তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি | কমিউনিকেশন সিস্টেমের ধারণা

 


Concept of communication system


কমিউনিকেশন সিস্টেমে ডেটা বা উপাত্তকে একস্থান থেকে অন্য স্থানে অথবা এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে স্থানান্তর করে থাকি) কম্পিউটার নেটওয়ার্ক হলো ডেটা কমিউনিকেশনের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়। বর্তমানে তথ্য প্রযুক্তির এ যুগে কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আমরা ঘরে বসেই সমগ্র বিশ্বের সব খবর সংগ্রহ করতে পারছি। জাতীয় উন্নয়নে ডেটা কমিউনিকেশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

 

যোগাযোগের জন্য প্রেরক, মাধ্যম ও প্রাপক এ তিনটি হলো মৌলিক বিষয়, যা কমিউনিকেশন সিস্টেম হিসেবে পরিচিত। ১৯৬০ সালে সর্বপ্রথম একটি কেন্দ্রিয় কম্পিউটার ও দূরবর্তী টার্মিনালের মধ্যে উপাত্ত স্থানান্তর প্রক্রিয়ার প্রচলন শুরু হয়। পরবর্তীতে টার্মিনালের স্থলে কম্পিউটার প্রতিস্থাপন সম্ভব হলে গড়ে ওঠে কম্পিউটার কমিউনিকেশন। বর্তমান সভ্যতায় কম্পিউটার কমিউনিকেশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এটা স্থানান্তর

 

ডেটা কমিউনিকেশনের ধারণা


ডেটা কমিউনিকেশনের অর্থ হল ডেটার স্থানান্তর। কিন্তু বাস্তবে এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে কিংবা এক ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইসে ডেটা প্রেরণ এবং অন্য ডিভাইস থেকে আগত ডেটা গ্রহণকে ভেটা ট্রান্সমিশন বুঝায়। অর্থাৎ বিশেষ সংযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে সংযুক্ত অনেকগুলো কম্পিউটারের মধ্যে ডেটা আদান- প্রদান পদ্ধতিকেই ডেটা ট্রান্সমিশন বলে। একই কাজকে ডেটা কমিউনিকেশন বলে অভিহিত করা হয়। ডেটা কমিউনিকেশনের মাধ্যমে শুধুমাত্র ডেটাই প্রেরণ করা হয় না, ছবি, শব্দ, ভিডিও ইত্যাদিও আদান প্রদান করা হয়।


ডেটা কমিউনিকেশনের উপাদান (Components of Data Communication) ডেটা কমিউনিকেশন এবং কম্পিউটার নেটওয়ার্কের কার্যাবলি সাধারনত পাঁচটি উপাদানের সমন্বয়ে সম্পাদিত হয়। নিম্নে ডেট কমিউনিকেশনের উপাদানসমূহের বর্ণনা দেয়া হলো:


 উৎস (Source) : যে যন্ত্র হতে ডেটা পাঠানো হয় তাকে উৎস বলে। যেমন- টেলিফোন, কম্পিউটার ইত্যাদি । ১ 


প্রেরক (Transmitter) : প্রেরকের কাজ হচ্ছে ডেটাকে উৎস হতে গন্তব্যে ট্রান্সমিশন মাধ্যমের মধ্য দিয়ে প্রেরণের উপযোগী করে রূপান্তর করা। যেমন- মডেম।


মাধ্যম (Media) : যার মাধ্যমে ডেটাকে উৎস হতে গন্তব্যে পাঠানো হয় তাকে মাধ্যম বলে। কমিউনিকেশন মাধ্যম হিসেবে টেলিফোন লাইন, ডেটা ক্যাবল, মাইক্রোওয়েভ স্যাটেলাইট প্রভৃতি ব্যবহার করা হয় ।


গ্রাহক বা প্রাপক (Receiver) : গ্রাহকের কাজ হচ্ছে মাধ্যম হতে ডেটা গ্রহণ করা এবং গন্তব্যের উপযোগী করে ডেটাকে রূপান্তর করা। যেমন- মডেম।


গন্তব্য (Destination) : যে ডিভাইস প্রাপক হতে ডেটা গ্রহণ করে তাকে গন্তব্য বলে। গন্তব্য হিসেবে কম্পিউটার, সার্ভার ইত্যাদি ব্যবহৃত হয়।





একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ