াল ক্রয়-বিক্রয় করা হারাম। বিড়াল এমন একটি প্রাণী— যার মালিকানা সাব্যস্ত হয় না এবং একে খাঁচাবন্দি করাও নাজায়েজ।

বিড়াল অসুস্থ হলে সতর্ক থাকবেন। বিড়ালকে সুস্থ করে তুলার জন্য সুচিকিৎসার ব‍‍্যবস্থা করবেন। এটা হবে আপনার জন্য সওয়াবের কাজ।





একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ