শবে মেরাজ কি ? এই রাতের ঘটনা ও রজব মাসের ফজিলত




  শবে মেরাজ কি, অনেকেই জানে না,এই রাতের ঘটনা এই রাত  সেই রাত যেই রাতে আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন তার হাবীব  আমাদের প্রিয় নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে আরশে আযীমে দাওয়াত দিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন । (সুবহানাল্লাহ) 


 এই রাতে নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  আ'রশে আযীম মিরাজ শরীফে গিয়ে আল্লাহর কাছ থেকে উম্মতের জন্য তোহফা সরুপ নামাজ ৫০ ওয়াক্ত থেকে ৫ ওয়াক্ত এ এনেছিলেন এবং বছরে  ছয় মাস রোযা থেকে ১মাস রোযা মন্জুর করিয়ে এনেছিলেন,,।  আলহামদুলিল্লাহ। 

 "আসসালাতু মে'রাজুল মু'মিনীন,,। "


একরাত নবীজি ছিলেন উম্মেহানির ঘরে, জিবরাইল (আঃ) আসিয়া বলে অতি বিনয় করে, মেরাজে যেতে হবে, ডেকেছেন আল্লাহ পাকে। মেরাজে গেলেন নবী, আল্লাহ পূর্ণ হলেন সবই,

বিদায় বেলায় দয়াল নবী হলেন বেকারার,  আমার আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন বলেন, দেখারই সাধ মিটলনা আমার,, জিবরাইলে (আঃ) কয় ইয়া রাসুলুল্লাহ ইয়া হাবীবাল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার দিলের মাঝে তোমায় রাখব। 

একটু দাঁড়াও দাঁড়াও ইয়া মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, আমার নয়ন ভরে তোমায় দেখব। 

 সকাল বেলায় দয়াল নবী বায়তুল্লাহ আসিয়া সাহাবা এক নামের তরী আনিলেন ডাকিয়া, মিরাজের সকল কথা করিলেন সুবর্নণা,........ 

খোদারই মেরাজ হলো, পাঞ্জেগানা নামাজ হবে, শরীয়ত জারি হবে,  সালাতে মুমিনের মিরাজ বলেছেন আল্লাহ তায়ালা ,,

 প্রিয় নবী ﷺ ইরশাদ করেন, রজবে একটি দিন ও একটি রাত রয়েছে,যে ব্যক্তি সেইদিন রোজা রাখলো এবং রাতে কিয়াম ( অর্থাৎ ইবাদত) করল, তবে সে যেন শত বছর রোজা রাখল।

আর তা হলো ২৭ শে রজব।

( শুয়াবুল ঈমান, খন্ড ৩ , পৃষ্ঠা ৩৭৪, হাদিস ৩৮১১) ।

 পবিত্র ২৭শে রজবুল আছম’ শরীফে ইবাদত বন্দেগী করার ফযীলত মুবারক:


মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন-


“হযরত সালমান ফারসী রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- যে ব্যক্তি পবিত্র ‘রজবুল আছম’ শরীফ মাস উনার ২৭ তারিখ রাতে জেগে ইবাদত-বন্দেগী করবে, তার অন্তর ঐদিন মৃত্যুবরণ করবে না যে দিন সমস্ত অন্তর মরে যাবে। অর্থাৎ ক্বিয়ামতের দিন সমস্ত অন্তর বেহুশ হয়ে যাবে কিন্ত সে বহাল তবিয়তে থাকবে। আর পুরো বছরই তার দোয়া কবূল করা হবে।” সুবহানাল্লাহ! (আনীসুল ওয়ায়েজীন-২৭১ পৃ:)


পবিত্র ২৭শে রজবুল আছম’ শরীফে রোযা রাখার ফযীলত মুবারক:


মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন-


“নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- যে ব্যক্তি পবিত্র ২৭শে ‘রজবুল আছম’ শরীফ রোযা রাখবে। মহান আল্লাহ পাক তার আমলনামায় ষাট মাসের ছাওয়াব লিখে দিবেন।” সুবহানাল্লাহ! (নুযহাতুল মাজালিস ১/১৪৪)


আরো বর্ণিত রয়েছেন-


“হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু এবং হযরত সালমান ফারসী রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু উনাদের থেকে বর্ণিত। উনারা বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- পবিত্র ‘রজবুল আছম’ শরীফ মাসে এমন একটি দিন ও রাত রয়েছে, যে ব্যক্তি সে দিন রোযা রাখবে এবং রাতে ইবাদত করবে। সে ব্যক্তি একশত বছর দিনে রোযা রাখার এবং রাতে ইবাদত করার ফযীলত লাভ করবে। আর সে দিন মুবারক হচ্ছে, পবিত্র ‘রজবুল আছম’ শরীফ উনার ২৭ তারিখ।” সুবহানাল্লাহ (গুনিয়াতুত্ব ত্বালিবীন)


মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সকলকে পবিত্র ‘রজবুল আছম শরীফ’ মাস উনাকে যথাযথ তা’যীম-তাকরীম মুবারক করার এবং এই সম্মানিত মাস উনার আমলসমূহ করার তাওফীক্ব দান করুন। আমীন



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ