ভুয়া নবী ও খোদা দাবিদারদের কয়েক জনের কথা



আসওয়াদ আনাসী ইয়ামেনী,যাকে ১১হিজরীতে রাসুলে পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইন্তেকালের দুয়েক দিন আগে ফাইরুজ দায়লমী রাদিয়াল্লাহু তালা আনহু তার মহলে ঢুকে গর্দান উড়িয়ে দিয়ে সোজা জাহান্নামে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন।


মুসায়লামাতুল কাজ্জাব, যাকে ১২হিজরীতে সিদ্দিক আকবর রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহুর আমলে ইয়ামামার যুদ্ধে হজরত ওয়াহশী রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু বল্লম মেরে জাহান্নামে পাঠিয়েছিলেন। 


মুখতার সাকাফী,যাকে ৬৭হিজরীতে মুসয়াব ইবনে যুবাইর রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু যুদ্ধে পরাস্ত করে হত্যা করেছিলেন। 


হারেস দামেশ্কী,যাকে ৬৯হিজরীতে খলিফা আবদুল মালিক বিন মারওয়ানের নির্দেশে জাহান্নামে পৌছিয়ে দেয়া হয়েছিলো।


মুগীরা আজলী ও বয়ান বিন সামআন তামীমী,এরা উভয়কে ১১৯হিজরীতে ইরাকের আমির খালেদ বিন আবদিল্লাহ কাসরী গ্রেফতার করে জীন্দা অবস্থায় আগুনে জালিয়ে কয়লা বানিয়েই দোজখের আগুনে সোপর্দ করেন।

বাহাফরিদ নিশাপুরী,আবুমুসলিম খোরাসানীর ভরপুর দরবারে তার শিরোচ্ছেদ করা হয়।


 ইসহাক আখরস মাগরেবী,তার ওস্তাদ সীস খোরাসানী খলিফা আবুজাফর মনসুর এর সময়কালে তারই নির্দেশে উভয়কে জাহান্নামে পৌছিয়ে দেয়া হয়।


আলী বিন মুহাম্মদ খারেজী,২০৭হিজরীতে খলিফা মু'তামিদ এর আমলে যুদ্ধে পরাস্ত করে গর্দান উড়িয়ে দিয়ে সোজা জাহান্নামে পৌছিয়ে দেয়া হয়। 


বাবুক বিন আবদিল্লাহ, ২২২হিজরীতে খলিফা মু'তাসিম বিল্লাহ নির্দেশে তাকে গ্রফতার করে এক একটি অঙ্গ কর্তন করে তিলে তিলে আযাব দিয়ে হত্যা করা হয়।


আলী বিন ফদল ইয়ামেনী,৩০৩হিজরীতে বাগদাদবাসীরা তাকে বিষ খাইয়ে জাহান্নামে পাঠায়।


আবদুল আজিজ বাসন্দী,৩২২হিজরীতে ইসলামী বাহিনী তারে ঘেরাও করে পরাজিত করে মাথা শরীর থেকে পৃথক করে তৎকালীন খলিফার দরবারে পৌঁছে দেয়া হয়।


হামিম মজলিসী,৩২৯হিজরীতে মামূদাহ গোত্রের লোকেরা 'আহওয়াজ' নামক স্থানে তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে, সে পরাস্ত হয় ও মারা যায়।


আবু মনসুর আসবী বরগাওয়াতী,৩৬৯হিজরীতে বলকীন বিন জুহুরীর সাথে যুদ্ধে পরাস্ত হয়ে জাহান্নামে পৌছে যায়।


আসগর তাগলিবী,৪৩৯হিজীরিতে সে সময়ের গভর্নর নসরুদ্দৌলা তাকে গ্রেফতার করে কারাবন্দী করে।জেলেই মৃত্যু হয়।


আহমদ বিন কিস্সি,৫৬০হিজরীতে সে সময়ের গভর্নর আবদুল মুমিন তাকে কয়েদ করে বন্দী করে মারা যায়।


আবদুল হক মুরসী,৬৬৭হিজরীতে একদিন শিঙা লাগাতে গিয়ে খোদার গজবের শিকার হয়।রক্তক্ষরণ হতে হতে ধ্বংসের মুখে পতিত হয়।


আবদুল আজিজ তারাবলুসী,৭১৭হিজরীতে তারাবুলুস এর গভর্নর এর নির্দেশে তাকে হত্যা করা হয়।

পরবর্তীকালে মুসলমানদের মাঝে বিভিন্ন ফেরকার জন্ম হয়। রাস্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বায়েজিদ রওশন(৯৯০হি.),বাহাউল্লাহ নুরী(১৩০৮হি.) এবং 


মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী(মৃত১৩২৬হি.) নবী দাবী করে। ইংরেজরা এই উপমহাদেশে তাদের উপনিবেশ ও ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার জন্য কয়েকটি ফিরকা আমদানী করেছে। 

মোঘল বাদশাহদেরকে ব্যবহার করে শিয়াবাদ এনেছে। সৈয়দ আহমদ রায় বেরেলী ও ইসমাইল দেহলবীকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে ওহাবীইজম এনেছে। গোলাম আহমদ কাদিয়ানীকে প্রত্যক্ষ মদদ দিয়ে নবী বানিয়েছে। 

 ইমাম আ'লা হজরত মুহাদ্দিস বেরেলী রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু আগমন না হলে এই উপমহাদেশে দ্বীন ধর্মের কি অবস্থা হতো তা আল্লাহ পাকই জানেন।

 ইমাম আ'লা হজরত রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু এই কাদিয়ানীর বিরুদ্ধে ৬টি কিতাব রচনা করে জাতিকে রক্ষা করেছেন। আলহামদুলিল্লাহ্।


সুত্রঃ মুহাম্মদ দানিশ আহমদ আখতর আল-ক্বাদেরী লিখিত আকিদায়ে খতমে নবুয়ত আওর ফিতনায়ে কাদিয়ানীয়ত।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ