২.২ |
প্রশ্ন ১। যৌক্তিক সংজ্ঞা কী?
উত্তর : কোনো একটি পদের পূর্ণ জাত্যর্থ উল্লেখের মাধ্যমে পদটিকে সহজ, সরল ও স্পষ্ট ভাষায় প্রকাশ করাকে যৌক্তিক সংজ্ঞা বলে।
প্রশ্ন ২। বর্ণনা বলতে কী বোঝ?
উত্তর : যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কোনো একটি পদের জাতার্থের অংশবিশেষ উল্লেখের মাধ্যমে পদটিকে সহজ ও বোধগম্য করে প্রকাশ করা তাই হলো বর্ণনা ।
প্রশ্ন ৩। যৌক্তিক সংজ্ঞার সীমা কী?
উত্তর : যেসব বিষয়ে যৌক্তিক সংজ্ঞা প্রদান করা যায় না অর্থাৎ যেসব বিষয়ে যৌক্তিক সংজ্ঞার পদ্ধতি প্রয়োগ করা যায় না, তাই হলো যৌক্তিক সংজ্ঞার সীমা।
প্রশ্ন ৪। মানুষ পদের যৌক্তিক সংজ্ঞা দাও।
উত্তর : 'মানুষ' পদের যৌক্তিক সংজ্ঞা হলো-“মানুষ হয়
বুদ্ধিবৃত্তিসম্পন্ন জীব।”
প্রশ্ন ৫। রূপক সংজ্ঞা অনুপপত্তি কী?
উত্তর : কোনো পদের সংজ্ঞা প্রদানের ক্ষেত্রে রূপক ভাষা ব্যবহার করলে সংজ্ঞায় যে অনুপপত্তি হয় তাকে রূপক সংজ্ঞা অনুপপত্তি বলে ।
প্রশ্ন ৬। চক্রক সংজ্ঞা কী?
উত্তর : কোনো পদের সংজ্ঞায় পদটির সমার্থক বা প্রতিশব্দ ব্যবহার করে সংজ্ঞা প্রদান করলে সংজ্ঞায় যে অনুপপত্তি ঘটে তাকে চক্রক সংজ্ঞা বা চকক সংজ্ঞা অনুপপত্তি বলে।
প্রশ্ন ৭। সংজ্ঞা প্রদানের সবচেয়ে সহজতম উপায় কী?
উত্তর : সংজ্ঞা প্রদানের সহজতর উপায় হলো সংশ্লিষ্ট পদের আসন্নতম জাতি ও বিভেদক লক্ষণের উল্লেখ করে সংজ্ঞা প্রদান করা।
প্রশ্ন ৮। সংজ্ঞেয় পদ কী?
উত্তর : যে পদের সংজ্ঞা দেওয়া হয় তাকে সংজ্ঞেয় পদ বলে।
প্রশ্ন ৯। সংজ্ঞার্থ পদ কাকে বলে?
উত্তর : কোনো পদের যে সংজ্ঞা দেওয়া হয় তাকে সংজ্ঞার্থ পদ বলে।
প্রশ্ন ১০। বাহুল্য সংজ্ঞা কাকে বলে?
উত্তর : কোনো পদের সংজ্ঞায় যদি জাত্যর্থের অতিরিক্ত গুণের উল্লেখ করা হয় এবং গুণটি যদি উপলক্ষণ হয় তাহলে তাকে বাহুল্য সংজ্ঞা বলে ।
প্রশ্ন ১১। যৌক্তিক সংজ্ঞার নিয়ম কয়টি?
উত্তর : যৌক্তিক সংজ্ঞার নিয়ম পাঁচটি।
প্রশ্ন ১২। যৌক্তিক সংজ্ঞার উপায় কী?
উত্তর : যৌক্তিক সংজ্ঞার উপায় হলো কোনো পদের পূর্ণ জাত্যর্থ উল্লেখ করে সংজ্ঞা প্রদান করা।
প্রশ্ন ১৩। নেতিবাচক সংজ্ঞা কী?
উত্তর : যখন কোনো পদের সংজ্ঞায় নেতিবাচক ভাষা ব্যবহার করে সংজ্ঞা প্রদান করা হয় তাকে নেতিবাচক সংজ্ঞা বলে।
প্রশ্ন ১৪। মানুষ পদের যৌক্তিক সংজ্ঞা দাও ।
উত্তর : 'মানুষ' পদের যৌক্তিক সংজ্ঞা হলো— 'মানুষ ৰুদ্ধিবৃত্তিসম্পন্ন জীব'।
প্রশ্ন ১৫। জাত্যর্থের ইংরেজি প্রতিশব্দ কী?
উত্তর : জাত্যর্থের ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো- Connotation.
প্রশ্ন ১৬। রূপক সংজ্ঞা কী?
উত্তর : কোনো পদের সংজ্ঞায় রূপক ভাষা ব্যবহার করলে সংজ্ঞায় যে ত্রুটি হয় তাকে রূপক সংজ্ঞা বা রূপক সংজ্ঞা অনুপপত্তি বলে ।
প্রশ্ন ১৭। জাত্যর্থ কী?
উত্তর : জাত্যর্থ বলতে কোনো একটি পদের অপরিহার্য বা আবশ্যিক গুণাবলিকে বোঝায় ।
প্রশ্ন ১৮। যৌক্তিক সংজ্ঞা পদের কোন দিকটি নির্দেশ করে?
উত্তর : যৌক্তিক সংজ্ঞা পদের জাত্যর্থের দিককে নির্দেশ করে।
প্রশ্ন ১৯। সংজ্ঞাদানের পদ্ধতি কী?
উত্তর : যে পদ্ধতি অবলম্বন করে যৌক্তিক সংজ্ঞা প্রদান করা হয় তাকে সংজ্ঞাদানের পদ্ধতি বলে।
প্রশ্ন ২০। যৌক্তিক সংজ্ঞার উদ্দেশ্য কী?
উত্তর : যৌক্তিক সংজ্ঞার উদ্দেশ্য কোনো একটি পদকে সুস্পষ্ট,সুনির্দিষ্ট ও বোধগম্যভাবে উপস্থাপন করা।
প্রশ্ন ২১। আরোহ কত প্রকার ও কী কী?
উত্তর : আরোহ দুই প্রকার যথা- ১. প্রকৃত আরোহ ও ২. অপ্রকৃত আরোহ ।
প্রশ্ন ২২। সংজ্ঞেয় পদ কী ?
উত্তর : যৌক্তিক সংজ্ঞার ক্ষেত্রে যে পদের সংজ্ঞা প্রদান করা হয় তাকে সংজ্ঞেয় পদ বলে।
প্রশ্ন ২৩। সংজ্ঞার মূল উদ্দেশ্য কী?
উত্তর : সংজ্ঞার মূল উদ্দেশ্য হলো কোনো পদের পূর্ণ জাত্যর্থ প্রকাশের মাধ্যমে পদটিকে সহজ, সরল ও স্পষ্টভাবে প্রকাশ করা।
প্রশ্ন ২৪। যুক্তিবিদ্যার আলোচনায় কিসের গুরুত্ব অপরিসীম?
উত্তর : যুক্তিবিদ্যার আলোচনায় সংজ্ঞার গুরুত্ব অপরিসীম।
প্রশ্ন ২৫। সুচিন্তনের একমাত্র নির্ভরযোগ্য উপায় কী?
উত্তর : সংজ্ঞা হলো সুচিন্তনের একমাত্র নির্ভরযোগ্য উপায়।
প্রশ্ন ২৬। বেশিরভাগ পদের কয়টি দিক রয়েছে?
উত্তর : বেশিরভাগ পদের দুটি দিক রয়েছে।
প্রশ্ন ২৭। সকল পদের দুটি দিক কী কী?
উত্তর : সকল পদের দটি দিক হলো-
১. সংখ্যা বা ব্যক্ত্যর্থের দিক ও
২. গুণ বা জ্যাতার্থের দিক।
প্রশ্ন ২৮। সংজ্ঞার কাজ কী?
উত্তর : সংজ্ঞার কাজ হলো— পদের জাত্যর্থের ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ করা।
0 মন্তব্যসমূহ