বাংলা দ্বিতীয় পত্র - বাংলা উচ্চারণের নিয়ম

 


১. বাংলা ‘অ' ধ্বনি উচ্চারণের যেকোনো পাঁচটি নিয়ম উদাহরণসহ লেখো। 

 

উত্তর: উদাহরণসহ বাংলা 'অ' ধ্বনি উচ্চারণের পাঁচটি নিয়ম নিচে দেওয়া হলো: 

ক. শব্দের আদিতে যদি 'অ' থাকে এবং তারপর ই-কার বা ঈ-কার কিংবা উ-কার বা উ-কার থাকে তবে সে অ-এর উচ্চারণ ও-কারের মতো হয়। যেমন: অতীত (ওতিত্), নদী (নোদি), অনুরোধ (ওনুরোধ), ময়ূর (মোয়ুর্) ইত্যাদি।


খ. শব্দের আদ্য অ-এর পরে য-ফলাযুক্ত ব্যঞ্জনবর্ণ থাকলে সে ক্ষেত্রে অ-এর উচ্চারণ সাধারণত ও-কারের মতো হয় । যেমন: অন্য (ওননো), অত্যাচার (ওত্তাচার্), কন্যা (কোনা) ইত্যাদি ।


গ. আদ্য অ-এর পর 'ক্ষ' থাকলে সে অ-এর উচ্চারণ সাধারণত ও কারের মতো হয়ে থাকে। যেমন: অক্ষ (ওখো), লক্ষ্মণ (লোকখোন), রক্ষা (রোক্খা) ইত্যাদি।


ঘ. বাংলা ভাষায় বেশ কিছু সমাসবদ্ধ তৎসম শব্দের মধ্য 'অ' ও কারান্ত রূপে উচ্চারিত হয়। যেমন: পথচারী (পথোচারি), বনবাসী (বনোবাশি), রণতূর্য (রনোতুরজো) ইত্যাদি।


ঙ. শব্দান্তে যুক্তবর্ণ থাকলে অন্তিম ‘অ' ও-কারের মতো উচ্চারিত হয়। যেমন: শক্ত (শকতো), কর্ম (করমো), প্রাপ্ত (প্রাপ্‌তো) ইত্যাদি ।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ