জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনকোর্স পরীক্ষা সাজেশন–২০২৫

 

স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস সাজেশন ২০২৫ – ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর, সংক্ষিপ্ত ও বর্ণনামূলক সাজেশন। পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য নির্ভরযোগ্য নোট ও সহজ ব্যাখ্যা।স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস সাজেশন
Incourse 

বিষয়: স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস (আবশ্যিক)


ক-বিভাগ

যেকোনো ১০টি প্রশ্নের উত্তর দাও।

১। বাংলাদেশকে স্বাধীন করার জন্য গঠিত প্রথম কমিটির নাম কী?

২। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ‘স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র’ কোথায় স্থাপিত হয়?

৩। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন কতজন সেক্টর কমান্ডার দায়িত্ব পালন করেন?

৪। মুক্তিযুদ্ধকালীন মুজিবনগর সরকার কার নেতৃত্বে গঠিত হয়?

৫। মুক্তিযুদ্ধের সময় কতটি সেক্টরে বিভক্ত করা হয়েছিল?

৬। মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক কে ছিলেন?

৭। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন পাকিস্তানি বাহিনী নারায়ণগঞ্জে কতজনকে হত্যা করে?

৮। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন কুমিল্লা সেনানিবাসে কতজন মুক্তিকামী সেনাকে হত্যা করা হয়?

৯। মুক্তিযুদ্ধের সময় গঠিত ছাত্রসংগঠনের নাম কী?

১০। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন কুষ্টিয়া কী নামে পরিচিত ছিল?

১১। ১৯৭১ সালের গেরিলা যুদ্ধের সংগঠক কে ছিলেন?

১২। ২৫শে মার্চ গণহত্যার আন্তর্জাতিক নাম কী?

১৩। পদ্মা নদীর তীরবর্তী মুক্তাঞ্চল কোথায় ছিল?

খ-বিভাগ

যেকোনো ৫টি প্রশ্নের উত্তর দাও।

১। ৬-দফার প্রধান দফাগুলো আলোচনা কর।

২। মুক্তিযুদ্ধের কারণ কী ছিল?

৩। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা স্বাধীনতা আন্দোলনের ক্ষেত্রে কী ভূমিকা রাখে?

৪। মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী সরকারের বিবরণ দাও।

৫। মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান বর্ণনা কর।

৬। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ছাত্রসমাজের অবদান সংক্ষেপে আলোচনা কর।

গ-বিভাগ

যেকোনো ৩টি প্রশ্নের উত্তর দাও।

১। ভাষা আন্দোলন কী? ব্যাখ্যা কর।

২। ১৯৪৭ সালের দেশ বিভাগের ফলে গঠিত পাকিস্তান সম্পর্কে বাংলার অবস্থান বর্ণনা কর এবং পাকিস্তান রাষ্ট্র টেকেনি কেন?

৩। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে গণমাধ্যমের ভূমিকা বিস্তারিত আলোচনা কর।

৪। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকালে পাকিস্তানি সেনারা বাঙালি নারীদের উপর কী ধরনের নির্যাতন চালায়?

৫। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চে ঢাকায় সংঘটিত হত্যাযজ্ঞ আলোচনা কর।


আরও পড়ুন : স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস সাজেশন 

 উত্তরসমূহ


ক-বিভাগ (সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর)

১। বাংলাদেশকে স্বাধীন করার জন্য গঠিত প্রথম কমিটির নাম – স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ।

২। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র স্থাপিত হয় – কলকাতার তত্ত্বাবধানে, শুরুতে চট্টগ্রামে (২৬ মার্চ ১৯৭১), পরে কলকাতায়।

৩। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সেক্টর কমান্ডারের সংখ্যা – ১১ জন।

৪। মুজিবনগর সরকার গঠিত হয় – সৈয়দ নজরুল ইসলাম (অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি) এর নেতৃত্বে।

৫। মুক্তিযুদ্ধের সময় বিভক্ত সেক্টরের সংখ্যা – ১১টি সেক্টর।

৬। মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক ছিলেন – জেনারেল এম.এ.জি. ওসমানী।

৭। নারায়ণগঞ্জে হত্যা – মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে প্রায় কয়েকশত মুক্তিকামী মানুষকে হত্যা করা হয় (প্রায় ২০০ জন)।

৮. কুমিল্লা সেনানিবাসে নিহত মুক্তিকামী সেনা – প্রায় ১৭০০ বাঙালি সেনা।

৯। মুক্তিযুদ্ধকালে গঠিত ছাত্র সংগঠন – স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ।

১০। কুষ্টিয়া পরিচিত ছিল – "মুক্ত কুষ্টিয়া" নামে।

১১। ১৯৭১ সালের গেরিলা যুদ্ধের সংগঠক – মেজর জিয়াউর রহমান, পাশাপাশি এম এ জলিল ও অন্যান্যরা।

12। ২৫শে মার্চ গণহত্যার আন্তর্জাতিক নাম – অপারেশন সার্চলাইট।

13। পদ্মা নদীর তীরবর্তী মুক্তাঞ্চল – চরাঞ্চল (ফরিদপুর, রাজবাড়ী ও কুষ্টিয়া অঞ্চলে)।


খ-বিভাগ (বর্ণনামূলক)

১। ৬-দফার প্রধান দফাগুলো –

মুদ্রানীতি ও বৈদেশিক মুদ্রার নিয়ন্ত্রণ হবে পূর্ব বাংলার হাতে।

কর ও রাজস্ব আদায়ের ক্ষমতা থাকবে পূর্ব বাংলার কাছে।

বৈদেশিক বাণিজ্যের ক্ষমতা পূর্ব বাংলার থাকবে।

পূর্ব বাংলার আয় পূর্ব বাংলায় ব্যয় হবে।

দুই অংশের মধ্যে কেবল প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্রনীতি কেন্দ্রের হাতে থাকবে।

পূর্ব বাংলায় আলাদা ব্যাংক ও মুদ্রা ব্যবস্থা থাকবে।

২। মুক্তিযুদ্ধের কারণ –

ভাষা আন্দোলনের বৈষম্য

অর্থনৈতিক শোষণ

রাজনৈতিক অধিকার হরণ

ছয় দফার প্রতি বিরোধিতা

১৯৭০ সালের নির্বাচনের ফল অগ্রাহ্য

পাকিস্তানি সেনাদের গণহত্যা ও নির্যাতন

৩। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা –

এটি বাঙালির স্বাধীনতা আন্দোলনের গতিকে ত্বরান্বিত করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও অন্যান্য নেতারা এই মামলার মাধ্যমে জাতির কাছে স্বাধীনতার প্রতীক হয়ে ওঠেন।

৪। প্রবাসী সরকারের বিবরণ –

১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলায় মুজিবনগর সরকার গঠিত হয়। এতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন রাষ্ট্রপতি (কারাবন্দি অবস্থায়), সৈয়দ নজরুল ইসলাম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি, তাজউদ্দীন আহমদ প্রধানমন্ত্রী, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী অর্থমন্ত্রী, এ.এইচ.এম. কামারুজ্জামান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী।

৫। ভারতের অবদান –

আশ্রয় দেওয়া

প্রশিক্ষণ প্রদান

অস্ত্র ও রসদ যোগান

মুক্তিবাহিনীকে সহায়তা

সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ

১৬ ডিসেম্বর যৌথ বাহিনীর মাধ্যমে পাকিস্তান সেনাদের আত্মসমর্পণ করানো।

৬। ছাত্রসমাজের অবদান –

স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠন

মিছিল, আন্দোলন, জনমত গঠন

গেরিলা যুদ্ধে অংশগ্রহণ

প্রবাসী সরকারের সাথে সমন্বয়

আন্তর্জাতিকভাবে সচেতনতা সৃষ্টি


গ-বিভাগ (দীর্ঘ প্রশ্নোত্তর)

১। ভাষা আন্দোলন কী –

মাতৃভাষার অধিকার রক্ষার্থে সংঘটিত আন্দোলনই ভাষা আন্দোলন। ১৯৪৮ সালে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার ষড়যন্ত্র এবং ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি পুলিশ গুলিতে সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার শহীদ হওয়ার মাধ্যমে ভাষা আন্দোলন ইতিহাসে অমর হয়ে আছে।


২। ১৯৪৭ সালের দেশ বিভাজনের ফলে পাকিস্তান ও বাংলার অবস্থান –

পাকিস্তান গঠিত হয়েছিল ধর্মের ভিত্তিতে, কিন্তু এর ভেতর অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক বৈষম্য ছিল প্রকট। পূর্ব পাকিস্তান সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও শাসনক্ষমতা ছিল পশ্চিম পাকিস্তানের হাতে। এই বৈষম্যের কারণে পাকিস্তান রাষ্ট্র টিকতে পারেনি এবং স্বাধীন বাংলাদেশ জন্ম নেয়।


৩। মুক্তিযুদ্ধকালীন গণমাধ্যমের ভূমিকা –

স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র সংবাদ প্রচার

মুক্তিযুদ্ধের গান ও নাটক পরিবেশন

সংবাদপত্রে মুক্তিযুদ্ধের খবর প্রকাশ

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে পাকিস্তানি সেনাদের গণহত্যা প্রকাশ

মুক্তিযোদ্ধাদের মনোবল বৃদ্ধি


৪। মুক্তিযুদ্ধকালীন পাকিস্তানি সেনাদের নারী নির্যাতন –

তারা বাঙালি নারীদের ওপর ব্যাপক ধর্ষণ, হত্যা, লাঞ্ছনা চালায়। প্রায় ২-৪ লাখ নারী এই নির্যাতনের শিকার হন।


৫। ২৫ মার্চের হত্যাযজ্ঞ –

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি সেনারা ‘অপারে

শন সার্চলাইট’ চালায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, পিলখানা, রাজারবাগসহ বিভিন্ন স্থানে তারা গণহত্যা চালায়। হাজারো সাধারণ মানুষ ও ছাত্রছাত্রী শহীদ হন। এটি ছিল মুক্তিযুদ্ধের সূচনা।


আরও পড়ুন: ১ লাখে পাবেন ১১ লাখ টাকা !







একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ