★ লেখক পরিচিতি
নাম: আখতারুজ্জামান ইলিয়াস
জন্ম: ১৯৪৩ সালের ১২ ই ফ্রেবুয়ারি
জন্মস্থান: গাইবান্ধার গোটিয়া গ্রামে মামা বাড়িতে
পিতৃনিবাস: বগুড়ার উপকন্ঠে নারুলি গ্রামে
পিতা: বি.এম. ইলিয়াস
মাতা : মরিয়ম ইলিয়াস
পিতৃপ্রদত্ত নাম : আখতারুজ্জামান মোহাম্মদ ইলিয়াস
পড়াশোনা : প্রথমে বগুড়া পরে ঢাকা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর কর্মজীবন: সরকারি কলেজের বাংলা বিষয়ের অধ্যাপক
সাহিত্য রচনার বিষয়: দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি,রাজনীতি, অর্থনীতি, দারিদ্র্য, শোষণ, বঞ্চনা
রচনাবলী : ৫ ছোটগল্পে ২৮ টি গল্প
২ টি উপন্যাস,১ টি প্রবন্ধ
গল্পগ্রন্থ : অন্য ঘরে অন্য স্বর, খোয়ারি, দোজখের ওম,জাল স্বপ্ন স্বপ্নের জাল, দুধভাতে উৎপাত
উপন্যাস: চিলেকোঠার সেপাই, খোয়াবনামা
মৃত্যু : ১৯৯৭ সালের ৪ জানুয়ারি ঢাকায় ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে
প্রথম প্রকাশিত -১৯৯৫
২য় প্রকাশ- জাল স্বপ্ন স্বপ্নের জাল গ্রন্থে(১৯৯৭)
বর্তমান পাঠ- আখতারুজ্জামান ইলিয়াস রচনাসমগ্র ১
বিষয়বস্তু- মুক্তিযুদ্ধের সময় তখনকার ঢাকার পরিস্থিতি ও গেরিলা আক্রমণ
প্রেক্ষাপট -১৯৭১
★★ তথ্য
শনিতে বৃষ্টি- ৭ দিন
মঙ্গলে বৃষ্টি - ৩দিন
মিলিটারি লাগার পর নুরুল বাসা পাল্টায়-৪ বার
নুরুল হুদার ছেলেমেয়ে -২ জন
মেয়ের বয়স- আড়াই
ছেলের বয়স-৫
নুরুল বাসে উঠার সাথে সাথে নেমে যায়-২ জন
বাসের সামনের সিটে বসা ছিল-৩ জন
মাসের সংখ্যা-৩
মগবাজারের ফ্ল্যাট - ২ কামরার
দিনের সংখ্যা-৫
রাস্তায় বেরুলে পাঁচ কালেমা রেডি রাখতে হয় ঠোটের ওপর
প্রিন্সিপালের পিওনের নাম ইসহাক
নুরুল হুদার বাড়ির দরজায় দুটি ছিটকিনি একটি খিল
কলেজের মাঠের পাশে প্রিন্সিপালের কোয়ার্টার
কলেজের দেওয়ালের পর বাগান,টেনিস লনে
কলেজের জিমন্যাশিয়াম এখন মিলিটারি ক্যাম্প
গত রাতে কলেজের দেওয়াল ঘেষে বোমা ফাটানো হয়
কলেজে থাকা মিলিটারিদের নেতৃত্বে আছেন কর্ণেল
ইসহাক এপ্রিলের শুরুতে বাংলা বলা ছেড়েছে
নুরুল হুদার স্ত্রী আসমা
এপ্রিলের মাঝামাঝি প্রিন্সিপাল সব স্কুল কলেজ থেকে শহীদ মিনার হটানোর অনুরোধ করেন
রেডিও টেলিভিশনে হরদম বলছে সিচুয়েশন নরমাল
দেশে গনতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য বদ্ধপরিকর প্রেসিডেন্ট
পাকিস্তানের শরীরের কাঁটা শহীদ মিনার
নুরুল হুদার
জুলাইয়ের পহেলা তারিখ নুরুল বাসা চেঞ্জ করেন
আসমার ভাইয়ের নাম মিন্টু
আসমা ব্রিজ থেকে গুলির শব্দ শুনতে পায়
মিন্টু মগবাজার ছেড়ে চলে যায় ২৩ জুন
ওয়েলডিং ওয়ার্কশপের মালিকের শ্বশুর সর্দার গোছের রাজাকার
কলেজের প্রিন্সিপ্যালের নাম ডক্টর আফাজ আহমদ
উর্দুর প্রফেসরের নাম আকবর সাজিদ
জিওগ্রাফীর প্রফেসর আব্দুস সাত্তারর মৃধা
বাসস্ট্যান্ডের রাস্তার পাশে ছোট পান বিড়ির দোকান
দোকানদার ছেলেটা বাচাল গোছের
মিরপুরে জিপ উড়িয়ে পাঁচ খানসেনা খতম
আসাদগেটে বাস থামলে নয়জন বাসে উঠে
নুরুল হুদা নিউমার্কেটে বাস থেকে নামে
কলেজের জন্য আলমারী কেনা হয় দশটি
অফিসের তিনটি
বোটানি ডিপার্টমেন্ট দুটি
হিস্ট্রি ডিপার্টমেন্ট দুটি
জিওগ্রাফি ডিপার্টমেন্ট দুটি
ইংরেজি ডিপার্টমেন্ট একটি
মিসক্রিয়েন্টরা কলেজে ঢুকেছিল কুলির বেশে
নুরুল হুদাকে ধরে নেওয়া হয় মিসক্রিয়েন্টদের সাথে যুক্ত থাকায়
নুরুল হুদার শরীর ঝুলিয়ে দেওয়া হয় আংটার সাথে
নুরুলকে এক্সটা তটস্থ থাকতে হয় মিন্টুর জন্য
নুরুল হুদার হাপানির টান আছে
পিয়নের গলা চিনচিনে
মুয়াজ্জিন মিলিটারির গুলিতে নিহত হয় ভোরে
নুরুল হুদার বাসে উঠল লম্বা ও ফরসা এক মিলিটারি
আলমারি গুলো কলেজে আনা হয় ঠেলাগাড়িতে করে
আলমারি গুলো যেসময় আনা হয় তখন ছিল বর্ষাকাল
মিলিটারি নুরুল হুদাকে দুটি ঘুষি মারে
গল্পের কথকের নাম নুরুল হুদা
নুরুল হুদার মনে দেশপ্রেম ও সাহস জাগ্রত হয় মিন্টুর রেইনকোট পড়ে
নুরুল হুদা নিয়মিত জুম্মার নামাজ পড়ে
বন্দি অবস্থায় নুরুল হুদাকে খাওয়ানো হয় পাউরুটি ও দুধ
★ উক্তিসমূহ
মিসকিরিয়ান লোগ ইলেকটিরি টেরানসফার্মার তোড় দিয়া।অওর অয়াপস য়ানেকা টািম পিরিনসিপাল সাহাবকা কোঠিমে গেরেনড ফেকা।গেট তোড় গিয়া।- উক্তি প্রিন্সিপালের পিয়ন
তুমি বরং মিন্টুর রেইনকোট টা নিয়া যাও- উক্তি নুরুল হুদার বৌ
ভাবি আপনার ভাইকে তো দেখছি না- উক্তি পাশের ফ্ল্যাটের মহিলা
আমার ভাইটাকে আর ঢাকায় রাখলাম না- উক্তি নিচের তলার ভদ্রলোক
আব্বু ছোটমামা হয়েছে, আব্বু ছোটমামা হয়েছে-উক্তি নুরুল হুদার মেয়ে
আব্বু তাহলে মুক্তিবাহিনী,তাই না?- উক্তি নুরুল হুদার ছেলে
শোনেন, মিলিটারি যাদের ধরে, মিছামিছি ধরে না।সাবভার্সিভ অ্যাকটিভিটিজের সঙ্গে তারা সামহাউ অর আদার ইনভলভড।- প্রিন্সিপাল
প্রয়োজনে এ রকম আরো post পেতে আমাদের follow করতে পারেন। শেয়ার করে বন্ধুদেরও পড়তে সাহায্য করুন।
0 মন্তব্যসমূহ