মহাবিশ্ব সৃষ্টির পূর্বে আল্লাহ্ তা'আলা কী করতেন তা আমাদের জানার ক্ষেত্র নয়। আর, আল্লাহ্ তা'আলা সময়ের আগে থেকেই অস্তিত্বমান।
আমরা বিশ্বাস করি, আল্লাহ্ তা'আলা চিরন্তন, সৃষ্টিকর্তা, এবং সকল জিনিসের উপরে পূর্ণ কর্তৃত্বশালী। তিনি সর্বদা জ্ঞানী, সর্বশক্তিমান, এবং ন্যায়পরায়ণ।
মহাবিশ্ব সৃষ্টির পূর্বে তিনি কী করতেন তা সম্পর্কে আমাদের কাছে স্পষ্ট কোন জ্ঞান নেই। তবে, কুরআন ও হাদিসের কিছু বর্ণনা থেকে আমরা কিছু ধারণা করতে পারি।
কুরআনে বলা হয়েছে : "আল্লাহ্ ছাড়া আর কোন সত্যিকারের ইলাহ নেই। তিনি জীবন্ত, চিরন্তন। তাকে ঘুম ছুঁয়ে যায় না, নিদ্রাও পায় না। আসমান ও যমীন যা কিছু আছে তার মালিকানা তাঁর। তাঁর অনুমতি ছাড়া তার কাছে কেউ সুপারিশ করতে পারে না, তিনি জানেন তাদের সামনে ও পেছনে যা কিছু আছে। আর তারা তার জ্ঞানের পরিমাণ লাভ করতে পারে না, যতটুকু তিনি ইচ্ছা করেন। তার সিংহাসন আসমান ও যমীনকে বেষ্টন করে রেখেছে। আর আসমান ও যমীনের রক্ষণাবেক্ষণ তাকে ক্লান্ত করে না। তিনিই উচ্চতম, মহান।" (সূরা আল-বাকারা: 255)
"তিনিই সর্বোচ্চ। তিনিই সর্বশ্রেষ্ঠ। তিনিই অদৃশ্য, জ্ঞানী।" (সূরা ত্বা-হা: 11)
হাদিসে রাসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন :"আল্লাহ্ তা'আলা ছিলেন, এবং তার সাথে আর কিছুই ছিল না। তারপর তিনি আরশ সৃষ্টি করেছেন।" (সহীহ বুখারী ও মুসলিম)
"আল্লাহ্ তা'আলা পানির উপরে আরশ স্থাপন করেছেন।" (সহীহ মুসলিম)
এই বর্ণনাগুলো থেকে আমরা বুঝতে পারি যে, মহাবিশ্ব সৃষ্টির পূর্বে আল্লাহ্ তা'আলা একাই অস্তিত্বমান ছিলেন। তিনি জ্ঞানী, সর্বশক্তিমান, এবং ন্যায়পরায়ণ ছিলেন। তিনি আরশ সৃষ্টি করেছেন এবং পানির উপরে স্থাপন করেছেন।
আরও পড়ুন : একজন মুসলমানের জানা উচিৎ!তবে, আল্লাহ্ তা'আলা কীভাবে আরশ সৃষ্টি করেছেন, পানি কীভাবে সৃষ্টি হয়েছিল, এবং তিনি কীভাবে জ্ঞান ও শক্তির অধিকারী ছিলেন - এসব বিষয় আমাদের জানার ক্ষেত্র নয়। কারণ, এসব বিষয় আমাদের বুদ্ধি ও জ্ঞানের পরিধির বাইরে।
আমাদের কর্তব্য হল আল্লাহ্ তা'আলার প্রতি ঈমান আনা, তাঁর ইবাদত করা, এবং তাঁর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর অনুসরণ করা।
আর একটু সহজ ভাবে বলি মনে করুন আপনি ATM থেকে টাকা তুললেন। এরপর সেই টাকা পকেটে ঢুকিয়ে বাড়ী ফিরে আসলেন।
বাড়ীতে ফিরে, সবাইকে ডেকে, একে একে টাকা দিলেন। প্রথমে দিলেন বাবা কে, তারপর মা কে, সবশেষে আপনার ওয়াইফ কে টাকা দিলেন।
আরও পড়ুন : হাদীসের আলোকে অধিকাংশ নারী জাহান্নামী হওয়ার কারণ
এবার আপনার কাছে দুটি প্রশ্নঃ
ওই টাকা গুলোর মধ্যে এটিএম মেশিন থেকে কোন নোটটি সবার আগে বের করেছেন?
কোন নোটটি সবার আগে পকেটে ভরে বাসায় এনেছেন?
এখানে বোঝার বিষয় হলো - আপনি বাসায় ফেরার পরে, যখন টাকা দেওয়া শুরু করেছেন, তখন কেউ আগে পেয়েছে, কেউ পরে পেয়েছে। তবে, ATM মেশিন থেকে টাকা বের করার সময়, কোন আগে-পরে ছিল না। পকেটে ঢুকিয়ে, টাকা বহন করার সময়ও কোন আগে-পরে ছিল না। ঘরে ফেরার পরে অগে-পরে শুরু হয়েছে।
এবার, মহাবিশ্ব জিনিসটা চিনুন। মহাবিশ্ব হলো ফাকা স্থান ও চলমান সময়ের সমন্ময়। মহবিশ্বে স্থান ও সময় একসাথে মিশে আছে। আপনি সর্বদাই কোন এক স্থানে থাকেন ; কোন এক সময়ে থাকেন। আপনি সময় ও স্থানের বাইরে যেতে পারেন না।
আল্লাহ এই মহাবিশ্ব সৃষ্টি করেছেন। এর আগে মহাবিশ্ব ছিলো না। মহাবিশ্ব সৃষ্টির আগে, স্থান বলে কিছু ছিলো না।
কথাটি ভালোভাবে বুঝতে হবে - মহাবিশ্ব সৃস্টির আগে, ফাকা স্থানটাও ছিলো না। সময় বলেও কিছু ছিলো না।
আল্লাহ সময় সৃষ্টি করার পরে আগে-পরে জিনিসটা শুরু হয়। মহাবিশ্ব সৃষ্টির পূর্বে "সময়" ছিল না। আপনি ভালভাবেই জানেন - সময় না থাকলে আগে-পরে বলে কিছুই থাকে না।
আরও পড়ুন : মৃত্যুর পরেও নেকি পাওয়ার ৬ টি উপায়
সময় আপেক্ষিক। আইনাইস্টাইন থেকে আমরা জানি যে আমার ঘড়ি আর আপনার ঘড়ি একইহারে ঘুরবে বা চলবে না। সময়( অথবা আমাদের ঘড়ির হার) নির্ভর করে গতি এবং গ্র্যভিটিতে।
যদি আমার ঘড়ি অতি গতিতে থাকে এবং এটি যদি একটি শক্তিশালী মাধ্যাকর্ষণ বলে থাকে তাহলে আমার ঘড়ি আপনার ঘড়ির তুলনায় ধিরে চলবে ( উদাহরন ধরুন দুইটি ঘড়ি একটি প্ল্যান রাখা অথবা মহাবিশ্বে কোন এক নভোযানে আর একটি আপনার সাথে এখন নভোযানের যদি আলোর গতিতে ছুটে চলে আর তা যদি একটি শক্তিশালী মাধ্যাকর্ষণে থাকে তাহলে ওই ঘড়িটি পৃথিবীতে রাখা ঘড়ির চেয়ে ধিরে চলবে।
কোরআন [২২:৪৭] জান্নাত/জাহান্নামের সাথে পৃথিবীর সময়ের তুলনা করছে। ( ১দিন বনাম ১০০০ বছর) কিছু সময় আবার কোরআন [৭০:৪] পৃীথিবীর সময়ের সাথে ওয়ার্ম হোলের সময়ের তুলনা করছে ( ১ দিন বনাম ৫০,০০০ বছর) { এখানে ওয়ার্ম হোলব্যপার হল ফেরেশতারা ওয়ার্ম হোল ব্যবহার করে এই মহাবিশ্বে বিচরণের জন্য}
মুসলিমরা বিশ্বাস করে যে জান্নাত আর জাহান্নাম উভয়ই পৃথিবির চেয়ে অতি বৃহৎ । (কিন্তু এখন পর্যন্ত আল্লাহর আরশ চেয়ে অতি ক্ষুদ্রতর)। দ্যা থিওরি অফ জেনারেল রেলেটিভিটি বলে যে সময় পৃথিবীর থেকে অধিক ভর বিশিষ্ট বা বিরাট কোন বস্তুর কাছে অতি ধিরে অতিক্রম করে (ঘড়ি একটি শক্তিশালী মাধ্যাকর্ষণ বলে ধিরে চলে)। এতএব জেনারেল রিয়েলিটিভিটি মতে, সময়ের উচিৎ পৃথিবীর চেয়ে জান্নাত/জাহান্নামে অধিক ধিরে চলা আই মিন জান্নাত/ জাহান্নামে সময় অতি ধিরে যাবে আমাদের পৃথিবীর সময়ের চেয়ে। আর আল্লাহ তাই বলছেন। কোরআন বলছে যে জান্নাত/জাহান্নামের ১ দিন আর আমাদের গনা পৃথিবীতে তা ১০০০ বছর।
আরও পড়ুন : ওহাবীরা বিশ্বাস না করলেও সত্য - হজরত তাহির কুর্দি(রহঃ)
তাই আল্লাহ এই মহবিশ্ব (স্থান ও সময়) তৈরি করেছেন আমাদের জন্য। তিনি নিজে এসবের বাইরে থাকেন।
আল্লাহ সময়ের অধীন নন. সময় এবং মহাবিশ্ব সবই আল্লাহর সৃষ্টি। এসব বিষয়ে আমাদের চিন্তা-ভাবনা করার অনেক সুযোগ আছে। তবে মনে রাখতে হবে, আমাদের জ্ঞান সামান্যই।
পৃথিবী তৈরী করতে ৬ দিন লাগলো কেন?
আগে একটা কথা বলে রাখি ছয়দিনে আল্লাহ আসমান-জমিন সৃষ্টি করেছেন। পৃথিবী বলা হয় নি।
وَهُوَ الَّذِى خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَالْأَرْضَ فِى سِتَّةِ أَيَّامٍ وَكَانَ عَرْشُهُۥ عَلَى الْمَآءِ لِيَبْلُوَكُمْ أَيُّكُمْ أَحْسَنُ عَمَلًا ۗ وَلَئِن قُلْتَ إِنَّكُم مَّبْعُوثُونَ مِنۢ بَعْدِ الْمَوْتِ لَيَقُولَنَّ الَّذِينَ كَفَرُوٓا إِنْ هٰذَآ إِلَّا سِحْرٌ مُّبِينٌ
তিনি সেই সত্তা যিনি ছয় দিনে আসমান ও জমিন সৃষ্টি করেছেন, আর তখন তাঁর সিংহাসন ছিল পানির ওপরে, যাতে তোমাদের মধ্যে কাজে কে শ্রেষ্ঠ তিনি তা পরীক্ষা করতে পারেন। আর তুমি যদি (তাদেরকে) বল, “মৃত্যুর পর তোমাদেরকে উঠানো হবে” তাহলে কাফেররা অবশ্যই বলবে, “এটা তো স্পষ্ট যাদু ছাড়া আর কিছু নয়।”
তাফসীরবিদ সাঈদ ইবনে যুবায়ের (রা.) বলেন: আল্লাহ তালার মহাশক্তি নিঃসন্দেহে এক নিমিষেই সবকিছু সৃষ্টি করতে পারে কিন্তু মানুষকে বিশ্বব্যবস্থা পরিচালনার ধারাবাহিকতা ও কর্মপক্কতা শিক্ষা দেওয়ার উদ্দেশ্যে ছয়দিন ব্যয় করা হয়েছে। যেমন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: চিন্তাভাবনা, ধীরস্থিরতা ও ধারাবাহিকতার সাথে কাজ করা আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে, তড়িঘড়ি কাজ করা হয় শয়তানের পক্ষ থেকে। (মারেফুল কুরআন)
এখানে আমরা দিন বলতে নিশ্চয়ই ২৪ ঘণ্টা=১দিন এই হিসাব ধরি। কিন্তু আপনি যদি কুরআনের ঐ আয়াতের দিকে তাকান তাহলে দেখবেন দিন এর আরবি হিসেবে "ইয়াম" ব্যবহার করা হয়েছে। যার বহুবচন "আইয়াম" । এখন আপনি যদি আরবি ডিকশনারিতে খোঁজ করেন তবে দেখতে পাবেন "ইয়াম" এর ২ টি অর্থ আছে। একটি হলো দিন। অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টা=১ দিন। আর একটি অর্থ হলো পর্যায় বা phase। আপনি যদি ঐ আয়াতের অর্থ এভাবে করেন যে, আল্লাহ তায়ালা পুরো মহাবিশ্ব সৃষ্টি করেছেন ৬ টি পর্যায়ে তাহলে কিন্তু খুব সহজেই বুঝতে পারা যায়। কিন্তু এমনটি বলা হয়নি যে এক একটি পর্যায় সম্পন্ন করতে আল্লাহ'র ২৪ ঘণ্টা লেগেছে।
তাই এমনটি যেমন হতে পারে যে আল্লাহ এক একটি পর্যায় তৈরি করার জন্য শুধু "হও" বলেছেন তেমনি এমনটিও হতে পারে যে আল্লাহ তায়ালা দীর্ঘ সময় ধরে সব সৃষ্টি করেছেন। কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে সৃষ্টি করেছেন তার মানে এই নয় যে তিনি হও বললেই সব সৃষ্টি হয় না। অবশ্যই তিনি হও বলার সাথেই সব সৃষ্টি হয়ে যায়। কিন্তু কখনো কখনো তিনি ইচ্ছা করেই কোনো কোনো কাজ দীর্ঘ সময় ধরে করেন বা দেরিতে করেন।
যেমন আল্লাহ তায়ালা চাইলেই হযরত আদম (আঃ) কেই পবিত্র কুরআন দিতে পারতেন। কিন্তু তা তিনি করেননি। ঠিক তেমনি তিনি ৬ টি পর্যায়ে এই মহাবিশ্ব সৃষ্টি করেছেন তার মানে এই নয় যে তিনি একবারেই সৃষ্টি করতে পারেন না। অবশ্যই পারেন। কিন্তু কোনো বিশেষ উদ্দেশ্যেই তিনি তা করেননি। আশা করি বুঝাতে পেরেছেন
অন্য আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন -
إِنَّا كُلَّ شَىْءٍ خَلَقْنَهُ بِقَدَرٍۢ
"নিশ্চয়ই আমি সবকিছু নির্দিষ্ট অনুপাতে ও পরিমাপে সৃষ্টি করেছি।" ( আল কুরআন ৫৪:৪৯)
যেহেতু আল্লাহ চেয়েছেন যে ছয় দিনেই এই মহাবিশ্বের সৃষ্টি হোক সেজন্য তা ছয় দিনেই হয়েছে।
তিনি যদি চাইতেন ছয় ঘন্টায় সৃষ্টি হোক তাহলে তাই হতো।
একই ভাবে আল্লাহ চেয়েছেন মানবসন্তান দশমাস গর্ভে অবস্থানের পরে জন্ম হোক, তাই দশমাস পরেই মানব সন্তান জন্ম গ্রহণ করে। তিনি চাইলে দশ দিনেই তা হতে পারতো।
আচ্ছা -...
পানি কেন ১০০ ডিগ্রী সেলসিয়াস এ ফুটতে থাকে এবং বাস্পে রূপান্তরিত হয়?
আল্লাহ কি এটা পাঁচ ডিগ্রিতে করতে পারতেননা ?
আরও পড়ুন : পাপ থেকে বাঁচতে সেরা উপায় ইব্রাহিম ইবনে আধাহাম -
অবশ্যই পারতেন। তিনি ইচ্ছা করেছেন তাই এটা ১০০ ডিগ্রীতেই হয়।
আল্লাহ কেন এরকম চেয়েছেন ?
উত্তর হলো, তা আল্লাহই ভালো জানেন। আমাদেরকে সেই জ্ঞান দেয়া হয়নি। আমাদেরকে আল্লাহ সামান্যই জ্ঞান দিয়েছেন।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন -
"তারা আপনাকে রূহ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। বলে দিনঃ রূহ আমার পালনকর্তার আদেশ ঘটিত। এ বিষয়ে তোমাদেরকে সামান্য জ্ঞানই দান করা হয়েছে।" ( আল কুরআন ১৭:৮৫)
প্রতিটি প্রাণীকেই আল্লাহ জ্ঞানের সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছেন; এর থেকে বেশি কারো পক্ষেই জানা সম্ভব নয়। একটি মুরগীর পক্ষে আইনস্টাইনের থিওরী অফ রিলেটিভিটি কোনোদিনই বোঝা সম্ভব হবেনা। আবার বিভিন্ন প্রাণী অথবা কীট পতঙ্গকে আল্লাহ এমন কিছু বৈশিষ্ট বা ক্ষমতা দিয়েছেন যার কাছে মানুষের ক্ষমতা অতি সামান্য -
মহাবিশ্বের সৃষ্টি সম্পর্কে আল্লাহ আমাদেরকে অতি সামান্যই জ্ঞান দিয়েছেন। তাই আপনি যদি সৃষ্টি রহস্যের কোনোকিছু বুঝতে না পারেন সেটা সাধারণভাবেই আপনার জ্ঞানের সীমাবদ্ধতার কারণে, সৃষ্টিকর্তার ক্ষমতা বা জ্ঞানের সীমাবদ্ধতার জন্য নয়, সব ব্যাপারেই তিনি অসীম। অসীমের সাথে তুলনা করলে আমাদের এবং অন্যান্য প্রাণী বা কীটপতঙ্গের জ্ঞানবুদ্ধির পরিসীমার তেমন কোনো পার্থক্য নেই।
আল্লাহ তার নিজ সর্ম্পকে পবিত্র কুরআনে যতোটুকু জানিয়েছেন সেটুকু নিয়েই সন্তুষ্ঠ থাকতে হবে । কারণ অন্যাথায় মানুষের বিভ্রান্ত হবার সম্ভাবনা রয়েছে । তাই আল্লাহ্ নয় আল্লাহর সৃষ্টি সর্ম্পকে বেশি বেশি ভাবতে ও চিন্তা করতে হবে । কারণ আল্লাহ বলেছেন , সকল সৃষ্টির মধ্যে রয়েছে আল্লাহর নির্দশন । আল্লাহ সন্তুষ্ট হলে তিনিই সকল প্রশ্নের উত্তর আমাদের আন্তরে দান করবেন ।
পুরোটা পড়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ
আপনাদের পরামর্শ আমাদেরকে জানান কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে কমেন্ট বক্সে লিখে কমেন্ট করুন
0 মন্তব্যসমূহ