আবিষ্কার ও আবিষ্কারক || তুমি কি পৃথিবীর ব্যাসার্ধ মাপতে পারবে ?

 


• থেলিস ( খ্রিস্টপূর্ব 624–586 ) : প্রাচীন গ্রিক ও রোম সাম্রাজ্য থেলিস সূর্যগ্রহণ সম্পর্কিত ভবিষ্যদ্বাণীর জন্য বিখ্যাত ছিলেন । তিনি লোডস্টোনের চৌম্বক ধর্ম সম্পর্কে জানতেন । 

• পিথাগোরাস ( খ্রিস্টপূর্ব 527 ) : বিভিন্ন জ্যামিতিক উপপাদ্য ছাড়াও কম্পমান তারের ওপর তাঁর কাজ অধিক স্থায়ী অবদান রাখতে সক্ষম হয়েছিল ।

ডেমোক্রিটাস ( খ্রিস্টপূর্ব 460 ) : গ্রিক দার্শনিক ডেমোক্রিটাস ধারণা দেন যে পদার্থের অবিভাজ্য একক রয়েছে । তিনি একে নাম দেন এটম বা পরমাণু । 

• আর্কিমিডিস ( খ্রিস্টপূর্ব 287 ) : বিখ্যাত গ্রিক গণিতবিদ আর্কিমিডিস লিভারের নীতি ও তরলে নিমজ্জিত বস্তুর উপর ক্রিয়াশীল উর্ধ্বমুখী বলের সূত্র আবিষ্কার করে । 

• আল মাসুদী ( 896 ) : আল মাসুদী প্রকৃতির ইতিহাস সম্পর্কে একটি এনসাইক্লোপিডিয়া লিখেন । 

ইরাতোস্থিনিস ( খ্রিস্টপূর্ব 276 ) : সঠিকভাবে পৃথিবীর ব্যাসার্ধ বের করেছিলেন । 

ইবনে আল হাইয়াম ( 956 ) : আলোকবিজ্ঞানের স্থপতি হিসেবে বিবেচনা করা হয় । 

শেন কুয়োর ( 1031 ) : চুম্বক নিয়ে কাজ করেছেন এবং ভ্রমণের সময় কম্পাস ব্যবহার করে দিক নির্ধারণ করার বিষয়টি উল্লেখ করেছিলেন ।

 কোপার্নিকাস : সূর্যকেন্দ্রিক একটি সৌরজগতের ব্যাখ্যা দেন । 

কাউন্ট রামফোর্ড : তিনিই প্রথম দেখান যে , তাপ এক ধরনের শক্তি এবং যান্ত্রিক শক্তিকে তাপশক্তিতে রূপান্তর করা যায় । 

• ভোল্টা : বৈদ্যুতিক ব্যাটারি আবিষ্কার করেন ।

 • ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক : কোয়ান্টাম তত্ত্ব আবিষ্কার করেন । এই তত্ত্ব ব্যবহার করে পরবর্তীতে পরমাণুর স্থিতিশীলতা ব্যাখ্যা করা সম্ভব হয়েছিল ।

 মাইকেলসন ও মোরলি : ইথারের অস্তিত্ব আবিষ্কারের চেষ্টা করেন এবং দেখান প্রকৃতপক্ষে ইথার বলতে কিছু নেই এবং আলোর বেগ স্থির কিংবা গতিশীল সব মাধ্যমে সমান ।

  আইনস্টাইন : থিওরি অব রিলেটিভিটি আবিষ্কার করেন এবং দেখান যে , বস্তুর ভরকে শক্তিতে রূপান্তর সম্ভব অর্থাৎ E = mc✓ " । 

রন্টজেন : এক্স - রে আবিষ্কার করেন । 

পিয়েরে ও মেরি কুরি : রেডিয়াম আবিষ্কার করেন । 

গ্যালিলিও গ্যালিলি ( 1564–1642 ) : পড়ন্ত বস্তুর সূত্র আবিষ্কার করেন । গাণিতিক সূত্র দেওয়ার পর পরীক্ষা করে সেই সূত্রটি প্রমাণ করার বৈজ্ঞানিক ধারার সূচনা করেন ।

• স্যার আইজ্যাক নিউটন ( 1642-1727 ) : বলবিদ্যা ও বলবিদ্যার বিখ্যাত তিনটি সূত্র আবিষ্কার করেন । আলোকবিদ্যায়ও তাঁর অবদান রয়েছে । মহাকর্ষ বলের সূত্র আবিষ্কার করেন যেটি বল ও গতিবিদ্যার ভিত্তি তৈরি করে দেয় । 

হ্যান্স ক্রিশ্চিয়ান ওয়েরস্টেড ( 1777-1851 ) : তড়িৎ প্রবাহের চৌম্বক ক্রিয়া আবিষ্কার করেন । 

জেমস ক্লার্ক ম্যাক্সওয়েল ( 1831-1879 ) : আলোর তড়িৎ চুম্বকীয় তত্ত্বের বিকাশ ঘটান । 

ওটো হান ( 1879-1958 ) ও স্ট্রেসম্যান ( 1902-1980 ) : এ দুজন বের করেন যে নিউক্লিয়াস ফিশনযোগ্য । 

সত্যেন্দ্রনাথ বসু ( 1894–1974 ) : তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন । তিনি প্ল্যাঙ্কের কোয়ান্টাম তত্ত্বের একটি শুদ্ধতর প্রমাণ উপস্থাপন করেন ।

 

প্রাচীনকাল থেকেই বিজ্ঞানীরা বিজ্ঞানের উন্নয়নে অবদান রেখে আসছেন । এর ধারাবাহিকতায় বিংশ শতাব্দীতে পদার্থবিজ্ঞানের এক বিস্ময়কর অগ্রগতি ঘটে । বিজ্ঞানী ওটোহান ও স্ট্রেসম্যান এই সময়েই আবিষ্কার করেন যে নিউক্লিয়াস ফিশনযোগ্য । 

ফিশনের ফলে একটি বড় ভর সংখ্যা বিশিষ্ট নিউক্লিয়াস প্রায় সমান ভর সংখ্যা বিশিষ্ট দুটি নিউক্লিয়াসে রূপান্তরিত হয় এবং নিউক্লিয়াসের ভরের একটি অংশ শক্তিতে রূপান্তরিত হয় । এ তথ্য অনুসরণ করে নিউক্লিয় বোমা ও নিউক্লিয় চুল্লির আবিষ্কার ঘটে । 

এ শতাব্দীতেই তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানে কোয়ান্টাম তত্ত্ব , আপেক্ষিক তত্ত্ব প্রভৃতি বিকাশ লাভ করেছে । এ শতাব্দীতে চিকিৎসা বিজ্ঞানের অগ্রগতিতে পদার্থবিজ্ঞান রাখছে গুরুত্বপূর্ণ আবদান । চিকিৎসাবিজ্ঞানের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি আবিষ্কারের পাশাপাশি তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ বিভিন্ন চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে রোগ নিরাময়ের ক্ষেত্রেও অসামান্য অবদান রাখছে ।

 বিংশ শতাব্দীতে পদার্থবিজ্ঞানের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি মহাশূন্য অভিযান । চাঁদে মানুষের পদার্পণ থেকে শুরু করে , মঙ্গল গ্রহে অভিযানসহ মহাশূন্য স্টেশনে মাসের পর মাস মানুষের বসবাস জ্ঞানের ক্ষেত্রে অসামান্য অগ্রগতি । কৃত্রিম উপগ্রহ আবহাওয়ার পূর্বাভাস দানে কিংবা যোগাযোগকে সহজ করতে চমৎকার অবদান রাখছে । 

আর ইলেকট্রনিক্স তো আমাদের দৈনন্দিন জীবনে নিয়ে এসেছে বিপ্লব , পাল্টে দিচ্ছে জীবনযাপন প্রণালি । রেডিও , টেলিভিশন , ডিজিটাল ক্যামেরা , মোবাইল ফোন , আই প্যাড আর কম্পিউটারের কথা এখন ঘরে ঘরে । বিভিন্ন ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম ও কম্পিউটার মানুষের ক্ষমতাকে অনেকখানি বাড়িয়ে দিয়েছে ।



প্রশ্ন | যদি হঠাৎ করে তোমার এবং তোমার চারপাশের সবকিছুর সাইজ অর্ধেক হয়ে যায় তুমি কি বুঝতে পারবে ? 

 যদি হঠাৎ করে আমি এবং আমার চারপাশের সবকিছুর সাইজ অর্ধেক হয়ে যায় তাহলে আমি বুঝাতে পারব না । কারণ আমরা কোনো বস্তুর পরিবর্তন লক্ষ্য করি অন্য আরেকটি বস্তুর প্রসঙ্গ কাঠামোর সাপেক্ষে । কোনো একটি প্রসঙ্গ কাঠামোকে আদর্শ বিবেচনা করে আমরা দূরত্ব পরিমাপ করি । 

যেমন- মিটার স্কেলকে আদর্শ বিবেচনা করে আমরা দূরত্ব পরিমাপ করি । এক্ষেত্রে মিটার স্কেল যদি পরিবর্তিত করে অর্ধেক করা হয় এবং দূরত্বও পরিবর্তিত করে অর্ধেক করা হয় তাহলে আমাদের পূর্বের পরিমাণ এবং বর্তমান পরিমাণ একই থাকবে । 

অনুরূপ উচ্চতা ও ব্যাসার্ধের ক্ষেত্রেও একই ঘটবে । অতএব আমি এবং আমার চারপাশের সকল প্রসঙ্গ কাঠামো অর্ধেক হয়ে গেলে আমি বুঝতে পারব না । 


■ প্ৰশ্ন  তুমি কি পৃথিবীর ব্যাসার্ধ মাপতে পারবে ? 

 খ্রিষ্টপূর্ব 276 সালে গ্রিক বিজ্ঞানী ইরাতোস্থিনিস যে পৃথিবীর ব্যাসার্ধ মেপেছিলেন আমিও সেই একইভাবে পৃথিবীর ব্যাসার্ধ মাপতে পারব । মনে করি আমি ঢাকার মালিবাগ এলাকায় এখান থেকে । মেঘমুক্ত আকাশে কোনো একটি নাম জানা তারার উন্নতি কোণ সেক্সট্যান্ট যন্ত্রের সাহায্যে পরিমাপ করব । 

এখন থেকে আবার গাজীপুর সাফরি পার্কে চলে যাব মেঘমুক্ত তারার আগের সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য ( অবশ্যই সেক্সট্যান্ট যন্ত্র নিয়ে ) সেখানে অবস্থান করে আকাশের ঐ নাম জানা তারার কোণ পরিমাপ করব । উন্নতিকোণের দুই পাশের পার্থক্য পরিমাপ করব ।

 360 d R মনে করি তা ৪। এখন ঢাকা এবং গাজীপুরের সিটি কর্পরেশনের ম্যাপ থেকে মালিবাগ থেকে সাফারিপার্কের দূরত্ব ( d ) মেপে নিব 1 = সূত্র থেকে পৃথিবীর ব্যাসার্ধ R পরিমাপ করব । 

সুতরাং আমি এই পদ্ধতিতে আমি পৃথিবীর ব্যাসার্ধ পরিমাপ করতে পারবো ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ