এইচএসসি - তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দ্বিতীয় অধ্যায় -Bluetooth ও Wifi এর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

 



ব্লুটুথ Bluetooth : অতি অল্প দূরত্বে দুই বা ততোধিক ডিভাইসের মধ্যে তারবিহীন যোগাযোগের পদ্ধতি হচ্ছে ব্লুটুথ। এর কার্যক্ষমতা 10 মিটার থেকে 100 মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। 

এটি 2.4 GHz ফ্রিকোয়েন্সিতে কাজ করে। এর ডেটা ট্রান্সফাররেট 1Mbps বা তার বেশি। 

ব্লুটুথ দুই প্রকার। একটি পিকোনেট অন্যটি স্ক্যাটারনেট। এটি একটি পিকো-নেট এর আওতায় সর্বোচ্চ ৮টি যন্ত্রের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান করতে পারে। একাধিক পিকোনেট মিলে একটি স্ক্যাটারনেট হয়। এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে কনফিগার করতে পারে। বর্তমানে ল্যাপটপ, ট্যাবলেট পিসি, পিডিএ, মোবাইল ফোন ইত্যাদি ডিভাইসে ব্লুটুথ বিল্ট-ইন থাকে। তাছাড়া ইউএসবি ব্লুটুথ অ্যাডাপ্টারের সাহায্যে যে কোন কম্পিউটারে ব্লুটুথ সক্রিয় করা যায়। সাধারণত মোবাইল থেকে মোবাইলে, ডিজিটাল ক্যামেরা থেকে ল্যাপটপে তথ্য স্থানান্তরে ব্লুটুথ ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়।

 

ওয়াই-ফাই Wifi



Wifi বা Wireless fidelity হচ্ছে একটি

জনপ্রিয় ওয়্যারলেস প্রযুক্তি যার সাহায্যে রেডিও

ওয়েব ব্যবহার করে কোনো ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস উচ্চ গতি সম্পন্ন ইন্টারনেটসহ কম্পিউটারের লোকাল

এরিয়া নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হয়ে ডেটা আদান-প্রদান

করতে পারে। এটি হচ্ছে ওয়্যারলেস লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক (WLAN) ব্যবস্থা এবং এর স্ট্যান্ডার্ড হলে

IEEE 802.11 (Institute of Electrical and

Electronics Engineers)। সাধারণত স্মার্ট ফোন,

পিসি, ল্যাপটপ, ট্যাব ইত্যাদি ডিভাইসের মধ্যে Wifi

সংযুক্ত করা হয়। এর কভারেজ এরিয়া ইনডোরের

ক্ষেত্রে 32 মিটার এবং আউটডোরের ক্ষেত্রে 95 মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে।


ওয়াই-ফাই (Wifi) এর সুবিধা


তারযুক্ত লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্কের তুলনায় Wifi তুলনামূলকভাবে সস্তা।

 কোনো লাইসেন্স বা কোনো কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের প্রয়োজন হয় না।

 প্রত্যন্ত অঞ্চল, ঐতিহাসিক ভবন এবং যে সকল দূরবর্তী স্থানে তার ব্যবহার করা অসম্ভব সেখা সহজেই Wifi ব্যবহার করা সম্ভব। 

 Wifi প্রযুক্তি ব্যবহার করে একই সাথে একাধিক ডিভাইসে ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া হয়।

 হাফ ডুপ্লেক্স মোড ব্যবহৃত হয়।

যে কোন মানের Wifi ডিভাইস বিশ্বের যে কোন স্থানে কাজ করতে পারে।

নেটওয়ার্কে সহজে নতুন ব্যবহারকারী যুক্ত করে নেটওয়ার্কিং সুবিধা পাওয়া যায়।

এর ব্যান্ড উইথ 10Mbps 50Mbps.


ওয়াই-ফাই (Wifi) এর অসুবিধা


নির্দিষ্ট এলাকা ছাড়া কভারেজ পাওয়া কঠিন।

ভ্রমণরত অবস্থায় Wifi এর সাহায্যে কাজ করা

ডেটা ট্রান্সফার ধীরগতি সম্পন্ন।

ঝড়-বৃষ্টিতে সিগন্যালের সমস্যা দেখা দেয়।

নেটওয়ার্কের অন্যান্য ডিভাইস কর্তৃক সিগন্যাল জ্যাম তৈরি হতে পারে।

নেটওয়ার্কের দক্ষতা ও গতি তুলনামূলকভাবে কম। 

ডেটার নিরাপত্তা ও নেটওয়ার্কের নিরাপত্তার ঝুঁকি থাকে।


কিছু প্রশ্ন.....

ব্লুটুথ কিভাবে চালু করতে হয়

ব্লুটুথ এর উদ্ভাবক কোন প্রতিষ্ঠান

ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন সিস্টেম কি? 

Bluetooth, WiFi WiMAX,

ব্লুটুথ(Bluetooth) সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ