★ নামাজের সময় ও রাকাতঃ
রজব মাসের ২৭ তারিখ রাত্রি অর্থাৎ রজব মাসের ২৬ তারিখ দিন গত রাত্রি তে ইশা ও বিতর নামাজের মধ্যেবর্তী সময়ে ২ রাকাত করে ১২ রাকাত নফল নামাজ আদায় করতে হবে। প্রত্যেক রাকাতে সূরা-ফাতিহা সহিত যে কোনো সূরা পাঠ করা যাবে। [ প্রতি ২ রাকাত সালাত আদায় করে মুনাজাত করা উত্তম। ]
নামাজের নিয়তঃ--
❝নাওয়াইতুয়ান্ উছাল্লিয়া লিল্লাহে তায়ালা রাক্'য়াতাই ছালাতি লাইলাতিল্ মিরাজে মোতাওয়াজ্জিহান্ ইলা জিহাতিল্ কাবাতিশ্ শারীফাতে,, আল্লাহু আকবার। ❞
★ শবে মিরাজ নামাজের আদায় করার পর ১০০ বার কালেমা তমজীদ পাঠ করতে হবে। তারপর নিচের দোয়া টা ৩ বার পাঠ করতে হবেঃ---
❝আস্তাগফিরুল্লাহা যাল্ জালালে ওয়াল্ ইক্'রামে মিনায্ যুনুবে ওয়াল্ আছাম্। ❞
তারপর বেশি বেশি করে,, দরুদ শরীফ পাঠ করতে হবে( দরুদে ইব্রাহিম পাঠ করা অধিক উত্তম ) আয়াতুল কুরসি,,, সূরা-ইখলাস। পাঠ করতে হবে। ইচ্ছে করলে কোরআন তেলাওয়াত করতে পাড়বেন। [ আসল কথা হলো বেশি বেশি আমল করা উত্তম ] তারপর শেষে মন ভরে মুনাজাত করবেন।
★ শবে মিরাজের রোজা
রজব মাসের ২৬ তারিখ দিনগত রাত্রি কে শবে মিরাজ এর রাত বলে। এবং তার পরের দিন,, ২৭ তারিখ দিন কে শবে মিরাজ এর দিন বলা হয়। এই রজব এর ২৭ তারিখ দিন রোজা রাখতে হবে।
( সাধারণত:- রজবের ২৫ তারিখ দিন,, ২৬ তারিখ দিন,, ২৭ তারিখ দিন। এই ৩ দিন রোজা রাখা উত্তম। কেও যদি অসুস্থতার জন্য ৩ টা রোজা রাখতে না পাড়ে,,তাহলে কমপক্ষে ২৭ তারিখ দিনের রোজা রাখলে ও হবে। )
★ দোয়া
রজব মাসে রাসূল (ﷺ) যে দোয়া বেশি বেশি করতেন,, তা নিচে দেওয়া হলো,,,
উচ্চারণঃ= আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি রাজাবা ওয়া শাবানা ওয়া বাল্লিগনা রামাদান।
অর্থ:-- হে আল্লাহ !! রজব ও শাবাম মাস আমাদের জন্য বরকতময় করুন ; রমজান মাস আমাদের নসিব করুন।
( সহিহ্ মুসলিম,, সহিহ্ বুখারী ) ❞
★হযরত সালমান ফারছী (রা:) হতে বর্ণিত,,
রাসূল সঃ বলেছেন,, রজবের মাস এমন একটি দিন ও রাত আছে। যদি কেও ঐ দিন রোযা রাখে এবং ঐ রাতে ইবাদত করে, তাহলে তার এতো পরিমাণ সওয়াব হবে যে,,সে যেনো একশত বছর রোযা রাখলো। এবং একশত রাত ইবাদত করলো। আর্থাৎ শবে মে’রাজের রাত।
( হাদিসে সহিহ্ )
★রাসূল (ﷺ) বলেন,,রজব হলো আল্লাহর মাস।
( সহিহ্ মুসলিম )
★রাসূল (ﷺ) বলেন,, আল্লাহর মাসে ( রজব এবং শবে মিরাজ ) যে ব্যক্তি একটি রোজা রাখবে,,কাল কেয়ামতের দিন তাকে জাহান্নামের আগুন স্পর্শ করবে না।"
[ সহিহ্ বুখারী:- ২৮৪০,,,,সহিহ্ মুসলিম:- ১১৫৩ ]
★রাসূল (ﷺ) বলেছেন,,যে ব্যাক্তি রজব মাসে ( ইবাদতের মাধ্যমে অন্তরের ) জমিনে চাষাবাদ করলো না,,এবং শাবান মাসে ( ইবাদতের মাধ্যমে অন্তরের ) জমিন আগাছামুক্ত করলো না,,সে রমজান মাসে ( ইবাদতের ) ফসল তুলতে পাড়বে না।
( বায়হাকি )
★রাসূল (ﷺ) বলেছেন,,রজব হলো আল্লাহর মাস,, শাবান হলো আমার মাস ( রাসূল ﷺ ),, রমজান হলো আমার উম্মতের মাস।
( তিরমিজি )
0 মন্তব্যসমূহ