আল-কোরআনে মহাকাশ সম্পর্কে কী বলা হয়েছে || কোরআন-এ মহাবিশ্বের সৃষ্টি

 



বিশাল মহাকাশ সৃষ্টির ক্রিয়া প্রক্রিয়াগুলি যার আদেশে সংগঠিত হয়েছে তিনি প্রচন্ড ক্ষমতার মালিক একক স্রষ্টা, আল্লাহ তা'আলা ।

أَفَلَمْ يَنْظُرُوا إِلَى السَّمَاءِ فَوقَهُمْ كَيْفَ بَنَيْنَهَا وَزَيَّتُهَا

وَمَالَهَا مِن فروج -


Do they not look at the sky above them? How We

made it and adorned it and there is no flaw in it?


তারা কি তাদের মস্তক উপরে আকাশ পানে তাকায় না? আমরা কিভাবে তা নির্মাণ করেছি এবং কিভাবে তা (গ্রহ, নক্ষত্র, গ্যালাক্সি ইত্যাদি দ্বারা) সজ্জিত করেছি এবং (এতে) কোন ত্রুটির অবকাশ রাখিনি? (ক্বাফ-৬)


الَّذِي خَلَقَ سَبْعَ سَمُوتٍ طِبَاقًا - مَاتَرى فِي خَلْقِ الرَّحْمَنِ مِنْ تَفُوتٍ ، فَارْجِعِ الْبَصَرَ هَلْ تَرى مِنْ فطور


It is He Who created the seven heavens one above another. No incongruity you will see on the creation of Rahman (Most Gracious). So turn your vision again and again, can you find any flaw?


তিনি আল্লাহ যিনি সপ্ত আকাশ সৃষ্টি করেছেন স্তরে স্তরে । রহমানের সৃষ্টি নৈপুন্যতায় কোন কিছু অসামঞ্জস্য দৃষ্ট হবে না। অতঃপর আকাশ পানে তাকাও; বার বার তাকাও ৷ কোন ত্রুটি দেখতে পাও কি? (মুল্ক-৩)


সমগ্র সৃষ্টির মধ্যে সপ্ত আকাশ এবং আকাশী বস্তু সমূহের সৃষ্টি অতিশয় কঠিন কাজ। যা মহাকর্ষ বলের প্রভাবে এখনো প্রতিষ্ঠিত আছে। মহাকর্ষ শক্তির প্রকৃত কারণ বিজ্ঞানীদের জ্ঞান বুদ্ধির অগম্য হলেও আল-কোরআন বলছে, এটি মহান আল্লাহ তাআলার 'আদেশ' ঘটিত শক্তি।

انْتُمْ أَشَدُّ خَلْقًا أَمِ السَّمَاء بَنْها رَفَعَ سَمْكَهَا فَسَوهَا .

Are you more difficult to create or the heaven He has

created? On high has he raised its canopy and He has given it order and perfection. 

তোমাদের সৃষ্টি অধিক কঠিন না আকাশের? যা তিনিই নির্মাণ করেছেন এবং সমুন্নত করেছেন এবং যথার্থ আদেশ (মহাকর্ষ শক্তি) প্রদান করেছেন।

(নাযিআত-২৭-২৮)


সপ্ত আকাশের সুবিশাল ব্যবস্থাপনা যা দর্শন করে নভোচারীদের শিহরণ জাগে । প্রত্যেক আকাশে অবস্থিত গ্রহ, নক্ষত্র সহ গ্যালক্সিমন্ডলী, নেবুলা, সুপার নোভা প্রভৃতির সুশৃংখল সুনিয়ন্ত্রিত আবর্তন দেখে মহান স্রষ্টাকে অস্বীকার করার কোন যুক্তি আছে কি? সপ্ত আকাশের মালিক মহান আল্লাহ বলছেন-

ثم استوى إلى السَّمَاءِ فَسَتُوهُنَّ سَبْعَ سَمَاتٍ

 He turned to the heaven and gave order and

Then perfection to the seven firmaments. 

অতঃপর তিনি আকাশের দিকে মনোযোগ দিলেন এবং যথাযথ ভাবে

সপ্ত আকাশ নির্মাণ করলেন। (বাকারা-২৯)

أَلَمْ تَرَوْا كَيْفَ خَلَقَ اللهُ سَبْعَ سَمَوتِ طباقاً .

Have you not seen how Allah created seven skies in perfect harmony? 

তোমরা লক্ষ্য করে দেখনি, কিভাবে আল্লাহ সপ্ত আকাশ নির্মাণ করেছেন

স্তরে স্তরে? (নূহ-১৫)

اللهُ الَّذِي خَلَقَ سَبْعَ سَمُوتٍ

Allah is He Who has created over you seven heavens.

তিনি আল্লাহ যিনি তোমাদের উপর সপ্ত আকাশ নির্মাণ করেছেন।

(তালাক-১২)

الَّذِي خَلَقَ سَبْعَ سَمَوَاتٍ طِبَاقًا


He is Allah who created seven heavens one above another.


তিনি আল্লাহ যিনি স্তরে স্তরে সপ্ত আকাশ নির্মাণ করেছেন। 

(মুলক-৩)

 قُلْ مَنْ رَّبُّ السَّمَوتِ السَّبْعِ وَرَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ .

Say, who is the Lord of seven skies and lord of the Arsh-E Ajim (Tremendous Throne).


বলুন, সপ্ত আকাশ আর আরশের মলিক কে? (মু'মিনূন-৮৬) অতএব, ঊর্ধ্ব জগতে মহাকর্ষ শক্তির (Gravition force) প্রভাব দ্বারা সপ্ত আকাশ (সাতটি অঞ্চল) প্রতিষ্ঠা করা সুকঠিন কাজ এবং অলৌকিক ক্ষমতার প্রয়োজন। এ ক্ষমতা কেবল এক জনেরই আছে- তিনি কেবল আল্লাহ, তিনি মহাকর্ষ শক্তির উৎস।


• দৃষ্টি আকর্ষ : যদি আপনাদের কাছে আজকের এই পোস্ট ভাল লেগে থাকে তাহলে আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। প্রয়োজনে এ রকম আরো post পেতে আমাদের follow করতে পারেন। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ