HSC-24 শিক্ষার্থীদের বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে সমস্যা সমূহ এবং সমাধান এর পথ উল্লেখ করা হলো।প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা, ২-৩ সপ্তাহ পড়াশুনার বাহিরে থাকলে পুনরায় পড়াশুনোয় মনোযোগ বসানো একটু কঠিন হয়ে পড়ে। সেক্ষেত্রে কোন শিক্ষার্থী ৪-৫ মাস কিংবা তারও বেশি সময় নিজের পড়াশুনা থেকে দূরে থাকার পর হঠাৎ পড়াশোনায় একাগ্রচিত্তে মনোযোগী হতে চাইলে শুরুতে যেসব সমস্যায় পড়তে পারেন ।
• কীভাবে শুরু করবেন, কোথা থেকে শুরু করবেন কূল কিনারা পাবেন না।
• দীর্ঘদিন উদাসীন থাকার ফলে নিজের আত্মবিশ্বাস থাকবে একেবারেই তলানিতে এইজন্য একটু পর পরই হতাশ হয়ে যাবেন।
• ১০-১৫ মিনিট পড়ার পরই মাথা ঘোরাচ্ছে, ঝিমঝিম ভাব আসছে
• ১-২ ঘন্টা পড়ার পরও কী পড়লেন কিছুই বুঝতে পারছেন না
• পড়ার মাঝে কোন টপিক্স ঠিকভাবে বুঝতে না পারার কারনে পড়াশুনোর প্রতি আবার আগ্রহী হারিয়ে যাচ্ছে।
• মনে হচ্ছে অনেকক্ষন পড়েছেন কিন্তু ঘড়িতে দেখবেন মাত্র ২০ মিনিট ও হয়নি
• অপেক্ষাকৃত দুর্বল শিক্ষার্থীর নেতিবাচক পোস্ট এখন বেশি বেশি দেখতে পাবেন ভয়, চিন্তা, হতাশা সম্পর্কিত স্ট্যাটাস
• অতিরিক্ত সময় ফেসবুকে, ইন্টারনেটে চলে যাচ্ছে যেটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছন না
• পড়াশুনা নিয়ে অনেক পরিকল্পনা করছেন কিন্তু শুরু করতে পারছেন না
• পড়তে বসলেও পড়ার চেয়ে বেশি চিন্তা, ভয়, হতাশা চলে আসে যে কারনে পরীক্ষা না দেয়ার চিন্তা মাথায় চলে আসে।
সমাধানের উপায়। ✓
• ফেসবুকে হতাশা সম্পর্কিত নেতিবাচক পোস্ট এড়িয়ে চলা
• নিজের দৈনন্দিন সময় উপযোগী একটা রুটিন তৈরি করা যেখানে কমপক্ষে ৫-৬ ঘন্টা study time থাকবে।
• প্রয়োজনে অধিক কঠিন এবং কম গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় স্কিপ করা যেন দক্ষতার সাথে পড়তে পারেন।
• যেসব বন্ধুরা আপনাকে পড়াশুনা থেকে দূরে রাখতে প্ররোচিত করে তাদের আপাতত avoid করুন।
• বিশেষজ্ঞ শিক্ষকদ এর পরামর্শ নেয়া কীভাবে কম সময়ে দক্ষতার সাথে অধিকাংশ সিলেবাস শেষ করা যায়।
• প্রথম দিকে পড়াশোনা সহজে মুখস্থ হতে চাইবেনা এইজন্য বেশি সময় নিয়ে অল্প টপিক্স বার বার পড়া।
• কোন বিষয় সমস্যায় পড়লে নিজে নিজে সমাধান করতে সময় বেশি লাগলে Expert দের সাহায্য নেয়া।
• শেষ সময়ে সর্বোচ্চ আউটপুট পেতে একটা কোর্স করা যেতে পারে যেখানে উন্নতি হচ্ছে কিনা সকলের সাথে পরীক্ষা দিয়ে যাচাই করা যায়
• ২০-২৫ দিন পর দেখবেন আগের চেয়ে পড়ার দক্ষতা অনেক বেড়ে গিয়েছে নিজের আত্মবিশ্বাস টাও অনেক বাড়বে এতে পড়ার আগ্রহ বাড়বে।
• প্রযুক্তি ব্যবহারে সচেতন হওয়া যেন প্রযুক্তি আপনাকে ব্যবহার না করে। অর্থাৎ প্রযুক্তির ইতিবাচক ব্যবহার নিশ্চিত করা।
দৃষ্টি আকর্ষ : যদি আপনাদের কাছে আজকের এই পোস্ট ভাল লেগে থাকে তাহলে আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। প্রয়োজনে এ রকম আরো post পেতে আমাদের follow করতে পারেন।
0 মন্তব্যসমূহ