১৪০০ বছর পূর্বে কুরআন আজকের বিজ্ঞান - মহাশূন্যে সূর্যের পরিভ্রমণ | টাইম জোন - alhadimedia 360



কুরআন পাক সূর্যের ব্যাপারে আলোচনা করা হয়েছে কিভাবে ইহা মহাশূন্যে পরিভ্রমণ করে । সূর্য যখন মহাশূন্যে ঘুরছে তখন দু'টি অবস্থা হতে পারে হয় ইহা কেউ ছুড়ে দিলে একখন্ড পাথর যেমন চলে সে রকমভাবে পরিভ্রমণ করে, নতুবা ইহা নিজ হতেই চলতে পারে। কুরআন এই পরবর্তী অবস্থার কথা বলেছে যে, ইহা তার নিজের গতির ফলেই চলে

 (সূরা আল আম্বিয়াঃ আয়াত -৩৩) 

কুরআন পাক  সূর্যের চলাচল বর্ণনা করতে ‘সাবাহ’ জাতীয় শব্দ ব্যবহার করেছে। পাঠকদেরকে এই আরবী ক্রিয়া পদটির ব্যাপক অনুধাবনের তাৎপর্য সঠিকভাবে প্রদানের জন্য নিম্নে উদাহরণ দেয়া হল ।


যদি এক ব্যক্তি পানির ভিতর থাকে এবং তার নড়াচড়া বুঝতে ‘সাবাহা’ ক্রিয়া পদটি প্রয়োগ করা হয় তাহলে এটা বুঝা যেতে পারে যে, সে সাতার কাটছে, তার নিজ থেকেই সে চলছে এবং তার প্রতি সরাসরি কোন শক্তি প্রয়োগের ফলে তা হচ্ছে না। এভাবে এ শব্দটি যখন মহাশূন্যে সূর্যের চলাচল প্রসঙ্গে ব্যবহৃত হয় তার অর্থ কোনভাবেই এটা হয় না যে, সূর্য মহাশূন্যে নিক্ষিপ্ত কিছু একটার মতো অনিয়ন্ত্রিতভাবে উড়ছে। এর সরল অর্থ এই যে, সূর্য যখন পরিভ্রমণ করছে তখন ঘুরপাক খাচ্ছে। এ কথাই কুরআন স্বীকৃতি দিচ্ছে । কিন্তু এটা আবিষ্কার করা কি কোন সহজ ব্যাপার ছিল? 

কোন সাধারণ লোক কি বলতে পারে যে, সূর্য ঘুরপাক খাচ্ছে? কেবল মাত্র আধুনিক কালেই সূর্যের প্রতিচ্ছায়াকে একটি চৌবলের উপর নিপতিত করার যন্ত্রপাতি আবিষ্কৃত হয়েছে, যাতে অন্ধ ছাড়া সকলে এর প্রতি নজর করতে পারে এবং এ পদ্ধতির মাধ্যমেই এটা আবিষ্কৃত হয়েছে।

 যে, সূর্যের উপর কেবল দাগই নেই বরং, প্রতি ২৫ দিন পর পর এসব দাগ একবার ঘুরে। এই গতিকে উল্লেখ করা হয় সূর্যের অক্ষের চারিদিকে ঘূর্ণন বলে এবং তা চূড়ান্তভাবে প্রমাণ করে, যা ১৪০০ বছর পূর্বে কুরআন পাক বর্ণনা করেছিল- সূর্য অবশ্যই মহাশূন্যে পরিভ্রমণকালে ঘুরপাক খায়।


টাইম জোন ও আল-কুরআন


১৪ শতাব্দী আগে লোকজন সম্ভবত সময় বলয় (টাইম জোন) সম্বন্ধে বেশী কিছু বুঝত না, অথচ এ বিষয়ে কুরআনের বক্তব্যগুলি রীতিমত বিস্ময়কর। একটি পরিবার সূর্যোদয়ের সময় নাস্তা খাচ্ছে, যখন আরেকটি পরিবার প্রাণবন্ত নৈশ হাওয়া উপভোগ করছে- এ ধারণা আধুনিক যুগেও সত্যিই অবাক করার মত কিছু।

 প্রকৃতপক্ষে ১৪ শতাব্দী পূর্বে একজন লোক একদিনে ত্রিশ মাইলের বেশী ভ্রমণ করতে পারত না এবং এভাবেই উদাহরণ স্বরূপ ভারত থেকে মরক্কো পর্যন্ত ভ্রমণ করতে তার শাব্দিক অর্থেই মাসের পর মাস লেগে যেত এবং সম্ভবত যখন সে মরক্কোতে রাতের খাবার খেত, সে নিজে নিজে চিন্তা করত, তার বাড়ীর লোকেরাও এখন রাতের খাবার খাচ্ছে। 

এটা এজন্য যে, সে বুঝতে পারত না, ভ্রমণ প্রক্রিয়ায় সে একটা সময় বলয় অতিক্রম করেছে। এ সত্ত্বেও যেহেতু এটা হচ্ছে আল্লাহ পাকের কালাম যিনি সর্বজ্ঞ। একটি কৌতুহল উদ্দীপক আয়াতে কুরআন পাক বর্ণনা করেছে যে, 'যখন ইতিহাসের যবনিকাপাত ঘটবে এবং শেষ বিচারের দিন উপস্থিত হবে এবং এসব সংঘটিত হবে একটি মুহূর্তে এবং এই মুহূর্ত কিছু লোককে ধরবে দিবাভাগে এবং কিছু লোককে রাত্রিকালে । 


এটি সুস্পষ্ট রুপে আল্লাহ পাকের ঐশ্বরিক গ্রজ্ঞা, এ কথা সময় বলয়ের অস্তিত্ব সম্বন্ধে তাঁর প্রাক-জ্ঞানের ব্যাপারটি নির্দেশ করছে, যদিও চৌদ্দ শতাব্দী আগে এরূপ আবিষ্কারের কোন অস্তিত্ব ছিল না। নিশ্চিত রূপেই এ ঘটনা এরূপ কিছু যে কারো নিকট তা দৃষ্টিগোচর ছিল অথবা এটা কারো অভিজ্ঞতার ফসল এবং এ সত্যটি নিজেই কুরআন পাকের নির্ভরযোগ্যতার যথেষ্ট প্রমাণ হাজির করে।


 প্রয়োজনে এ রকম আরো post পেতে আমাদের follow করতে পারেন। শেয়ার করে বন্ধুদেরও পড়তে সাহায্য করুন। 





একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ