আল - কুরআন কেন আরবী ভাষায় নাযিল হয়েছে | alhadimedia 360



আরবী ভাষায় কোরআন নাযিলের কারণ


আরবী ঊর্ধ জগতের ভাষা। ফেরেশতাদের ভাষা আরবী, লওহে মাহফুজের ভাষা আরবী । জান্নাত মানুষের আসল দেশ। সেখানে তাকে অবস্থান করতে হবে। সেখানকার ভাষাও আরবী।


মুসলমানগণকে আল্লাহ্ তাআলা প্রকৃতিগতভাবেই আরবী ভাষার সাথে বিশেষভাবে সম্পৃক্ত করে দিয়েছেন। ফলে প্রত্যেক ব্যক্তি অনায়াসে আরবী ভাষা যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু শিখে নিতে পারে। এ কারণেই সাহাবায়ে কেরাম যে দেশেই গেছেন, অল্পদিনের মধ্যেই কোন জোর-জবরদস্তি ছাড়াই সে দেশের ভাষা আরবী হয়ে গেছে । আলজেরিয়া, তিউনেসিয়া, মরক্কো, সিরীয়া, সুদান, মৌরিতানিয়া, মিসর, ইরাক —এসব দেশের ভাষা কোনটিরই ভাষা আরবী ছিল। না। কিন্তু আজ এগুলো আরবদেশ বলে পরিচিত।


আরবী ভাষা ও এর সাহিত্য অধ্যয়ন করলে দেখা যাবে, আরবী ভাষার নিজস্ব গুণাবলীই এ ভাষাকে কোরআনের জন্য বেছে নেওয়ার অন্যতম কারণ। একটি উদ্দেশ্যকে প্রকাশ করার জন্য অসংখ্য উপায় ও পথ সূক্ষ্ম থেকে সূক্ষ্মতর বিষয়গুলো বর্ণনা করার এবং মনের গভীরে প্রভাব বিস্তার করার ক্ষেত্রে এর চেয়ে উপযোগী কোন ভাষা নেই। এ ভাষাটি ক্ষুদ্র একটি বাক্যের মাঝে বিরাট বিষয়বস্তুকে ধরে রাখতে পারে।


আরবী ভাষা নিয়ে যদি আমরা গবেষণা করি, তাহলে আমরা দেখতে পাব যে, সাহিত্য শিল্পের অসাধারণ গুণসমূহ অন্য কোন ভাষায় এমন পরিমাণে পাওয়া যায় না, যা দিয়ে আরবী ভাষার সাথে মোকাবেলা করা যায়।


বিশ্ব সাহিত্য গগণে আরবী ভাষা যে সকল বৈশিষ্ট্যাবলীর ভিত্তিতে সমুজ্জল। নক্ষত্র হয়ে বরণীয় হয়ে আছে, তার মাঝে অন্যতম হল- আরবী শব্দের ধনাঢ্যতা, ঐশ্বর্যশীলতা ও পর্যাপ্ততার সয়লাব। একজন ভাষা বিজ্ঞানী যদি শব্দকোষগুলোতে তালাশ করেন, তাহলে দেখবেন যে, আরবী ভাষার মত শব্দের খেলা আর অন্য কোথায়ও পাওয়া যাবে না।


উল্লিখিত আলোচনার পর অনায়াসেই বলা যায় আরবী ভাষার নিজস্ব গুণাবলীর প্রেক্ষিতে আল্লাহ্ তাআলা আল-কোরআনের মত এক অপরাজেয় গ্রন্থকে এ ভাষায় নাযিল করেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ