কাঁচা হলুদ খেলে কী হয় স্বাস্থ্যের কী ক্ষতি হয় নাকি উপকার হয় জেনে নিন

 

Raw turmeric

প্রতিদিন সকালবেলা নাস্তা খাওয়ার আগে এই জিনিসটি এক ইঞ্চি পরিমাণ আপনি যদি খেতে পারেন তাহলে আপনার শরীর থেকে ছেচল্লিশটিরও বেশি রোগ দূর হয়ে যাবে. তাহলে বুঝতেই পারছেন. এই জিনিসটি যদি ছেচল্লিশটিরও বেশি রোগ দূর করতে পারে তাহলে এটি আপনার শরীরের জন্য কত উপকারী হবে ছেচল্লিশটিরও বেশি রোগ দূর করে কাঁচা হলুদ. তাহলে কাঁচা হলুদ খেতে বাঁধা কোথায়? আয়ুর্বেদ তথ্য মতে মানব শরীরে তিন দোষের কারণে বিভিন্ন জটিল রোগগুলো হয়ে থাকে.

 এক, বাত, দুই, পিত্ত, তিন, এই কাঁচা হলুদ সঠিক ভাবে খেতে পারলে আপনার শরীর থেকে বাত পিত্ত এবং কফ দূর হয়ে যাবে যে কোন বড় ধরনের রোগ শরীরে ঘেসতে পারবে না কাঁচা হলুদের প্রচুর পরিমাণে fiber, potassium, vitamin B six, magnetium ও Vitamin C থাকে. ও কারকিউমিন নামক রাসায়নিক থাকে. যা বিভিন্ন রোগের হাত থেকে আমাদের বাচায়. সকালে ঘুম থেকে উঠে কাঁচা হলুদ খেলে যে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে খাবার ঠিক মতো হজম হয় এসব কথা আমরা কম বেশি অনেকেই জানি. 

আসুন আজ জেনে নেওয়া যাক কাঁচা হলুদের অসংখ্য এমন কিছু গুনের কথা যে কিভাবে কাঁচা হলুদ খেলে আপনার শরীর থেকে বড় বড় সব ধরনের রোগ দূর করা সম্ভব. কাঁচা হলুদ খেলে আপনার গ্যাসের সমস্যা এবং হজমের দূর হয়ে যাবে. কাঁচা হলুদের মধ্যে gastro protective কিছু গুণ থাকে. যা খাবার পরিপাকে সাহায্য করে. ফলে হজমের গোলমাল gas এর সমস্যার ক্ষেত্রে এই কাঁচা হলুদ খুবই উপকার. হলুদের থাকা কারকিউমিনের অ্যান্টি ইনফ্লাইমেটেরি ও এন্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান থাকায় তা বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থেকে খাদ্যনালীকে বাঁচায়.


আমরা প্রতিদিন যে খাবার খাই তার মধ্যে অনেক নানা জীবাণু থেকে যেতে পারে. খাবারে কাঁচা হলুদ বা হলুদ গুঁড়ো ব্যবহার করলে তা খাদ্য নালীকে ক্ষতিকারক জীবাণু সংক্রমণ থেকে বাঁচায় ও খাদ্য নালীর প্রদাহের সম্ভাবনা কমায়. হলুদ, হাড় জোড়া লাগায়. বহু প্রাচীনকাল থেকে কাঁচা হলুদকে, হাড়ের নানা রকম রোগের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়ে আসছে. হাত বা পা মচকে গেলে চুন, হলুদ লাগানোর কথা তো আমরা সবাই জানি. এছাড়া কাঁচা হলুদ বেটে ভাঙ্গা হাড়ের জায়গায় লাগালে তা উপকারে দেয়. 

দুধে কাঁচা হলুদ দিয়ে খেলেও তা এক্ষেত্রে ভীষণ উপকার করবে. হলুদের এন্ট ইনফ্লামেটরি গুণ, ব্যথা প্রদাহকে কমায় এবং হাড়ের টিসুগুলোকে রক্ষা করে ও ভাঙ্গা হাড় জোড়া লাগাতে বিশেষভাবে সাহায্য করে. বন্ধুরা আপনারা কি জানেন কাঁচা হলুদ হাড়ের হয় রোধ করে. কাঁচা হলুদে থাকা কার্কিউমিন, হাড়ের ক্ষয়, ও হাড়ের গঠনের মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় রাখে ও হাড়কে সুস্থ ও মজবুত রাখে ন্যানোপোজের সময় মহিলাদের যে হারের ক্ষয় হয় তা থেকেও এই কাঁচা হলুদ আমাদের বাচায়. কাঁচা হলুদ ট্রমাটিক ডিসঅর্ডার কমায়. 

ট্রোমাটিক ডিসঅর্ডারের ক্ষেত্রে যে সমস্ত খারাপ ভীতি জনক স্মৃতি থাকে হলুদে থাকা কার্কিউমিন তা কমাতে সাহায্য করে. এছাড়া কাঁচা হলুদের অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি গুণ স্ট্রেস বা চাপ উদ্বেগ থেকে মুক্তি দেয়. কাঁচা হলুদ ডায়বেটিসের ভীষণ উপকারী. হলুদ ও হলুদে থাকা কার্কিউমি এন্টি ডায়বেটিক এজেন্ট হিসাবে কাজ করে ও রক্তের শর্ক এর মাত্রা কমাতে সাহায্য করে এছাড়া কাঁচা হলুদ ইনসুলিন হরমোনের ক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে. রক্তে শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে ও অগ্নাশয়কে সুস্থ রাখে কাঁচা হলুদ ত্বকের বয়সও কমায়. 


কাঁচা হলুদ বহু প্রাচীনকাল থেকেই ত্বকের উজ্জ্বলতা রক্ষা করতে ও ত্বকের বয়স কমাতে ব্যবহার হয়ে আসছে. তাই বিভিন্ন ক্রিমের প্রয়োজনীয় উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হয়. ত্বকের বিভিন্ন দাগ, রিংকেল ও স্যান্টান থেকে ত্বককে রক্ষা করার জন্য কাঁচা হলুদের পেস্ট ঘরেই তৈরি করে মুখে লাগানো যেতে পারে. হলুদে থাকা কারকিউমিনের অক্সিডেন্ট ত্বককে বয়সের ছাপ থেকে বাঁচতে পারে কাঁচা হলুদের আরো অনেক গুণ আছে সেই গুণের মধ্যে সবচেয়ে ভালো গুণ হলো কাঁচা হলুদ ক্যান্সার দূর করে.

 কাঁচা হলুদে থাকা কার্কিউমিন ক্যান্সার দূর করতে সাহায্য করে. কারকিউমিন ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি বন্ধ করে. তাদের মৃত্যু ঘটায়. ফলে ক্যান্সারের সম্ভাবনাও হ্রাস পায়. বিভিন্ন স্টাডি থেকে জানা গেছে প্রায় ছাপান্ন রকম ক্যান্সার সম্ভাবনা, কাঁচা হলুদ রোজ নির্মিত খেলে কমে যায়. কাঁচা হলুদ আঠাইটিসের হাত থেকে বাঁচাবে হলুদে থাকা কার্কিউমিন নানাভাবে আর্থাইটিসের হাত থেকে আমাদের বাঁচায়. কাঁচা হলুদ, অ্যান্টি ইনফ্লমেটারি এজেন্ট হিসাবে কাজ করে ও তার হাড়ের কোশকে রক্ষা করে. 

ফলে যারা Hummate, অর্থাইটিসে ভোগেন দেখা গেছে সাধারণ ফিজিওথেরাপির থেকে তারা যদি নিয়ম করে কাঁচা হলুদ খান তাহলে তা ব্যথা কমাবে ও হাড়ের joint এর movement এ অনেক সাহায্য করবে. ঠেকাতে কাঁচা হলুদ কত উপকারী জানেন? নিয়ম করে কাঁচা হলুদ খাওয়া মাদের স্টকের সম্ভাবনাকে এক ধাক্কায় অনেকটা কমিয়ে দিবে. এছাড়া কাঁচা হলুদের antioxidant ও অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি গুণ স্ট্রোকের পরবর্তী চিকিৎসাতেও অনেক উপকার করে থাকে কাঁচা হলুদ হার্টকেও বিভিন্ন ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে.

 এছাড়া অপারেশনের পরে যে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা থাকে, তা কেউ কাঁচা হলুদ কমাতে বিশেষভাবে সাহায্য করবে. কাঁচা হলুদ দাঁতের ক্ষয় রোধ করে থাকে. কাঁচা হলুদ দাঁতের উপরে থাকা অ্যানামেলের আস্তরণকে রক্ষা করে. ও দাঁতের ক্ষয় থেকে দাঁতকে বাঁচায়. হলুদের অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল গুণাবলী থাকায় তা জীবাণুকে থেকেও দাঁতকে রক্ষা করে. তাই অনেক সময় বিভিন্ন টুথপেস্টে হলুদকে আবশ্যকীয় উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে আসছে. এছাড়া মাড়ি থেকে রক্ত পরা কমাতে ও মুখের ভেতরে ক্ষত সারাতে কাঁচা হলুদ নিয়ম করে খাওয়া যেতেই পারে.

 

কাঁচা হলুদ ওজন কমাতেও সাহায্য করে. কাঁচা হলুদের অ্যান্টি ওবিসিডি প্রপার্টি থাকায় নিয়ম করে কাঁচা হলুদ খেলে তার শরীরে মেদ জমতে বাধা দেয় ও ম্যাটাভলি জমের হার বাড়িয়ে দেয়. কাঁচা হলুদ সর্দি কাশিও কমিয়ে থাকে হলুদে থাকা কার্কিন ইনফ্লেঞ্জা, সর্দি কাশি কমায়. এছাড়া কাঁচা হলুদ আমাদের শরীরের immunity বা অনাক্রমতা বাড়ায়. ও সর্দি কাশি থেকে আমাদের আরাম দেয়. কাঁচা হলুদে থাকা vitamin C সর্দি-কাশি কমাতেও সাহায্য করে. কাঁচা হলুদ তলপেটে ব্যথা কমায়. কাঁচা হলুদের anti inflammatory গুণ আমাদের তলপেটে ব্যথা কমাতে বিশেষ ভাবে সাহায্য করে.

 কাঁচা হলুদের মধ্যে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট গুণ থাকায় তা অ্যানিমিয়ার হাত থেকে আমাদের বাঁচায়. মেয়েদের সাদা রনতো এনিমিয়া হওয়ার প্রবণতা দেখা যায়. তাই তাদের পক্ষে হলুদ নিয়ম করে খাওয়া খুবই উপকারী. এছাড়া হলুদে থাকা কার্কিমিন লোহিত রক্ত কণিকাকে রক্ষা করে. হলুদে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকায় তার রক্তে আয়রনের ঘাটতিকেও মেটাতে সাহায্যকরে.অ্যালজাইমার সারা পৃথিবীতে এখন মারাত্মক রোগের আকার ধারণ করেছে. হলুদে থাকা কারকিউমিন অ্যালজাইমারের চিকিৎসার সাহায্য করে থাকবে.

 হলুদের অ্যান্টি ইনফ্লাইমেটরি অ্যান্টিঅক্স গুণ স্মৃতিকে রক্ষা করার ক্ষমতা আলজাইমারের চিকিৎসা কাজে লাগে. দেখা গেছে নিয়ম করে কাঁচা হলুদ খেলে এই রোগের সম্ভাবনা অনেকটা কমে যায়. হলুদে থাকা কার্কিউমিন শ্বাসনা এর পথে থাকা বাধাকে দূর করে ও শ্বাস নেবার ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়. ফলে যাদের হাঁপানি রয়েছে । তাহলে নিয়ম করে এখন থেকে কাঁচা হলুদ খাওয়া শুরু করুন. সহজেই উপকার পাবে. হ্যাপাটাইটি র ফলে আমাদের প্রদাহ হয়. কাঁচা হলুদের অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি ও অ্যান্টিভাইরাল গুণ হ্যাপাটিসের সময় জকৃতের প্রদাহ থেকে আমাদের বাঁচায়. 

এছাড়া হ্যাপাটাইটিস ভাইরাস থেকেও হলুদে রক্ষা করে. কাঁচা হলুদ নিয়ম করে খেলে তার ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে. ওকৃতের স্বাভাবিক কাজকে বজায় রাখতে সাহায্য করে. কাঁচা হলুদ থাইরয়েডের হাত থেকেও আমাদের বাঁচিয়ে থাকে নিয়ম করে কাঁচা হলুদ খাওয়া আমাদের গলগন্ডের সম্ভাবনাকে কমায়. এছাড়া থাইরয়েডের প্রদাহ থেকে বাঁচতে হলুদে থাকা কার্কিউমি আমাদের বিশেষ ভাবে সাহায্য করবে. কাঁচা হলুদ খেলে রক্ত পরিশুদ্ধ হয়. কাঁচা হলুদ রক্তকে পরিশুদ্ধ রাখতে সাহায্য করে ও রক্তকে পরিষ্কার রাখে. 

এ কারণে বহু প্রাচীনকাল থেকেই কাঁচা হলুদ বিভিন্ন আয়ুর্বেদিক ঔষধ হিসেবেও ব্যবহার হয়ে আসছে. কাঁচা হলুদ pures এর সময়. Pures এর আগে বা পিরিয়ডস এর সময় পেটে যদি ব্যথা হয় তাহলে নিয়ম করে কাঁচা হলুদ খান. কাঁচা হলুদের অ্যান্টি ইনফ্লামেটিরি গুণ পেট ব্যথা কমাতে বিশেষ ভাবে সাহায্য করবে. এছাড়া পলিসিস্টিক ওভারি থাকলেও কাঁচা হলুদ নিয়ম করে খেয়ে যান উপকার পাবেন. হলুদ ব্রণ কমায়, কাঁচা হলুদে এন্টি ইনফ্লামে ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল গুণ মুখে ব্রণ কমিয়ে থাকে. 

ব্রণ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য মুখে নিয়ম করে কাঁচা হলুদ পেস্ট করে মাখন ও খান. দেখবেন তাড়াতাড়ি উপকার পাচ্ছেন. কাঁচা হলুদ এলার্জি রোধ করে. কাঁচা হলুদ অ্যান্টি এলার্জিক হিসেবে কাজ করে. ফলে ত্বক ও খাবারের থেকে এলার্জির প্রবণতা থাকলে কাঁচা হলুদ দূর করে থাকবে কাঁচা হলুদ বিভিন্ন ঔষধের পাশ প্রতিক্রিয়া থেকে আমাদের বাঁচায় তো সবাই কে ধন্যবাদ আজ এই পর্যন্তই

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ