হাদিসের আলোকে বিবাহ করা কেন উত্তম?

বিয়ে করা কি ফরজ,নিজে নিজে বিয়ে করার নিয়ম বিয়ে নিয়ে কোরআনের আয়াত,বিয়ে ফরজ কেন,বিয়ে নিয়ে হাদিস,বিয়ের ফরজ কি কি,বিয়ের জন্য যে নারীকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন নবিজি (সা.)


হাদীসের আলোকে বিবাহের ফজিলত

বিবাহ মহান আল্লাহ তাআলার এক বিশেষ নেয়ামত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর গুরুত্বপূর্ণ একটি সুন্নত।

 রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, 'তিন ব্যক্তিকে সাহায্য করা আল্লাহর দায়িত্ব-

১. যে দাস তার মনিবের সঙ্গে মুক্তির জন্য চুক্তি করেছে,

২. যে ব্যক্তি গোনাহ থেকে বাঁচার জন্য বিয়ে করেছে এবং

৩. যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে জিহাদ করছে।' 

নাসায়ি।

আরও পড়ুন : কোরআনের যে দশটি সূরা আপনাকে দশটি বিপদ থেকে বাঁচাবে


রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, 'হে যুবসমাজ! তোমাদের মধ্যে যারা বিয়ে করার সামর্থ্য রাখো, তারা যেন দ্রুত বিয়ে করে ফেলে। বিয়ে চোখ সংযত রাখে, লজ্জাস্থান সংরক্ষণ করে। যার বিয়ে করার সামর্থ্য নেই সে যেন রোজার রেখে নিজের চাহিদাকে সংযত করে।'

 মুসলিম।


রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, 'তোমরা প্রেমময় এবং সুস্থ দেহের নারী বিয়ে করো। বেশি সন্তান জন্ম দাও। কেয়ামতের দিন আমি আমার উম্মতের সংখ্যাধিক্যের কারণে অন্য নবীর সামনে গর্ব করব।' 

আদাবুজ জিফাফ।

আরও পড়ুন: মৃত্যুর পর মানুষের ৯টি আপসোস


রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, 'কেউ যদি বিয়ে করে, তাহলে ধর্মের অর্ধেক দায়িত্ব পালন করা তার জন্য সহজ হয়ে গেলো। সে যেন বাকি অর্ধেক দায়িত্ব সম্পর্কেও সচেতন থাকে।' 

মিশকাতুল মাসাবিহ।


রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, স্ত্রী ছাড়া অন্য কোনো বেগানা নারীর প্রতি যদি তোমাদের প্রেম জাগে, তাহলে জানবে এটা শয়তানের কাজ। এমন হলে তোমার স্ত্রীকে সময় দাও, সে তোমার কামনা- বাসনা পূরণের জন্য বৈধ সঙ্গী।' 

মুসলিম।

আরও পড়ুন: মসজিদে জামাত বন্ধ মানে কী নামাজ বন্ধ ??


যারা বিয়ে করে না তাদের ব্যাপারে হুঁশিয়ারি

যারা বিয়ে করে না, তাদের ব্যাপারে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন রাসুল (সা.)। হাদিসে আছে, তিনজন ব্যক্তি আল্লাহ রাসুল (সা.)-এর ঘরে আসলেন। তারা ঘরবাসীদের রাসুল (সা.)-এর ইবাদত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেন। তার ইবাদতের কথা শুনে তারা যেন বলল, কোথায় আল্লাহ রাসুল (সা.) আর কোথায় আমরা? তার আগের ও পরের সব গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়েছে। তখন তাদের একজন বলল, আমি সারাজীবন রাতভর ইবাদত করব। আরেকজন বলল, আমি আজীবন রোজা রাখব। কখনো রোজা ভাঙব না। অন্যজন বলল, আমি নারীদের থেকে দূরে থাকব; কখনো বিয়ে করব না। আল্লাহর রাসুল তখন (সা.) তাদের কাছে এসে বললেন, ‘আরে! তোমরা এমন-অমন বলছো না! অথচ আমি তোমাদের সবার চেয়ে বেশি আল্লাহকে ভয় করি। কিন্তু আমি রোজা রাখি, আবার ইফতারও করি। নামাজ পড়ি, আবার ঘুমও যাই। নারীকে বিয়েও করি করি। অতএব, যারা আমার সুন্নত ছেড়ে দেবে, তারা আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়।’ (বুখারি, হাদিস : ৫০৬৩; মুসলিম, হাদিস : ১৪০১)


কাকে বিয়ে করা যাবেনা

একজন মুসলমান কাকে বিয়ে করতে পারবেনা সে বিষয়ে আল কুরআনের স্পষ্ট নির্দেশনা এসেছে।


“তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে তোমাদের মাতা, তোমাদের কন্যা, তোমাদের বোন, তোমাদের ফুফু, তোমাদের খালা, ভ্রাতৃকন্যা, ভগ্নিকন্যা, তোমাদের সে মাতা যারা তোমাদের স্তন্যপান করিয়েছে, তোমাদের দুধ বোন, তোমাদের স্ত্রীদের মাতা, তোমরা যাদের সাথে সহবাস করেছ সে স্ত্রীদের কন্যা যারা তোমাদের লালন-পালনে আছে। যদি তাদের সাথে সহবাস না করে থাক, তবে এ বিবাহে তোমাদের কোন গোনাহ নেই। তোমাদের ঔরসজাত পুত্রদের স্ত্রী এবং দুই বোনকে একত্রে বিবাহ করা; কিন্তু যা অতীত হয়ে গেছে। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাকারী, দয়ালু।” [সূরা নিসা : আয়াত ২৩]




দৃষ্টি আকর্ষ : যদি আপনাদের কাছে আজকের এই পোস্ট ভাল লেগে থাকে তাহলে আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। প্রয়োজনে এ রকম আরো post পেতে আমাদের follow করতে পারেন। 



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ