যে কারণে আপনার বিড়াল পালন করা উচিৎ



তারা আপনার বাড়িতে ফেরেশতাদের নিয়ে আসবে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর অনেক বিড়াল ছিল তাদের লালা বিশুদ্ধ, তারা নিজেদের পরিষ্কার করে তারা খুব শান্ত 


হাদিসে বিড়াল সম্পর্কে তথ্যঃ-

হযরত মোহাম্মদ (صلى الله عليه وسلم) বিড়াল পছন্দ করেন। বিড়াল পরিষ্কার এবং খাঁটি প্রাণী।

 বিড়াল বাড়ি এবং মসজিদে প্রবেশ করতে পারে।

বিড়ালের প্রতি ভালোবাসা ইসলামে বিশ্বাসের লক্ষণ।

মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আবুহুরাইরা (রাঃ)-কে বিড়ালের পিতা বলে ডেকেছেন। কারণঃ তিনি বিড়াল পোষতেন এবং ভালোবাসতেন।


"একজন মহিলা জাহান্নামে প্রবেশ করেছিল একটি বিড়ালের কারণে। যাকে সে বেঁধে রেখেছিল কিন্তু খাওয়ায়নি, এবং পৃথিবীর কীটপতঙ্গকে খাওয়ানোর জন্য ছেড়ে দেয়নি।"

    [আল-বুখারি: 3140, মুসলিম: 2242]


তাই যদি কোন বিড়াল বা কোন প্রাণী খাবারের সন্ধানে আপনার কাছে আসে, তবে তা উপেক্ষা করবেন না। এটি আপনার কাছে এসেছে শুধুমাত্র আপনার কল‍্যাণের জন্য এবং কিছু গুনাহ দূর করার জন্য। সুবহানাল্লাহ্।

আসুন,-- বিড়াল সম্পর্কে কিছুটা অবগত হই এবং ভালো ধারণা অর্জন করি।

বিড়াল, খাবারে মুখ দিলে তা নষ্ট হয় না। যেমন,- ভাত, তরকারি ও দুধ ইত্যাদি খাবারে বিড়াল যদি মুখ দেয় বা খায়, তাহলে এই খাবার আপনি খেতে পারেন তাতে দোষ নেই। বিড়ালের মুখ পাক।

বিড়াল অসুস্থ হলে সতর্ক থাকবেন। বিড়ালকে সুস্থ করে তুলার জন্য সুচিকিৎসার ব‍‍্যবস্তা করবেন। এটা হবে আপনার জন্য সওয়াবের কাজ।

একটি বিড়াল বাড়ির ভিতরে খারাপ জিন এবং মন্দ উপাদানগুলিকে তাড়াতে পারে। বিড়াল যদি কাঁদে তবে এটি আশেপাশের লোকেদের কাছে একটি খবর বা সতর্কবার্তা প্রদান করতে পারে। যখন একটি বিড়াল আপনার চারপাশে হেঁটে বেড়ায় এবং আপনার পায়ে পায়ে তার শরীরকে ঘসে, তখন বুঝবেন বিড়ালটি আপনাকে ভালোবাসা জানাচ্ছে এবং খারাপ আত্মা তাড়িয়ে দিচ্ছে। আপনার মধ্যে যদি দোষীত কোনো কিছু থেকে থাকে তাহলে তা দূর করছে।

আপনি যখন ঘুমাচ্ছেন এবং আপনার পাশে একটি বিড়াল থাকবে, তখন কোনও অস্বাভাবিক প্রাণী আপনার কাছে আসবে না। কারণ,অস্বাভাবিক প্রাণীগুলো বিড়ালকে ভয় পায়। তাই বিড়ালদের তাড়িয়ে দিবেন না, আঘাত করবেন না, কারণ বিড়াল উপকারী প্রাণী। 


মনে রাখবেন,-- 

আপনি এবং আপনার পরিবার বিড়াল পোষা ও ভালোবাসার সুবাদে অনেক অজানা অনিষ্ট হতে রক্ষা পাবেন। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ