প্রথমে তোমাদের রোগ গুলো একে একে বলি
• বেশিক্ষণ পড়তে পারো না, বিরক্তি চলে আসে।
• বেশিক্ষণ একটা সাবজেক্ট পড়তে গেলে বিরক্তি চলে আসে
• ২ ঘন্টা টানা পড়েও একটা চ্যাপ্টার ঠিক মত শেষ করতে পারো না।
• সকালের পড়া রাতে ভুলে যাও।
• বায়োলজি তো এক পৃষ্টা থেকে অন্য পৃষ্টাতে গেলেই ভুলে যাও।
• না বুঝতে পারলেই হাল ছেড়ে যাও ( ভয়ানক রোগ)।
• মোবাইল তোমাদের মিস করে, তোমরাও তার ডাকে সাড়া না দিয়ে থাকতে পারো না।
ব্লা ব্লা ব্লা-
রোগ থাকবেই... আমি এলিয়েনদের কথা বলছি না, আমি সাধারণ স্টুডেন্ডের কথা বলছি ওকে এখনি সিরিয়াস হও! সিরিয়াসলি পড়বে ।
আরও পড়ুন : A+ পেতে শুরু থেকে যেভাবে পড়বেননিচের কথা গুলো ফলো করো-
• প্রথম কাজ, ফোন/ল্যাপটপ/টিভি অন্য
রুমে রেখে আসবা ফোন সাইলেন্ট না
করে অন্য রুমে রেখে আসবা... জরুরী কল
যাদের আসতে পারে আর কি। আবার ভুল বুঝবানা যখন ক্লাস থাকবে তখন রুমে নিয়ে আসবা ক্লাস করবা।
• বুঝে পড়বে। তোমরা অনেক লাকি!তোমাদের এই সময়ে ভিডিও অনেক সমৃদ্ধ হয়েছে... সব চ্যাপ্টারের ভিডিও তোমরা পাবা... ভিডিও তে ভাইয়ারা সবচেয়ে মানসম্মত করে পড়ান। আমার ধারণা, কলেজের টিচার্স রা ও এত ভালো পড়াতে পারেন না... অভিজ্ঞতা তাই বলছে! ভিডিও প্লাস
পয়েন্ট তোমাদের... আমাদের সময় ছিলো না, ভাবতাম, ভিডিও যদি আগে আসতো, বা আমরা যদি আরো কয়েক বছর পর জন্ম নিতাম।
• MOST IMPORTANT POINT, যদি কোন টপিক না বুঝো, প্লিজ প্লিজপ্লিজ হাল ছেড়ে দিয়ে ঐ টপিক skip
করো না... বিপদে পড়বে, must বিপদে পড়বে।
আমি যেসব topic না বুঝে skip করে গেছি, বারবার ঐসব টপিক থেকে পরীক্ষায় প্রশ্ন আসতো... যতক্ষণ বুঝবে না ততক্ষণ সময় দাও ঐ টপিকের... হেল্প নাও... বড় ভাই, টিচার, গ্রুপ, যেখান থেকেই পারো... সময় দিলে অনেক কিছু এমনিতেই বুঝে ফেলবে!
যেসব টপিক বুঝবে না, ঐসব টপিকের নাম একটি পেইজে লিখে রাখবে... এরপর স্যারের থেকে বুঝে নিবে, অথবা পোস্ট করবে... এখন প্রবলেম পোস্ট কম!
পড়ার টাইমে post দিবা না, পড়ার টাইমে ফোন টাচ করবা না, টাইম শেষে পোস্ট দিবে।
আরও পড়ুন : যে কারণে আপনি ভালো Student না• একটি টাইম লিমিট রাখবে। ১ ঘন্টা পড়ার টেবিল ছেড়ে উঠবাই না... শুধু্ মা-বাবার ডাকে সাড়া দিবে.. আর কোন কিছুতে না। পড় বা না পড় একঘন্টা টেবিল ছেড়ে উঠবা না.. প্রথমে বিরক্ত লাগবে,আস্তে আস্তে অভ্যাস হয়ে যাবে... পড়তে ইচ্ছা না করলে বই
উল্টাও, বায়োলজি বই খোলে চিত্র আঁকো... সূত্র রিভিশন দাও! সূত্র- বিক্রিয়া লিখে লিখে প্রেক্টিস
করো... কিন্তু টেবিল ছেড়ে উঠবা না... ১ ঘন্টা পর, ১০-১৫ মিনিট ঘর হেটে আসো, তবে সাবধান, ১০ মিনিট হেটে আসতে গিয়ে আধা ঘন্টা অপচয় করো
না...এভাবে ৩ ঘন্টা পড়ো... এভাবে সকালে, রাতে মোট ৮-৯ ঘন্টা পড়ার টেবিলে থাকো... enough! অনেক লাভ হবে।
• Another Most important point, আজকের পড়া কালকের জন্য ফেলে রাখবে না... সকালে না পড়ে যদি অবসর সময় কাটাও, তাহলে সকালের পড়াটা তোমাকে রাতে পড়তে হবে, রাতের পড়াটা পরদিন সকাল! এভাবে পিছিয়ে যাবে! আজকে না পড়লে, আজকের পড়া কালকে পড়তে হবে, কালকের পড়া
পরশুদিন! বুঝতে পারছো কিভাবে পিছিয়ে যাচ্ছো??
যদি একঘন্টাও পড়ো, তাহলে সে একঘন্টাও তোমার রেজাল্ট জন্য কাজে দিবে... যত ইনপুট দিবা, তত আউটপুট আসবে। ইনপুট না দিলে আউটপুট কি আসবে! lnvest না করলে কি, ব্যবসা হয়? লাভ হয়?? মনে রাখবা, পড়াশুনাতে সময় দেওয়া মানে রেসাল্টের মধ্যে invest করা।
• মন তোমাদের কন্ট্রোল করে না, তোমরাই মনকে কন্ট্রোল করো... পারবে... মন চাচ্ছে ফেসবুকে ঢুকি, তুমি মনকে ধমক দিয়ে বলো, সময় হয়নি... অবশ্যই পারবে... মনকে বলো, এই টপিক না বুঝার মত হলে আমাদের সিলেবাসে থাকতো না, বুঝতেই হবে,সময় দাও!
পুরোটা পড়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ
আপনাদের পরামর্শ আমাদেরকে জানান কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে কমেন্ট বক্সে লিখে কমেন্ট করুন
প্রয়োজনে এ রকম আরো post পেতে আমাদের follow করতে পারেন। শেয়ার করে বন্ধুদেরও পড়তে সাহায্য করুন।
সূত্রে: শ্রদ্ধেয় ভাই
0 মন্তব্যসমূহ