অন্তরের রোগ ও তার প্রতিকার

জেনে নিন, অন্তরের ১০টি রোগ, যা ইসলাম থেকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছে  তাই অন্তরের ১০টি রোগ সম্পর্কে এখনই জেনে নিন। সেই সাথে এগুলো জানার পরে জীবনে শিক্ষা লাভ করুন এবং খেয়াল রাখবেন এগুলো যেন আপনার ...  Facebook প্রতিদিন একটি আয়াত ও এক...  8 reactions. 10 years ago  অন্তরের ১০ টি রোেগ ১ -... - প্রতিদিন একটি আয়াত ও একটি হাদিস  অন্তরের ১০ টি রোগ ১- আল্লাহর অস্তিত্বে বিশ্বাস করেন কিন্তু তাঁর আদেশ পালন করেন না। ২- মুখে বলেন মুহাম্মদ (সাঃ) ...  HadithBD  https://www.hadithbd.com > link  অন্তরের জীবন, মরণ, রোগ ও সুস্থতা  ইতিপূর্বে অতিক্রান্ত হয়েছে যে, অন্তরের রোগ দু'প্রকার: مَرَضٌ شَهْوَةٍ বা কুপ্রবৃত্তির অনুসরণ করার রোগ [1] এবং ومرض شبهة বা দ্বীনের ব্যাপারে  মাসিক আলকাউসার  www.alkawsar.comঅন্তরের ১০টি রোগ ও তার প্রতিকার। ইসলাহী মজলিস,অন্তরের ১০টি রোগ ও তার প্রতিকার. শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী মাওলানা উমায়ের কোব্বাদী. শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী মাওলানা উমায়ের,মনের ১০টি রোগ, যেগুলো থেকে বেঁচে থাকা কর্তব্য,ইসলামে মানসিক রোগ,অন্তরের মরিচা দূর করার উপায়,মনের রোগ কি,অন্তরের পবিত্রতা,রোগাক্রান্ত অন্তর  Q

আপনার অন্তর যদি পাথর হয়ে যায়, তাহলে আপনার মধ্যে থেকে রহমত দূরে সরে যায়। সেই সাথে আপনার মধ্যে থেকে দিনে দিনে দ্বীনের আলো কমতে থাকে। কমতে কমতে এমন এক পর্যায়ে আপনাকে নিয়ে যায়, যেখানে কাফের আর আপনার মধ্যে তেমন কোন পার্থক্য পরিলক্ষিত হয় না। তাই অন্তরের ১০টি রোগ সম্পর্কে এখনই জেনে নিন। সেই সাথে এগুলো জানার পরে জীবনে শিক্ষা লাভ করুন এবং খেয়াল রাখবেন এগুলো যেন আপনার শরীরে কোন ভাবেই বাসা বাধতে না পারে।

 আল্লাহর অস্তিত্বে বিশ্বাস করি কিন্ত তাঁর আদেশ পালন করি না।

 মুখে বলি রাসুল (সা:)-কে ভালোবাসি, কিন্তু তাঁর সুন্নত অনুসরণ করি না ।

 কুরআন পড়ি, কিন্তু বুঝিনা; তাই বাস্তবায়নও করি না।

 আল্লাহর সকল নেয়ামত ভোগ করি, কিন্তু তাঁর শুকরিয়া আদায় করি না।

 স্বীকার করি শয়তান আমাদের শত্রু, আমল করি না।

 জান্নাত পেতে চাই, কিন্তু তার জন্য আমল করি না।

 জাহান্নাম থেকে বাঁচতে চাই, কিন্তু সেখান থেকে পালানোর চেষ্টা করি না।

 বিশ্বাস করি মৃত্যুবরণ করতে হবে, কিন্তু তার জন্য নিজে প্রস্তুত হই না।

 পর নিন্দা ও গীবত করি; কিন্তু নিজের দোষ-ত্রুটি ভুলে যাই ।

 মৃত ব্যক্তিকে দাফন করে আসি, কিন্তু তা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করি না ।


অহংকার : তাকাব্বুর বা অহংকারের অর্থ হলো প্রশংসনীয় গুণাবলির মধ্যে নিজেকে অন্যের তুলনায় শ্রেষ্ঠ মনে করা এবং অন্যকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা, হক ও সত্যকে অস্বীকার করা। যখন মানুষ নিজের ব্যাপারে এরূপ ধারণা পোষণ করে এবং আল্লাহর দেওয়া গুণসমূহকে নিজের কৃতিত্ব মনে করে, তখন তার নফস ফুলে ওঠে। এরপর কাজে-কর্মে এর প্রতিক্রিয়া প্রকাশ পেতে থাকে।

লোক দেখানো : রিয়া বলা হয় নিজ ইবাদত ও ভালো আমলের মাধ্যমে মানুষের অন্তরে বড়ত্ব ও মর্যাদার আকাঙ্খা করা।

মিথ্যাবলা : মিথ্যা তো এখন অভ্যাস হয়ে গেছে আমাদের। আমরা কথায় কথায় মিথ্যা বলি। মিথ্যার আশ্রয় নেই।

কীনা : কীনা কাকে বলে? এটাও হিংসার কাছাকাছি। মনে মনে জ্বলতে থাকা যে, এই গুণটা তাকে কেন দেওয়া হল! সে কেন এই জিনিসের মালিক হল! এই ইলম তাকে কেন দেওয়া হল ইত্যাদির নাম হল কীনা।

প্রতিকার 

অন্তরের সুস্থতার জন্য দোয়া করা মুস্তাহাব। কেননা, রাসুলুল্লাহ (সা.) আত্মশুদ্ধির জন্য নিয়মিত দোয়া করতেন। তাই আলেমরা আত্মশুদ্ধির জন্য দোয়া করা মুস্তাহাব বলে মত দিয়েছেন। মহানবী (সা.) দোয়া করতেন, ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে সুস্থ অন্তর (কলব) কামনা করছি।’ (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ১৭১১৪

 অন্তরের পবিত্রতার জন্য দোয়া করা : অন্তরের পবিত্রতা ও পরিশুদ্ধির জন্য এবং আল্লাহর বিধান পালনে তার দৃঢ়তার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করা আবশ্যক। রাসুলুল্লাহ (সা.) দোয়া করতেন, ‘হে অন্তর পরিবর্তনকারী! আমার অন্তরকে আপনার আনুগত্যে দৃঢ় করে দেন।’ (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ৯৪২০)

কবর জিয়ারত ও মৃত্যুর স্মরণ : কবর জিয়ারত ও মৃত্যুর স্মরণের মাধ্যমে মানুষের অন্তর আল্লাহমুখী হয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘ইতোপূর্বে আমি তোমাদেরকে কবর জিয়ারত করতে নিষেধ করেছিলাম, এখন তোমরা তা জিয়ারত করো। কেননা নিশ্চয়ই তা আখিরাতকে স্মরণ করিয়ে দেয় এবং অন্তরের উন্নতি ঘটায়।’ (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ২৩০০৫)।

 আল্লাহর স্মরণ অন্তর নরম করে : আল্লাহর জিকিরে মানব হৃদয় প্রশান্ত ও নরম হয়। এতে আত্মার পরিশুদ্ধি লাভ হয়। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘জেনে রেখো! আল্লাহর জিকিরেই অন্তর প্রশান্ত হয়।’ (সুরা রাআদ, আয়াত : ২৮)

 পরকালকে ভয় করা : আত্মার পরিশুদ্ধি ছাড়া কিয়ামতের দিন কোনো কিছুই উপকারে আসবে না। সুতরাং পরকালের ভয় অন্তরে উপস্থিত রাখতে হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আজ সম্পদ ও সন্তান কোনো উপকার করতে পারবে না, কেবল যে পরিশুদ্ধ আত্মা নিয়ে আল্লাহর কাছে আসবে।’ (সুরা শুআরা, আয়াত : ৮৮-৮৯)

 অসহায় মানুষের পাশে থাকা : হাদিস শরিফে এসেছে, এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে এসে তার অন্তরের কঠোরতা সম্পর্কে অভিযোগ করল। রাসুলুল্লাহ (সা.) তাকে বললেন, ‘যখন তুমি তোমার অন্তরকে নরম করার ইচ্ছা করবে তখন এতিমের মাথায় হাত বোলাবে এবং মিসকিনকে খানা খাওয়াবে।’ (মুসনাদ আহমদ, হাদিস : ৯০১৮)


পরিশেষে, হক্কানী আলেমদের সোহবতে থাকা। তাদের কথা শ্রবণ করা। তাদের ওয়াজ ও নসীহত শোনা।


পুরোটা পড়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ 

আপনাদের পরামর্শ আমাদেরকে জানান কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে কমেন্ট বক্সে লিখে কমেন্ট করুন


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ