রোজা সম্পর্কে কিছু কথা || রোজার নিয়ত ও ইফতারের নিয়ত

 




রোজা পাঁচ প্রকার। যথা- ফরয, ওয়াজিব, সুন্নত, মোস্তাহাব, নফল যেমন,


(১) ফরয রোজা : নিয়তসহ রমযান মাসের রোযা রাখা। 

(২) ওয়াজিব রোজা : যে মান্নত, কাফ্ফারা ও নফল রোযা ভঙ্গ করিয়াছে

তাহা পূরণ করা।

(৩) সুন্নত রোজা : মহররম মাসের দশ তারিখের রোযা।

(৪) মোস্তাহাব রোজা : শাওয়াল মাসের ছয় রোযা, প্রতি মাসের তের, চৌদ্দ ও পনর তারিখের রোযা।

(৫) নফল রোজা : উপরোল্লিখিত নির্দিষ্ট সময় ব্যতীত অন্যান্য দিবসের রোযা।


রমযানের রোজা ঃ রমযানের চাঁদ দেখা গেলে অথবা কোন অসুবিধার জন্য চাঁদ দেখতে না গেলে শাবানের চাঁদ পুরা ত্রিশ দিন পূর্ণ হইয়া গেলে পরদিন হইতে রমযানের রোজা রাখা প্রত্যেক জ্ঞানসম্পন্ন বালেগ নর-নারীর উপর ফরয। শেষ রাত্রে সুবহে সাদিকের পূর্বে পানাহারের পর দাঁত ও মুখ পরিষ্কার করিয়া রোজার নিয়ত করিতে হয় । রোজার নিয়ত করার পর আর কিছুই মুখে রাখা চলিবেনা।


রমজানের রোজার নিয়ত


نوبَتُ أَنْ أَصُومَ غَدًا مِنْ شَهرٍ رَمَضَانَ الْمُبَارَكِ فَرْضًا لَكَ يَا الله فَتَقَبَّل منى إِنَّكَ أَنتَ السَّمِيعُ العَلِيم3


উচ্চারণ : নাওয়াইতুআন আসুমা গাদাম্ মিন শাহরি রামাযানাল মোবারাকি ফারদাল্লাকা ইয়া আল্লাহু ফাতাকাব্বাল মিন্নী ইন্নাকা আনতাসসামীউল আলীম।


অর্থ : আমি আগামীকাল পবিত্র রমজানের ফরয রোজা রাখিবার নিয়ত করিলাম। হে আল্লাহ তুমি শ্রবণকারী ও জ্ঞানী, উহা আমার নিকট হইতে গ্রহণ কর। যদি কোন কারণে রাত্রে নিয়ত না করা হয়, তবে পরের দিন দ্বিপ্রহরের পূর্বে করা হইলে সেইস্থলে 'গাদাম' না বলিয়া সেখানে 'আল ইয়াওমা' (অর্থ-অদ্য) বলিতে হইবে ।


ইফতার --  দিনের শেষে সূর্য অস্ত যাইবার সঙ্গে সঙ্গেই রোযা ভঙ্গ করার জন্য পানাহার করাকে ইফতার বলে । ইফতার করিতে সর্বোৎকৃষ্ট বস্তু হইল খোরমা,

পানি, শরবত ইত্যাদি। ইফতার দেরী করিয়া করা মাকরূহ। অবশ্য আকাশ যদি মেঘাচ্ছন্ন থাকে তবে কিঞ্চিৎ বিলম্ব করিয়া ইফতার কিরবে ।


ইফতারের নিয়ত

আল্লাহুম্মা লাকা সুমতু ওয়া তাওয়াক্কালতু আ'লা রিযকিকা ওয়া আফতারতু বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমীন।


অর্থ -- ইয়া আল্লাহ ! আমি তোমারই সন্তুষ্টির জন্য রোযা রাখিয়াছিলাম এবং তোমারই উপর ভরসা করিয়াছি ও (এখন) তোমারই অনুগ্রহ দ্বারা ইফতার করিতেছি । তুমি রহমান, রাহীম।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ