সবাইকে পড়ার অনুরোধ করছি।
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আমরা অসংখ্য-অগণিত বাক্য প্রয়োগ করে থাকি। এরমধ্যে সম্পূর্ণ অজ্ঞতার কারণে বা কোন কিছু না বুঝে আমরা কতিপয় কুফরি বাক্য প্রয়োগ করি। এসব বাক্য যুগ যুগ ধরে চলে আসছে আমাদের জীবনে। আমাদের পূর্বসুরিদের কেউ কেউও এসব বাক্য প্রতিনিয়তই প্রয়োগ করতেন। আমরা যারা মুসলমান তাদের এসব কুফরি বাক্য পরিহার করা অতি আবশ্যক। না হলে পরকালে আমাদের জন্য কঠিন শাস্তি অপেক্ষমান।
এসব বাক্য বা কথাগুলো আমাদের ঈমান নষ্ট করে দিতে পারে। তাই আসুন আজ থেকে এসব বলা থেকে বিরত থাকুন।
• আল্লাহও লাগে ইল্লাও লাগে।
(নাউজুবিল্লাহ)
• তোর মুখে ফুল চন্দন পড়ুক। (ফুল চন্দন হিন্দুদের পূজা করার সামগ্রী)।
• কষ্ট করলে কেষ্ট মেলে (কেষ্ট হিন্দু দেবির নাম, তাকে পাবার জন্য কষ্ট করছেন?)
• মহাভারত কি অশুদ্ধ হয়ে গেল?
(মহাভারত একটি উপন্যাস, যা সবসময় অশুদ্ধ)।
• মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত।
(এটি ইসলামের নামে কটুক্তি করা)।
• লক্ষী ছেলে, লক্ষী মেয়ে লক্ষী স্ত্রী বলা। (হিন্দুদের দেব-দেবির নাম লক্ষী তাই ইসলামে এটি হারাম)।
• কোন ওষুধকে জীবন রক্ষাকারী বলা। (জন্ম-মৃত্যু একমাত্র আল্লাহর হাতে)।
• দুনিয়াতে কাউকে শাহেনসা বলা।
(এর অর্থ রাজাদের রাজাধীকার)।
আরও পড়ুন : পবিত্র কুরআনে বর্ণিত ইরাম শহর ও রহস্যময় লুত সাগর সম্পর্কে বিজ্ঞান কি বলে | alhadimedia 360
• নির্মল চরিত্র বোঝাতে ধোয়া তুলসি পাতা বলা (এটি অনইসলামিক পরিভাষা যা হারাম)।
আরও পড়ুন : উম্মুল মুমিনীন আয়িশা (রা.) এর ১০টি বৈশিষ্ট্য
• বিসমিল্লায় গলদ বলা
(এটি সরাসরি কুফরি)।
• মৃত্যুর সাথে পান্জালড়া বলা
(কুফরি বাক্য, তাই সাবধান)।
• মধ্যযুগ বর্বরতা বলা
(মধ্যযুগ ছিল ইসলামের স্বর্ণযুগ)।
• মন ঠিক থাকলে পর্দা লাগে না
( ইসলাম ধংশকারি মতাবদ)।
• নামাজ না পড়লে ঈমান ঠিক আছে বলা। (ইসলাম থেকে বের করার মূলনীতি)।
তাই মুসলিম ভাই ও বোনেরা যখন কথা বলবেন খুব সাবধানে কথা বলবেন
আর এসব কথা ভুলেও মুখে আনবেন না
আসুন না একজন আরেকজন কে সচেতন করার জণ্য উৎসাহ করি,
এই বাক্য গুলি আপনি যে কোণ ভাবে প্রচার করুন।
আপনার একটি শেয়ারে কত মানুষ এই কুফরি বাক্য জানতে পারবে তা কি ভাবা যায়?
মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে এ জাতীয় বাক্য বা কথা বলা থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করুন। এবং অতীতের এ সবের জন্য ক্ষমা করুন। আমিন।
নিউজটি শেয়ার করুন..
0 মন্তব্যসমূহ