■ জ্ঞানমূলক প্রশ্নের ক্ষেত্রে :
১. জ্ঞানমূলক প্রশ্নের ১০০% ই পাঠ্যবই থেকে কমন থাকবে বিধায় দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই ।
২. জ্ঞানমূলক প্রশ্নের উত্তর হলো সম্পূর্ণ স্মৃতিনির্ভর। এ ধরনের প্রশ্নে শিক্ষার্থীর জ্ঞান দক্ষতা যাচাই করা হয়।
৩. এ জাতীয় প্রশ্নের উত্তর উদ্দীপকে উল্লেখ থাকবে না; উদ্দীপকসংশ্লিষ্ট অধ্যায়/পাঠ্যপুস্তকে সরাসরি উল্লেখ থাকবে ।
৪. এ জাতীয় প্রশ্ন কী, কে, কখন, কোথায়, কাকে, কয়টি, কোনটি ইত্যাদি প্রশ্নবোধক শব্দ দিয়ে করা হয়। তাই এ জাতীয় শব্দ দিয়ে পাঠ্যপুস্তক থেকে যেসব প্রশ্ন হতে পারে তা আত্মস্থ করতে হবে।
■ অনুধাবনমূলক প্রশ্নের ক্ষেত্রে :
১. পাঠ্যবইয়ের যে অংশের আলোকে উদ্দীপক তৈরি করা হবে সাধারণত সে অংশ থেকেই অনুধাবনমূলক প্রশ্নটি করা হবে। তাই সংশ্লিষ্ট অংশটির মূলভাব অনুধাবন করতে পারলেই এ ধরনের প্রশ্নের উত্তর দেওয়া সহজ হবে।
২. কী বোঝায়/কাকে বলে/ কেন একথা বলা হয়েছে/ কেন এ ঘটনা ঘটেছে- তা ব্যাখ্যা কর বা বর্ণনা কর এ জাতীয় বাক্য দিয়ে এ ধরনের প্রশ্ন করা হবে। তাই এ জাতীয় বাক্য দিয়ে পাঠ্যবই থেকে যেসব প্রশ্ন হতে পারে তা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে আয়ত্ত করতে হবে।
৩. অনুধাবন বলতে কোনো বিষয়ের অর্থ বা মর্ম বোঝার ক্ষমতাকে বোঝায়। এ ধরনের প্রশ্নে শিক্ষার্থীকে কোনো বিষয়বস্তু সম্পর্কে নিজের ভাষায় ব্যাখ্যা বা বর্ণনা দিতে বলা হয় ।
৪. উদ্দীপক যে ধরনেরই হোক না কেন অনুধাবনমূলক প্রশ্ন নিয়ে দুশ্চিন্তা করার প্রয়োজন নেই। কেননা এ ধরনের প্রশ্নের ১০০%-ই পাঠ্যবই থেকে করা হবে।
■ প্রয়োগমূলক প্রশ্নের ক্ষেত্রে :
১. প্রয়োগমূলক প্রশ্নের উত্তর উদ্দীপক কিংবা উদ্দীপকসংশ্লিষ্ট পাঠ্যবিষয়ে সরাসরি না থাকলেও বক্তব্যের বিষয়টির সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতা থাকবে। তাই চিন্তিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।
২. এ ধরনের প্রশ্নে শিক্ষার্থীর পাঠ্যবই থেকে অর্জিত জ্ঞান ও অনুধাবন নতুন পরিস্থিতিতে প্রয়োগ করার দক্ষতা যাচাই করা হয়।
৩. এ জাতীয় প্রশ্নে উদ্দীপকের আলোকে গাণিতিক ব্যাখ্যা, উক্তিটির ব্যাখ্যা, মিল/সাদৃশ্য- অমিল/ বৈসাদৃশ্য ব্যাখ্যা কর তুলনামূলক আলোচনা কর, এক্ষেত্রে তুমি হলে কী করতে ইত্যাদি প্রশ্নবোধক বাক্য দিয়ে করা হয়। এ জাতীয় প্রশ্নবোধক বাক্য দিয়ে তোমার পাঠ্যবই থেকে যেসব প্রশ্ন হতে পারে তা আয়ত্ত করতে হবে।
৪. এ ধরনের প্রশ্নের উত্তর অনায়াসে করতে হলে শিক্ষার্থীকে উদ্দীপকসংশ্লিষ্ট পাঠ্যবিষয়টির মূলপাঠ বা মূলভাবটিকে ভিন্ন বাস্তব প্রেক্ষাপটে এনে উপস্থাপন করতে হবে।
■ উচ্চতর দক্ষতা যাচাইমূলক প্রশ্নের ক্ষেত্রে :
১. এটি চিন্তন দক্ষতার চতুর্থ বা শেষ স্তর। উচ্চতর দক্ষতা যাচাইমূলক প্রশ্নে শিক্ষার্থীর পাঠ্যবই থেকে অর্জিত জ্ঞান ও অনুধাবন নতুন কোনো ক্ষেত্রে প্রয়োগ করে সিদ্ধান্ত প্রদানের দক্ষতা যাচাই করা হয়। ২. উদ্দীপক ও উদ্দীপকসংশ্লিষ্ট বিষয়টি শিক্ষার্থী প্রশ্নের আলোকে যাচাই বাছাই করে সিদ্ধান্ত প্রয়োগ করবে।
৩. এ জাতীয় প্রশ্ন তুলনামূলক জটিল হলেও শিক্ষার্থী যদি সংশ্লিষ্ট পাঠ্যবিষয়টি ভালোভাবে আয়ত্ত করতে পারে এবং নিজের ভাষায় সিদ্ধান্ত ও বক্তব্য প্রদান করতে পারে; তবে চিন্তিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।
৪. এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর প্রশ্নোল্লিখিত বিষয় সম্পর্কিত তথ্য ও উপাত্ত জানা থাকতে হবে এবং সে আলোকে যথাযথ উত্তর প্রদান করতে হবে
প্রয়োজনে এ রকম আরো post পেতে আমাদের follow করতে পারেন। শেয়ার করে বন্ধুদেরও পড়তে সাহায্য করুন।
0 মন্তব্যসমূহ