পড়ার টেবিলে যাওয়ার আগে আগের দিনে ঠিক করে রাখুন আপনি কি পড়বেন। পরিকল্পনা করুন, কাজে নেমে পড়ুন।
• গুরুত্বপূর্ণ সব বই থাকবে আপনার টেবিলে। যে বইগুলো দেখলেই আপনার মন ভালো হয়ে যাবে। আর রুটিনটা চোখের সামনে থাকে যেন।।
• টেবিলের ওপর দেয়ালে বিশ্বের/ বাংলাদেশের মানচিত্র টাঙ্গাবেন। আর টেবিলের ওপর বিশ্বের/ বাংলাদেশের মানচিত্র রেখে পড়বেন।
• হাতের কাছে পানির বোতল রাখবেন। ক্লান্ত হলেই পানি খাবেন। এটা পড়ায় মনোযোগ ধরে রাখতে খুব কাজে দেয়।
• আপনি নিজের কাছে একটা পুরস্কার ঘোষণা করুন ৩/৪ ঘন্টা পড়ার পর নিজেকে একটা চকলেট / প্রিয় কুকিজ খেতে দিবেন।
• আপনি নিজেকে কথা দিন ৩ ঘন্টার আগে মোবাইল হাতে নিবেন না। আপনি এমন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যাননি ৩ ঘন্টা ফোন হাতে না নিলে মহা ভারত অশুদ্ধ হয়ে যাবে না। এটা আপনার জন্য কঠিন যুদ্ধ।
• একটানা এক সাব্জেক্ট পড়বেন না। কঠিন সাব্জেক্ট পড়ার পর সহজ সাব্জেক্ট পড়ুন। যেমন ইংরেজি / গণিত পড়ার পর বাংলা সাহিত্য পড়ুন।
পড়ায় বিরক্ত লাগলে পেপার পড়ুন।
• পড়ায় ব্রেক দিন। জানেন তো? বিশ্রাম কাজের অঙ্গ একসাথে গাঁথা। যদি মাথা ধরে ১০/১৫ মিনিট চোখ বন্ধ করে শুয়ে ধ্যান করুন।
• আমার মতে রাত জেগে পড়ে সারাদিন ঝিমিয়ে পড়ায় আপনার লোকশান। এমন ভাবে পড়ুন আপনার ঘুম যেন ঠিক থাকে। পড়াও ক্ষতি হয়না। ধরুন ২ টায় ঘুমিয়ে ৮ টায় উঠেন। এটা এমন হতে পারে ১১ টায় ঘুমিয়ে ৫ টায় উঠলেন। সকালে পর্যাপ্ত ঘুমে মানুষের মাথা ঠান্ডা থাকে পড়া ক্যাচ করে
বেশি। ব্যক্তিগত মতামত।।
• ১০ ঘন্টা মোবাইল টিপে পড়ার চেয়ে ২ ঘন্টা মনযোগ দিয়ে পড়া উত্তম। জানেন তো যে যতো বেশি মনযোগী সে তত বেশি মেধাবী।।
• পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়বেন। তাহলে পড়ার রুটিন টা সঠিক থাকবে।
• পড়ার টেবিলে ঘড়ি রাখবেন। সময় দেখতে মোবাইল ধরলে আপনাকে মোবাইল আর ছাড়বে না। ২০,৩০ মিনিট চলে যাবে বুঝতেও পারবেন না। তাই মোবাইল না দেখে ঘড়ি দেখুন।
• প্রতিদিন অন্তত ১০/১২ ঘন্টা পড়ার ট্র্যাকে থাকুন। ৬ মাস পর আপনি হবেন সুপার সাইক্লোন। বই দেখেও কেউ আটকাতে পারবে না।
নিজের থেকে কয়েকটি কৌশল কমেন্টে শেয়ার করুন, যাতে সবাই উপকৃত হয়।
0 মন্তব্যসমূহ