![]()  | 
| Corona virus | 
বন্ধুরা কেন একশো বছর পর ফিরে আসে মহামারী? তাই বিশ নম্বর বছরে কেন ফিরে আসে মহামারী? দুনিয়ায় বর্তমান করোনা ভাইরাস মহামারীর অপারেশন চলছে. যার আক্রমণ থেকে কোন দেশ নিরাপদ থাকতে পারছে না. যেটা বন্ধ হওয়ার অনুলক্ষণ দেখা যাচ্ছে না. যদিও বর্তমান মানব সভ্যতা মেডিক্যাল সাইন্সে অনেক উন্নতি করেছে. কিন্তু আজ থেকে অনেক বছর আগে কোন মহামারীর আক্রমণ হলে মানুষের মাঝে কত ভয়ানক পরিস্থিতি হতো. ইতিহাসে এরকম অনেক ভয়ানক মহামারী এসেছে যে মহামারীতে অনেক দেশের মানবগোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিয়েছে
এ কথা জানার পরেই ভয়ে শরীরের লোম দাঁড়িয়ে যায় কেননা প্রত্যেক একশো বছর পরেই কেন ফিরে আসে যা ক্ষমতাধর অহংকারী মানব সভ্যতাকে ধুলোর সাথে মিলিয়ে দেয়. সারা দুনিয়ায় মহামারীর ধ্বংসাত্মক আক্রমণ হয়. যেরকম বর্তমান করোনা ভাইরাস মহামারীর আক্রমণ চলছে. মহামারী তার আক্রমণ চালিয়ে যায়. মানুষের মৃত্যু হতে থাকে প্রত্যেক একশ বছর পরে মানুষের নতুন ধরনের মহামারী হয় এবং নতুন মেডিসিনের খোঁজ করতে লাগে. এরকম ধারা অতিবাহিত হয়ে যাওয়া প্রায় চারশো বছর ধরে পৃথিবীতে চলে আসছে.
![]()  | 
করোনা ভাইরাস প্রথম মহামারী নয় এর আগে অতিবাহিত হয়ে যাওয়া চারশো বছরে চার ধরনের মহামারী এসেছে. শুধু তাই না এরকম মহামারীর গুজব, মানব সভ্যতায়. থেকেই চলে আসছে. কিন্তু একটি কথা মিল রয়েছে সেটি হলো প্রত্যেক শতাব্দীর বিষ সংখ্যা. অর্থাৎ বর্তমান যেরকম দুই হাজার বিশ ঠিক সেই রকমের আঠারোশো বিশ এবং ঊনিশশো বিশ এও. মহামারীর ভয়ঙ্কর আক্রমনে মানব গোষ্ঠী ধ্বংস হয়েছে. সতেরোশো বিশ সালে যখন সারা দুনিয়ায় প্লেট মহামারী আক্রমণ করেছিল, এটাকে গ্রেট ক্লিপ অফ মার্সেলি বলা হয়. মার্সেলি হল ফ্রান্সের এক শহরের নাম.
সে সময় পৃথিবীতে এত জনের সংখ্যা ছিল না. যদিও আপনি এই পিলেক মহামারী বিভীষিকা অথবা ছিল এই তথ্য থেকে জানতে পারে. মার্সিলিতে হওয়া প্লেগরা আক্রমণে এক লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়. এই ব্লেগ সংক্রমণের শুরুতে কয়েক মাসে পঞ্চাশ হাজার মানুষের বাকি পঞ্চাশ হাজার মানুষ পরের দুই বছরের মৃত্যু. লিগের এই মহামারী বছরের পর বছর ধরে চলতে থাকে. আঠারোশো ষাট সালে এই মহামারী চিনের অংকন এই মহামারী চিনের চিল্ক রোডের মাধ্যমে দুনিয়ার বাকি জায়গাগুলিতে ছড়িয়ে পড়ে. Infact, ইঁদুর, EVM এর ভাইরাস নিয়ে পৌঁছে যায়.
![]()  | 
 অর্থাৎ সংক্রমিত ইঁদুরের মাধ্যমে ইবেম আর ছড়িয়ে পড়ে. চিন থেকে এই রোগ ভারতে ছড়িয়ে পড়ে. ভারতে আঠারোশো উননব্বই শুরু হয় এই রোগ চিনের থেকে বেশি ভয়ানক ধ্বংসলীলা ভারতে করেছিল. এই মহামারীতে চীন এবং ভারত মিলিয়ে প্রায় এক কোটি বিশ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল. এই তো ওট সিটি, অংকং থেকে ব্রিটিশ ভারতে প্রবেশ করেছিল. এর আক্রমণ সব থেকে বেশি ছিল মুম্বাই, উনে, কলকাতা এবং শুরু হয়েছে অনেক সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে যায়.
ইপিলিগের ভাইরাস ইঁদুরের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তো. যদি তৎক্ষণাৎ এর ট্রিটমেন্ট না হতো তবে এই ভাইরাস মানুষকে চব্বিশ ঘন্টায় মেরে ফেলতো. এরপর আঠেরোশো বিশ শতাব্দীতে ভাইরাসের আক্রমণের বিভীষিকা সতেরশ বিশ শতাব্দীর ভাইরাসের এবার এটা ঠিক একশো বছর পর ওলেরা ভাইরাস মানুষের জন্য মৃত্যু নিয়ে হাজির হয় আঠেরশো বিশ এশিয়ার দেশগুলিতে মহামারী ভয়ঙ্কর ভাইরাসের রূপ ধারণ করে. এই মহামারী জাপান, ভারত, ব্যাংকক, মানিলা, জাবা, ওমান, চীন, মারিশাস, সিরিয়াল এইসব দেশগুলিকে আক্রমণ করে.
![]()  | 
সব থেকে বেশি মৃত্যু হয় ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ডে এরপর উনিশশো বিশে স্পেনিস ক্লু ভাইরাসের ওলেরা ভাইরাসের ঠিক একশো বছর পর উনিশশো বিশে স্প্যানিশ blue ছড়িয়ে পড়ে. যদিও এর আরম্ভনে উনিশশো আঠেরোতে শুরু হয়েছিল. কিন্তু দুনিয়ার মানুষ আক্রমণে উনিশশো বিশে দিশেহারা হয়ে যায়. প্রথম দুনিয়া প্রথম বিশ্বযুদ্ধ থেকে ক্ষতি হয়ে যাওয়া ধ্বংসলীলা থেকে উঠে আসার জন্য চেষ্টা করেছিল. ঠিক সেই সময় স্প্যানিশ ভাইরাসের আগমন হয়, প্রথম বিশ্বযুদ্ধে যত মানুষের মৃত্যু হয় তার চাইতে দুইগুন মানুষকে স্পেনিসগুলো গ্রাস করে. 
সেই সময় প্রায় পাঁচ কোটি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল. দুই বিশের মহামারী হচ্ছে করোনা ভাইরাসের এর পর. স্পেনিস, ক্লু ভাইরাসের ঠিক একশো বছর পর দুই হাজার বিশে বর্তমান করোনা ভাইরাস পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ছে. ঠিক একশো বছর দুই হাজার বিশ এ চীন থেকে শুরু হওয়া করোনা ভাইরাস মহামারী আজ পৃথিবীর প্রায় প্রত্যেকটা দেশে আক্রমণ করেছে. যার মেডিসিন এখন পর্যন্ত বৈজ্ঞানিকরা আবিষ্কার করতে পারেনি. বৈজ্ঞানিকরা এ কথাও বলেছে এই ভাইরাসের আক্রমণ এ বছরের শেষ পর্যন্ত চলতে পারে. কিন্তু একশো বছর পর নিজ সংখ্যায় মহামারী কেন ফিরে আসে?
রহস্য, রহস্যই থেকে যায়. বিজ্ঞানীকরাও এর রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হননি. কি এর রহস্য? একমাত্র আল্লাহ তালায়ই ভালো জানেন. এখন এই করোনা ভাইরাসের আক্রমণ কোথায় গিয়ে বন্ধ হবে এ কথা একমাত্র আল্লাহপাক ভালো জানেন যিনি সমস্ত জগতসমূহুকে সৃষ্টি করেছেন. আল্লাহ আমাদের সবাইকে ক্ষমা করুন এবং এই ভাইরাসের মহামারী থেকে রক্ষা করুন. আমিন. সবাইকে ধন্যবাদ




1 মন্তব্যসমূহ
হই
উত্তরমুছুন