হজরত ওয়ায়েস করনী (র:) এর জীবনী || Biography of Hazrat Wais Karni (R :)

  


নামঃ খাইরুত ত্বাবেয়ীন সুলতানুল আশেকীন আশেকে রাসূল(দঃ) হযরত খাজা ওয়াস করনি (র)। জন্মঃ- ইয়েমেনের করন শহর। সমাধিঃ-মদিনার দক্ষিণে জোবায়দা শহরে । পিতাঃ- হযরত আব্দুল্লাহ (র) । মাতাঃ-হযরত বেদউরা (র)। পদবিঃ- সুলতানুল আশেকিনে রাব্বানি ,আল্লাহ্ ও তার রাসুলের নয়ন মনি ।


 ওয়াস করনি (র) আল্লাহ্র ইবাদতে এতই মশগুল থাকতেন যে নিজের দেহের প্রতি কোন খেয়ালই করতেন না।তিনি দেখতে ছিলেন উজ্জ্বল ফর্সা মধ্যমা আকৃতির,চোখ দুটি ছিল নীল সমুদ্রের মত, মাথার চুল ছিল আলু- থালু ,উস্ক-শুস্ক । তিনি এতই  ইবাদত করতেন যে খাওয়া,ঘুম কাহাকে বলে তা তিনি জানতেন না। এত কঠর ইবাদতের ফলে তার পেট পিঠের সাথে লেগে গিয়েছিল,সারা শরীর ধনুকের মত বাঁকা হয়ে গিয়েছিল। 

সারা দেহে মাংস বলতে কিছুই ছিল না, ছিল শুধু হাড় । দূর থেকে তাহার দেহের সব হাড় গুলি একটা একটা করে গোনা যেত। তিনি শত ছিন্ন তালি দেওয়া কাপড় পড়তেন। সাধারণ মানুষ দেখে তাকে রাস্তার পাগল বলে উপহাস করে পাথর ছুড়ে মারতো,পাথরের আঘাতে ফিনকি দিয়ে রক্ত প্রবাহিত হত। তবুও ওয়াস করনি কখনও কাউকে অভিশাপ দিতেন না ।

তিনি শুধু এই কথাই বলতেন যে ” ভাই দয়া করে আমাকে ছোট ছোট পাথর মারুন,যাতে পাথরের আঘাতে রক্ত প্রবাহিত হওয়ার কারনে আমার অজু যেন না ভেঙ্গে যায় ” ওয়াস করনি দিন- রাত ২৪ ঘণ্টা নামাজ পড়তেন। দেখে মনে হত নামাজই ছিল তার দিনরাতের খাবার। 

তিনি ছিলেন বড়ই মাতৃ ভক্ত মায়ের আদেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করতেন। শুধু তাই নয় তিনি যেখানেই যেতেন মাকে ঘাড়ে উঠিয়ে নিয়ে যেতেন।এক মুহূর্তের জন্য তাহার মাকে মাটিতে পা ফেলতে দিতেন না। কত বড় মায়ের ভক্ত হলে এমনটি করা যায়, এ বড় ভাবনার বিষয় ।

ওয়াস করনির পিতা আব্দুল্লাহ ছিলেন একজন মস্ত বড় ইহুদি ধর্মের আলেম। এলাকায় তার খুব নাম যশ ছিল। ওয়াস করনির বয়স যখন মাত্র ১০ বছর তখন তাহার পিতা হঠাৎ মারা যাওয়ায় সংসারের সকল দায়িত্ব তার ওপর আরোপিত হয়। পিতার মৃত্যুতে তাদের আর্থিক অভাব অনটনে দিন অতিবাহিত হতে থাকে।

 কখনও এমনও দিন গেছে যে শুধু পানি খেয়ে দিন অতিবাহিত হয়েছে। তিনি বছরের অধিকাংশ দিনই রোযা রাখতেন।দিনের শেষে শুধু একটি খেজুর দিয়ে ইফতার করতেন। যেদিন বেশি খেজুর ক্রয় করতেন সেদিন দুইটা একটা খেজুর রেখে বাকি সবই ফকির মিসকিনদের বিলিয়ে দিতেন। 

শত অভাবে তিনি কারো কাছে হাত পাততে না।ওয়াস করনির বহু আমির ভক্ত ছিল যারা দামি দামি কাপড়, টাকা পয়সা দিয়ে ওয়াস করনিকে সাহায্য করতে চাইত,কিন্তু ওয়াস করনি তা ফিরিয়ে দিয়ে শুধু বলতেন “আমার দয়াল নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ই যখন উম্মতের জন্য সকল আরাম আয়েশ ছেড়ে দিলেন, তখন আমি তার গোলাম হয়ে কিভাবে আরাম আয়েশ করতে পারি? ।

 ক্রমেই যখন ওয়াস করনি খ্যাতি বাড়তে থাকে তখন তিনি তার মাকে নিয়ে জঙ্গলে আত্ম গোপন করেন, যাতে মানুষের কারনে তার ইবাদত করতে কোন প্রকার অসুবিধা না হয়। 

 


গুনাবলি ও অলৌকিক ক্ষমতা :

১। নবীর প্রেমে নিজের ৩২ টা দাঁত ভেঙ্গে ফেলা ওহুদের যুদ্ধে মহা নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর যখন একটি দাঁত যখন শত্রু আঘাতে ভেঙ্গে যায়।তখন ওয়াস করনি ইয়েমেন থেকে ২০০ মাইল দূর থেকে এই সংবাদ বাতিনি দৃষ্টিতে জানতে পেরে নবীর প্রেমে পাগল হয়ে আল্লাহ্কে জিজ্ঞাস করলেন ” ইয়া মাবুদ ইলাহি আমার দয়াল নবীর কোন দাঁত টা শহীদ হয়েছে আমাকে দয়া করে একটু জানান।আল্লাহ্ তালা ওয়াস করনিকে পরীক্ষা করার জন্য সেদিন নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর কোণ দাত টা শহীদ হয়েছে তা ওয়াস করনিকে জানতে দেন নি। ওয়াস করনি নবীর ব্যাথায় ব্যাথিত হয়ে সেদিন পাথর দিয়ে নিজের একে একে ৩২ টা দাত ফেলে দেন। ওয়াস করনির নবীর প্রতি এমন প্রেম দেখে সেদিন আল্লাহর আরশ থর থর কেপে উঠেছিল।

২। ওয়াস করনী ও মুসা ,,  নবীর পর আল্লাহপাক তার দ্বীন রক্ষার জন্য অনেক নবী প্রেরন করেছিলেন।তার মধ্যে ওয়াস করনি (র) এর সময়ে নবী ছিলেন মুসা নবীর খাদেম নবী ইউশা ইবনে নুন (আ) । আল্লাহ্ একদিন নবীকে প্রেমের পরীক্ষা করার জন্য বললেন” হে নবী আমার অনেক দিন ধরে জীবিত মানুষের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ আহার করার জন্য বাসনা হইতেছে, তুমি আমার এই বাসনা পূরণ করো যদি তুমি আমাকে ভালোবেসে থাকো। তখন নবী বলল” ইয়া মাবুদ আপনার তো আহার,নিদ্রার কোন প্রয়োজন নাই, তবে কেন আজ এই বিচিত্র বাসনা প্রকাশ করিতেছেন? আল্লাহ্ বলেন ” হে ইউশা আমি যা জানি,নিশ্চয়ই তুমি তা জানো না।এরপর নবী একটি পাত্র আর একটা ছুরি নিয়ে প্রত্যেক এর দ্বারে দ্বারে আল্লাহ্র এই বিচিত্র বাসনার কথা বললে সবাই তাকে পাগল বলে ফিরিয়ে দেন। অবশেষে নবীকে নিরাশ মনে ফিরে যেতে দেখে ওয়াস করনি বলল “ইয়া রাসুল আল্লাহ আপনার মন এত হতাশ কেন? জবাবে নবী ইউশা আল্লাহ্ পাকের বিচিত্র বাসনার কথা বলেন। এই কথা শুনে বললেন” এতে হতাশ হবার কি আছে? বলুন আপনার আল্লাহ্ মানুষের কোন অঙ্গের মাংস খেতে চেয়েছেন? নবী বলেন”আল্লাহ্ পাক তো নির্দিষ্ট করে আমাকে কিছুই বলেন নি। তখন ওয়াস করনি নবীর কাছ থেকে ছুরি নিয়ে আল্লাহু আল্লাহু বলে নিজের দেখের সমস্ত অঙ্গ প্রতঙ্গ থেকে মাংস কেটে দেন।এমনকি কি কলিজার কিছু অংশ দান করেন। আল্লাহর প্রতি এই প্রেম দেখে নবী ইউশা থেকে শুরু করে সয়ং আল্লাহ্ পাক রাব্বুল আলামিনের আরশে কম্পন সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে ওয়াস করনির অঙ্গ–প্রতঙ্গ পুনরায় আল্লাহর কুদরতে মাংসে পূর্ণ হয়ে যায়।প্রেমের পরীক্ষা নবী বিফল হয়ে গেল কিন্তু আল্লাহর আশেক ওয়াস করনি আল্লাহর প্রেমের কি নমুনা তা বিশ্ববাসিকে দেখিয়ে দিল।

৩। দয়াল নবীর গায়ের জুব্বা প্রাপ্তিঃ-দয়াল নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাহার ইন্তেকালের পূর্বে হযরত আলীকে ডেকে বললেন “আমার গায়ের জুব্বা টা আমার মৃত্যুর পর আমার শ্রেষ্ঠ আশেক ওয়াস করনিকে পৌঁছে দিয়ো এবং আমার উম্মতের গুনাহ মাপের জন্য  একটু আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ করতে বোলো। সাবধান!ওয়াস করনি যেন কভু আমার মৃত্যুর খবর জানতে না পারে। কারন সে যদি ইহা জেনে আমার রওজা সামনে এসে এশকের জোরে ইয়া রাসুলুল্লাহ বলে একবার ডাক দেয়,তাহলে আমি নবী রওজার ভিতরে আর থাকতে পারবো না।

৪। এক সেজদায় উম্মতের ১২ আনা গুনাহ মাপ হযরত আলি দয়াল নবীর ইন্তেকালের পর যখন ওয়াস করনির সাথে দেখা করে দয়াল নবীর পবিত্র জুব্বা দিয়ে তাহার উম্মতের গুনাহ মাপের জন্য ওয়াস করনির কাছে অনু রোধ করলেন। তখন ওয়াস করনি তাহার মাকে নিজের ঘাড় থেকে নামিয়ে হযরত আলী (র)কে দিয়ে আল্লাহর কাছে সেজদা পড়ে যায়। কথিত আছে হযরত আলীকে আল্লাহ্ পাক সমগ্র দুনিয়া নিজের কনিষ্ঠ আঙ্গুলে তোলার মত শক্তি দিয়েছিলেন। কিন্তু যখনই তিনি ওয়াস করনির মাকে নিজের ঘাড়ে নেন,তখন সাথে সাথেই তিনি মাটিতে গলা পর্যন্ত দেবে যান। অন্য দিকে ওয়াস করনির সেজদার জোরে আল্লাহর আরশ যখন থর থর করে কাপা শুরু করলো তখন আল্লাহ্ তালা বললেন “যাও হে ওয়াস করনি আমি মুহাম্মদের সমগ্র উম্মতের ৪ আনা গুনাহ মাপ করলাম তুমি সেজদা উঠাও। ওয়াস করনি বললেন আমি ১৬ আনা গুনাহ মাপ না করা পর্যন্ত আমি সেজদা উঠাবো না। আল্লাহ্ যখন দেখলেন যে তাহার সেজদার জোরে আল্লাহর আরশ কুরশি লৌহ কলম ভেঙ্গে চুরমার হওয়ার উপক্রম তখন বললেন “যাও আমি ১২ আনা মাপ করলাম,তুমি এখন সেজদা উঠাও”তবুও ওয়াস করনি সেজদা উঠান নি। এই সময় হঠাৎ হযরত আলি “বাঁচাও বলে চিৎকার করলে ওয়াস করনির ধ্যান ভেঙ্গে যায়। ওয়াস করনি তখন বলল “হায়! হায় ! হযরত আলি তুমি কেন চিৎকার দিলে,আর কিছু ক্ষণ যদি আমি সেজদায় থাকতে পারতাম তাহলে দয়াল নবীর সব উম্মতকে বিনা হিসাবে জান্নাতে নিয়ে যেতে পারতাম।

৫। হযরত বিল্লাল (র) এর জীবন দান - আল্লাহ্ তালা একদিন জিব্রাইল (র) এর মারফত দয়াল নবীকে জানালেন যে ইসলামের প্রথম মুয়াজ্জিন হযরত বেলাল আর ৩ দিনের বেশি বাঁচবে না। তাহার সকল আয়ু শেষ হয়ে গিয়েছে। নবীজী আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করলেন” ইয়া বারে ইলাহি আপনি কি না পারেন, দয়া করে আপনি তার আয়ু আরও বৃদ্ধি করে দিন”আল্লাহ্ বললেন “হে নবী তাহা সম্ভব না,আমার লিখিত বিধান অপরিবর্তনীয়”ইহা যদি পরিবর্তন করা যেত তাহলে আপনার দোয়ার ফলে তাহা সঙ্গে সঙ্গে হয়ে যেত”। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর এই নিরশার কথা ওয়াস করনি গায়েবের মাধ্যমে জানতে পেরে তৎক্ষণাৎ বেলাল (র) এর দরজায় গিয়ে বসে থাকেন। আজ্রাইল (আ) যান কবছ করতে আসলে ওয়াস করনি তাহার ঝুলি থেকে একটা শুকনা রুটি বের করে খেতে আরম্ভ করলে আজরাইল (আ) তাকে দরজা থেকে সরে দাড়াতে বললে ওয়াস করনি বলেন” তুমি জানো না যে খাওয়ার সময়ে কাউকে বিরক্ত করতে আল্লাহ্ পাকের নিষেধ? আজ্রাইল (আ) আবারও সরে যেতে বললে ওয়াস করনি তার হাতের লাঠি দিয়ে আজরাইল (আ) একটা বারি মারলেও আজরাইল (আ) ভয়ে আল্লাহর আরশে যেয়ে আল্লাহকে বলেন “হে আল্লাহ্ তোমার এক আশেক বান্ধা আমাকে বিল্লালের জান কবচ করতে না দিয়ে লাঠি দিয়ে আঘাত করায় আমি ভয় পেয়ে আমি তোমার কাছে এসে পানাহ চাচ্ছি,তাহার লাঠির এতই জোর যে যদি একটু ছোঁওয়াও আমার গায়ে লাগতো তাহলে আমি আজরাইল খণ্ড খণ্ড হয়ে যেতাম।” ওয়াস করনি তখন আল্লাহ্কে সেজদা দিয়ে বিল্লালের হায়াত বৃদ্ধির জন্য বললে “আল্লাহ্ বলেন নাআল্লাহ্ বলেন না আমি এটা পারবো না” তখন ওয়াস্ করনি বললেন” ইয়া আল্লাহ্ তুমি পারো না,এমন কিছুই নাই। আজকে যদি বিল্লালের হায়াত না বাড়াও তাহলে আমি সারা দিন সেজদা পড়ে রইবো।আল্লাহ্ যখন দেখলেন যে তাহার আরশ ভাঙ্গার উপক্রম হইতেছে তখন বলেন” যাও আমি ৭ বছর আয়ু বৃদ্ধি করলাম। ওয়াস করনি তখন তাহার শাহাদাত আঙ্গুলি দিয়ে মাটিতে ৭ লিখে আল্লাহকে বলল  আল্লাহ্ ঠিক আছে তুমি হায়াত ৭ বছর দিয়েছ আমি তার সাক্ষী হিসবে ৭ এর সাথে একটা শুন্য লাগিয়ে দিলাম এই ৭০ বছর হায়াত বিল্লালের তুমি কবুল করো।পাগলে এই কীর্তি দেখে আল্লাহ্ বেজার হওয়ার অবস্থা সৃষ্টি হইলে ওয়াস করনি আরও একটা শুন্য বসাইতে গেল, সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহ বলে উঠলেন আর হায়াত বাড়াস না নবীর প্রেমিক, এর বেশি হইলে আমার শরিয়ত থাকে না।তখন ৭০ বছর হায়াত ই আল্লাহর দরবারে কবুল হল ।

৬। দয়াল নবীর রওজা জিয়ারতঃ ওয়াস করনি দয়াল নবী ইন্তেকালের খবর পেয়ে মদিনায় পাগলের মত ছুটে গেলে মদিনায় ঢোকার পূর্বেই দয়াল নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাহার রওজার খাদেমকে বললেন” শিগ্রই মদিনা শহরের প্রবেশ দ্বার বন্ধ করে দাও”কারন ওয়াস করনি পাগল যদি আমার রওজা ঢুকে ইয়া রাসুলুল্লাহ বলে একবার ডাক দেয় তাহলে আমি নবীর রওজার ভিতর থাকা সম্ভব না “ওয়াস করনি নবীর রওজা প্রবেশের জন্য সিন্ধুক ভিতর লুকিয়ে,লাকড়ির গাড়ির নিচে শুয়ে মদিনায় প্রবেশের প্রান পণ চেষ্টা চালায় এই সময় তার গা হতে লাকড়ির আঘাতে অঝর ধারায় রক্ত ছুটছিল। কিন্তু বার বারই সে প্রবেশ করতে বিফল হয়ে যেতেন।অবশেষে ৩ দিন ধরে মদিনার বাইরে ইয়া নবী ইয়া নবী বলে কান্না-কাটি শুরু করলে তাহার কান্না দয়াল নবী সইতে না পেরে খাদেম ডেকে বললেন “তুমি পাগলকে ডেকে বল যে মদিনার দক্ষিনে থাকতে আমি নবী তাহার সাথে দেখা করবো” খাদেমের কথা অনুযায়ী ওয়াস করনি মদিনার দক্ষিণে গেলে দয়াল নবী তাহার সাথে দেখা করেন। ওয়াস করনি যখনই দয়াল নবীর মুখ মোবারক দেখতে পান তখনই নবীকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকেন। নবীর প্রতি তাহার এস্কের ভাব তখন এতই আধিক হয়েছিল যে সঙ্গে সঙ্গে কলিজা ফেটে সে সেখানেই তিনি মারা যান। বর্তমানে তাহার রওজা শরিফ সেখানেই অবস্থিত।

 সারা বিশ্বে ওয়াস করনির ৭ টা রওজা শরিফ রয়েছেঃ- ১ম রওজা সিফফিনে ,২য় রওজা আজারবাইজানে,৩য় রওজা ইয়েমেনে,৪থ পাকিস্থানের সিন্ধু প্রদেশে,৫ম মদিনার দক্ষিনে জোবায়দায়,৬স্থ গজনীতে,৭ম বাগদাদে।

ওয়াস করনি একদিন আল্লাহ্ পাকের কাছে এই বলে প্রার্থনা করেন যে  হে আল্লাহ্ আমাকে দুনিয়া ও আখিরাতে গোপন রাখো, কেউ যেন আমার সঠিক পরিচয় জানতে না পারে  আল্লাহ্পাক তার এই দোয়া কবুল করেন। এই দোয়া করার সাথে সাথেই আল্লাহ্র কুদরতে একজন ওয়াস করনি হতে ৭ জন সৃষ্টি হয়ে ৭ দেশে চলে যায়। পরবর্তীতে এই ৭ জন ৭ ভাবে ৭ জাগায় ইন্তেকাল করেন। কিন্তু সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হল যে উক্ত ৭ টা রওজা শরীফেই অলৌকিক কারামত লক্ষিত হয় । ওয়াস করনি (র) এর রওজা সারা বিশ্বের মানুষের কাছে আজও রহস্যের বিষয় হয়ে আছে এবং চিরো কাল থাকবে বলে ধারনা করা হয়। 



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ