রক্ত সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ৷৷ Some important facts about blood



 ★★ রক্ত (Blood)

• রক্ত এক ধরনের তরল যোজক কলা।

• সামান্য লবণাক্ত।

• PH ৭.২-৭.৪

• মানবদেহে শতকরা ৮ ভাগ রক্ত থাকে (গড়ে ৫-৬ লিটার)।

• মানুষের রক্তের তাপমাত্রা ৩৬-৩৮ ডিগ্রি সেন্ট্রিগ্রেড (গড়ে ৩৭ ডিগ্রি সেন্ট্রিগ্রেড)।

• রক্তে অক্সিজেন পরিবিহন ক্ষমতা নষ্ট করে কার্বন-মনো অক্সাইড (CO)

• জ্বর হলে রক্তের PH কমে যায়।

• রক্তে হেপারিন থাকার জন্য দেহের অভ্যন্তরে তা জমাট বাঁধে না।

• জোঁকের লালাতে হিরোডিন নামক পদার্থ থাকে বলে জোঁকে কামড়ালে রক্ত জমাট বাঁধে না।

• রক্ত গ্লুকোজের স্বাভাবিক মাত্রা 3.5 - 5.5 mmol/l

• রক্তের উপাদান ২ টি । যথা রক্তরস (৫৫%) ও রক্ত কনিকা (৪৫%)

• আমাদের দেহকোষ রক্ত হতে গ্রহণ করে- অক্সিজেন ও গ্লুকোজ।


রক্ত কাজ ----

ক. হরমোন বিতরণ করা।

খ. ক্ষুদ্রান্ত হতে কলাতে খাদ্যের সারবস্তু বিতরণ করা।

গ. কলা হতে ফুসফুসে বর্জ্য পদার্থ বহন করা।


 রক্তে জমাট বাধার ৪ টি কারণ---

ক. ফ্রিব্রিনোজেন

খ. প্রোথম্বিন

গ. টিস্যু থ্রম্বোপ্লাস্টিন

ঘ. ক্যালসিয়াম আয়ন

রক্তরসের কাজ—

ক. খাদ্যসার/ হরমোন/এনজাইম পরিবহণ।

খ. রক্ত জমাট বাঁধতে সহায়তা করে।

গ. বর্জ্য পদার্থ বৃক্কে নিয়ে যাওয়া।


• রক্তে প্রোটিনের হার ৪৫%

• রক্তের লৌহিত কণিকা তৈরি হয়- লোহিত অস্থি মজ্জায়।

• রক্ত কণিকা ৩ প্রকার।

• রক্ত স্বল্পতা হল- রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে যাওয়া।

• হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সাহায্য করে- আমিষ জাতীয় পদার্থ।

 • ব্লাড ক্যান্সার হয়- রক্তে শ্বেত রক্ত কণিকা বৃদ্ধি পেলে।

 • সাদা বা বর্ণহীন রক্তবিশিষ্ট প্রাণী- তেলাপোকা

 • শীতল রক্তবিশিষ্ট প্রাণী- ব্যাঙ

 • রক্তে শ্বেত কণিকা বেড়ে গেলে তাকে বলে -লিউকেমিয়া।

 • রক্ত জমাট বাঁধায়- অণুচক্রিকা হিমোগ্লোবিন-

• লৌহিত রক্ত কণিকায় থাকে-হিমোগ্লোবিন।

• হিমোগ্লোবিন বহন করে- অক্সিজেন।

• রক্তরসে হিমোগ্লোবিন থাকলে তা হয়- হলুদাভ।

• হিমোগ্লোবিনের জন্য রক্ত হয়- লাল ।

• হিম =লৌহ ধারণকারী এবং গ্লুবিন = প্রোটিন।

• হিমোগ্লোবিনকে বলা হয় রবিনহুড অণু।

• রক্তরসে হিমোগ্লোবিন থাকে- কেঁচোর।

• রক্তের রিপোর্টে বেশী থাকা ভাল-হিমোগ্লোবিন ।

• হিমোসায়ানিনঃ ইহা তাম্রঘটিত নীল বর্ণের রঞ্জক পদার্থ যার উপস্থিতিতে রক্ত নীলাভ হয়। চিংড়ি, কাকড়া, শামুক ও ঝিনুকের রক্তরসে এটি থাকে।

• এন্ট্রিকোগুলেন্টঃ যে সকল পদার্থ রক্তকে জমাট বাঁধতে দেয় না।যেমনঃ সোডিয়াম সাইট্রেট, পটাশিয়াম সাইট্রেট, সোডিয়াম অক্সালেট।

• একজন মানুষ প্রতিবার রক্ত দিতে পারে ৩০০-৪০০ মিলিমিটার।

• রক্তরসে পানির পরিমাণ- ৯১-৯২%।


• লৌহিত রক্ত কণিকায় নেই- নিউক্লিয়াস। এর আয়ুষ্কাল ১২০ দিন। এর অভাবে অ্যানিমিয়া/রক্ত স্বল্পতা হয়।

• স্বাভাবিকের তুলনায় রক্তে লৌহিত রক্ত কণিকায় বেড়ে যাওয়া- পলিসাইথেমি।

• যে প্রাণীর রক্তে লৌহিত রক্ত কণিকা নেই কিন্তু হিমোগ্লুবিন আছে- কেঁচো।

• যে প্রাণীর রক্তে লৌহিত রক্ত কণিকা আছে- উট।

• পিত্তরঞ্জক/ বিলিরুবিন তৈরি হয়- লৌহিত রক্ত কণিকার ভাঙ্গনে।


• শ্বেত রক্ত কণিকাঃ নির্দিষ্ট আকার বিহীন, নিউক্লিয়াসযুক্ত, বর্ণহীন। মানবদেহে এর স্বাভাবিক মাত্রা-৪০০০-১১০০০ কিউবিক/মিমি

• শ্বেত রক্ত কণিকা কমে যাওয়া বলতে বুঝায়- লিউকোপেনিয়া।

• শ্বেত রক্ত কণিকা বেড়ে যাওয়া বলতে বুঝায়- লিউকেমিয়া বা ব্লাড ক্যান্সার।

• লোহিত রক্তকণিকাঃ শ্বেত রক্তকণিকা= ৫০০ঃ১ ।

• হেপারিন তৈরি করে- শ্বেত রক্ত কণিকার বেসোফিল।

• আনুবীক্ষনিক সৈনিক- শ্বেত রক্ত কণিকা ।


• অণুচক্রিকাঃ সবচেয়ে ছোট রক্ত কণিকা, নিউক্লিয়াসবিহীন।

• রক্ত জমাট বাঁধার জন্য ফ্যাক্টর -১৩ টি

• রক্তনালী ও রক্তের গ্রুপঃ

• রক্তনালী তিন প্রকার- যথাঃ ধমনী, শিরা,ও কৈশিক নালীকা।

• ধমনী- হৃদপিণ্ড থেকে অক্সিজেন সমৃদ্ধ পুরো দেহে ছড়িয়ে দেয়।

• শিরাঃ দেহের বিভিন্ন অংশ হতে কার্বন-ডাই-অক্সাইড যুক্ত রক্ত হৃদপিণ্ডে বহন করে।

• ফুসফুসীয় ধমনী কার্বন-ডাই-অক্সাইড যুক্ত রক্ত বহন করে।

• ফুসফুসীয় শিরা অক্সিজেন যুক্ত রক্ত বহন করে।

• ধমনীর মধ্য দিয়ে রক্ত বাহিত হওয়ার বেগ ৪০-৫০ কিমি/ঘণ্টা।


• রক্তের চাপঃ

১২০ ৮০ সিস্টোলিক ডায়াস্টোলিক-হৃদপিণ্ডের হৃদপিণ্ডের সংকোচন সংকোচন                             


 • রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া আবিষ্কার করেন- উইলিয়াম হার্ভে

 • রক্তের গ্রুপ আবিষ্কার করেন- ল্যান্ড স্টেইনার

• রক্তের গ্রুপ ৪ টি- যথা- A, B, O এবং AB.

• সার্বজনীন গ্রহীতা- AB গ্রুপ।

• সার্বজনীন দাতা- O গ্রুপ।

• সুস্থ ব্যাক্তির নাড়ীর স্পন্দন- ৭২/মিনিট

• ডাক্তারের নাড়ী দেখা- ধমনীর স্পন্দন দেখা

 


প্রয়োজনে এ রকম আরো post পেতে আমাদের follow করতে পারেন। শেয়ার করে বন্ধুদেরও পড়তে সাহায্য করুন। 


এতক্ষন ধৈর্য্য ধরে পোস্টটি পড়ার জন্য,,, ধন্যবাদ 


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ