রূহ কী ? এর ব্যাখ্যা



 বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, বন্ধুরা, রূহ কি জিনিস এ সম্বন্ধে মতভেদ রয়েছে কে রূহ সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করেছিল আল্লাহ কে সে সম্বন্ধে জানাবো এ বিষয়ে আল্লাহতালা তার মহা গ্রন্থ পবিত্র কোরান মাজিদে ঘোষণা করেছেন হে নবী কাফের আপনাকে রূহ সম্বন্ধে প্রশ্ন করিলে আপনি বলুন আল্লাহর একটি আদেশ মাত্র. হজরত রাসুলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মিরাজ শরীফে গমন করেছিলেন, তখন মালাকুল মউত কে জিজ্ঞেস করেছিলেন হে মালাকুল মদ রূহ কি জিনিস. উত্তরে মালাকুল মউথ বলেছিলেন ইয়া রাসুল আমি যাবতীয় মানবের রূহ কবজ করলেও রূহ যে কি জিনিস তা আমি নিজেও জানি না.

 ইহা একমাত্র আল্লাহ তালা ব্যতীত অন্য কেউই অবগত নয়. তবে মানবের জান কবজ করবার পর আমার ডান হাতের তালু একটু ভারী অনুভব করে থাকি. হাদিস শরীফে উল্লেখিত আছে মানব সৃষ্টির বহু কোটি বৎসর পূর্বে আল্লাহতালা যাবতীয় মানবের রূহ একবারে সৃষ্টি করে যখন তাদেরকে জিজ্ঞেস করেছিলেন অর্থাৎ আমি তোমার প্রভু নয়, 

তখন  সকলেই এক বাক্যে উৎপল করল কলু বালা. অর্থাৎ হ্যাঁ, আপনি আমাদের প্রভু, আপনি আমাদের সৃষ্টি কর্তা. পালন কর্তা, রক্ষা কর্তা. রেজিকে দাতা. আপনি আমাদের  মাউলা, আমরা আপনার একান্ত বাধ্য ও অনুগত দাস মাত্র. কোন মানবের মৃত্যু সময় উপস্থিত হলে সম্মানিত লেখক এসে বলে আসসালাম ওয়ালেকুম. আমাদের দুজনের উপর তোমার পাপ পূর্ণ লিখবার বর্পিত ছিল. 

এখন সারা দুনিয়া খুঁজেও আমরা তোমার নামে লিখবার মত কিছুই পেলাম না. তারপর তারা একখানা কালো রঙের খাতা বের করে তার সামনে খুলে,  বলে দেখাতে পারো তখন  ব্যক্তির জীবনের যাবতীয় পাপ কাজের কথা সবই মনের মধ্যে ভেসে ওঠে. আমন লামা পড় য়ার ভয়ে ভিত হয়ে সে ছটফট করতে থাকে.

 তার সর্বাঙ্গ দিয়ে তখন ঘাম ছুটে দারুণ আতঙ্কে তার কন্ঠনালী শুস্ক হয়ে যায়. ও পিপাসায় প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়. তাদের খাতা নিয়ে প্রস্থান করে. চলে যাওয়ার পর মালাকুল মউথ এসে তার সামনে তার সঙ্গে তার ডান দিকে রহমতের ফেরিস্তা এবং বাম দিকে আজাবের ফেরেস্তা দণ্ডায়মান থাকে.

 মালাকুল মউতের সাহায্যকারী ফেরেস্তা মুমূর্ষ ব্যক্তির রহ কে টেনে বের করে যদি মুমূর্ষ ব্যক্তি হয় তবে বালাকুল মতে ডান দিকে অবস্থিত রহমতের ফেরিস্তা অতি আসানের শহীদ রুশকে তার কণ্ঠ পর্যন্ত নিয়ে আসে তারপরে আলাকুল মত তার রস বের করে নিয়ে প্রস্থান করে. আর মুমূর্ষ ব্যক্তি যদি পথকার বা পাপী হয় 

তবে মালাকুল মদ বাম দিকে অবস্থিত আদাবের অত্যন্ত জোর জুলুমের সাথে রোহকে টেনে হিঁচড়ে কণ্ঠ পর্যন্ত নিয়ে আসে. তারপর মালাকুল মদ রফ বের করে নিয়ে প্রস্থান করে. হাদিস শরীফ বর্ণিত আছে কোনো মুমিন বান্দার রূহ কবজ করার পূর্বে মালাকুল মদ তার ডান হাতের তালুতে লিখে নিয়ে রুহ কে দেখান মাত্র হাসতে হাসতে দেহ হতে বের হয়ে আসে. কাজেই রুহ কবজ সময় মমিন ব্যক্তি বিশেষ কোন কষ্ট অনুভব করে না. 

কিন্তু কোন পাখি লোকের রূপ কবরে জন্য যখন মালাকুল বলতে সাহায্য করে ফেরেশতা তার দেহের ভিতরে হস্তপ্রবেশ করিয়ে দেয় তখন তার রূস শরীরের প্রত্যেকটি রগের ভিতর ছোটাছুটি করে পমায়ন করতে চেষ্টা করে  ফেরেস্তা ও রুহের ভিতরে এই পিরাপির জন্যই মুমূর্ষ ব্যক্তির  মৃত্যুকষ্ট উপস্থিত হয়. জানকান দানের ফলে এবং দেহ উভয়ে ভীষণভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়ে. তার সর্বাঙ্গ. জর্জরিত হয়ে যায়. 

কোন মুমিন বান্দা যখন ওই দুনিয়া ত্যাগ করে, আখেরাতে পথে অগ্রসর হয় তখন আসমান হতে সূর্যের মতো উজ্জ্বল চেহারা যুক্ত. অসংখ্য ফেরেস্তা এগিয়ে এসে আসমানের দরজা উন্মুক্ত করে দেয়. মালাকুল মদ তার আরশের নিকটবর্তী ইল্লিয়ান নামক স্থানে নিয়ে তথাকার অধিবাসীদের তালিকায় তার নাম লিখে পুনরায় দুনিয়ায় পাঠিয়ে দেয়. 

পক্ষান্তরে কোন পাপী লোকের মৃত্যু সময় অসংখ্য গজবের ফেরেস্তা পোশাক সহ তাঁর দিকে এগিয়ে আসে. মালাকুল মত তার রহ কে সিন নামক স্থানে নিয়ে গিয়ে সেখানকার অধিবাস তালিকায় তার নাম লিখিয়ে পুনরায় দুনিয়াতে পাঠিয়ে দেয়. মৃত ব্যক্তিকে দাফন করার পর রোহকে পুনরায় তার দেহে প্রবেশ করিয়ে দেওয়া হয়.     




অতৎপরও মনকার নাকি ফেরেস্তা তার কবরে প্রবেশ করে মৃত ব্যক্তিকে উঠিয়ে বসান. হাদিস শরীফে বর্ণিত আছে কোনো ব্যক্তি ৃৃমৃত্যুর তিনদিন পরে তাঁর রহ আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করে. হে আল্লাহ আপনি মেহেরবানী করে অনুমতি প্রদান করুন. আমি দুনিয়ায় গিয়ে আমার দেহের অবস্থা দর্শন করে আসি. 

কে অনুমতি দেন সে কবরের নিকট এসে দেখে যে তার শরীরটা ফুলে উঠেছে নাক মুখ দিয়ে রক্ত মিশ্রিত পানি গড়িয়ে পড়ছে দেহের অবস্থা দর্শন করে বলে হায়রে আমার সাধের শরীর আজ তোমার একই অবস্থা দর্শন করছি. হে আমার পরম বন্ধু আজ এই ঘোর অন্ধকার কবরে আবদ্ধ হয়ে তোমার জীবনের কথাকে কিছু স্মরণ হয় কি? 

এই কবর এক ভীষণ সঙ্গীহীন গৃহ এরা শুধুই দুঃখ ও মুসিবত সহ্য করবার এবং ক্রন্দন ও অনুতাপ কবর স্থান এসব কথা বলে অনুতাপ করতে করতে দুঃখিত মনে আকাশের দিকে ফিরে যায় একসময় সাহাবাগন জিজ্ঞেস করেছিলেন মৃত ব্যক্তিদের জন্য দুয়া করবার সময় একজনের জন্য দুয়া না করে ।

অনেক লোকের জন্য দোয়া করলে তাতে তাদের আজাবের পরিমাণ কিছু কম হয় হজরত এ কথার উত্তর দান প্রসঙ্গে একটি মোমবাতি জ্বেলে তাদেরকে লক্ষ্য করে বল নিন আমার মোমবাতিটা হাতে যদি বিশ জন একশো জন বা এক হাজার জনকে আলো চেনে নিতে দেই তবে কারো অংশ কম পরবে কি সাহাবাগন উত্তর করলে না হুজুর কারো আলোয় কম পড়বে না. 

হুজুর সালাম বললেন ঠিক সেই রূপ তোমরা যদি একজনের পরিবর্তে সহস্র জনের জন্য এমনকি দুনিয়ার সকল মুসলমানদের জন্য দোয়া কর. তবে সকলেই সমান লাভ করবে কারো সোয়াব একটুও কম পরবে না. পক্ষান্তরে তোমার নিজের লাভ হবে অনেক বেশি. কেননা তুমি যদি একজনের জন্য দোয়া করো. তবে শুধু তার নিকট থেকে তুমি দুয়া পাবে আর তুমি যদি দশজনের জন্য দোয়া করো, তবে দশজনই তোমাকে দোয়া করবে এবং তুমি যদি সকল মুসলমানদের জন্য দোয়া করো, তবে দুনিয়ার সকল মুসলমানদের আর তাই তোমাকে দোয়া করবে. সুবহানাল্লাহ.  তো আজ এ পর্যন্তত






একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

2 মন্তব্যসমূহ