যে সব কারণে রোজার কাযা আদায় করতে হয় || alhadimedia 360




যে সব কারণে রোজা ভেঙ্গে যায় এবং শুধু কাযা করিতে হয়

 ১। জুরপূর্বক কেউ কিছু খাওয়াইয়া দিলে।

 ২। অসাবধনতা বশত যেমন, অযু করিবার সময় কণ্ঠনালীতে পানি প্রবেশ করিলে। 

৩। যেকোন দ্বার দিয়া পিচকারি করিলে।

 ৪। নাক দ্বারা পানি মস্তকে টানিয়া লইলে।

 ৫। কর্ণে তৈল প্রবেশ করাইলে। 

৬। পেটের কিংবা মস্তকের জখমে ঔষধ লাগাইলে যদি তার ভিতরে প্রবেশ করে।

 ৭। মুখবর্তি বমি করিলে।

 ৮। সূর্যাস্ত গিয়াছে অনুমানে বেলা থাকিতে ইফতার করিলে। 

৯। নিদ্রিতাবস্থায় হলকুমে কিছু প্রবেশ করিলে।

 ১০। নিদ্রিত অবস্থায় মনের অজ্ঞাতসারে যৌন মিলন ঘটিলে।

 ১১। সম্পূর্ণ রমযানে একটি রোযারও নিয়ত না করিলে । 

১২। রাত আছে অনুমান করিয়া সোবহে সাদেকের পর সেহরী খাইলে।

 ১৩। ভুলে পানাহার করিয়া রোযা ভঙ্গ হইয়াছে ধারণায় ইফতার করিয়া ফেলিলে ।

 

যে সব কারণে রোযার কাযা ও কাফফারা উভয়ই করতে হয়


(১) ইচ্ছা করিয়া যৌনাচার করিলে বা করাইলে।

 ২। ইচ্ছাকৃত পানাহার করিলে।

 ৩। ঔসধ সেবন করিলে। 

৪। সিঙ্গা লাগাইয়া রোযা নষ্ট হইয়াছে ধারণা করিয়া পানাহার করিলে । 

এইসব কারণে রোযার কাযা ও কাফফারা উভয়ই আদায় করিতে হয়। 


রোজার কাফফারা

রোজার কাফফারা তিন প্রকারে আদায় করা যায়। পর্যায়ক্রমে দুই মাস রোযা রাখা, ইহার মধ্যে ৪০/৫০ কিংবা ৫৫টি রোযা রাখিয়াও যদি একত্রে সম্পূর্ণ আদায় করিতে না পারে, তবে প্রথম হতে পুনরায় আরম্ভ করিতে করিতে হবে। দ্বিতীয়-প্রথমটি অক্ষমে ৬০ (ষাট জন) মিসকীনকে ২ বেলা ৬০ দিন তৃপ্তিমত খাওয়া দেওয়া। ৩য়, ১ম ও ২য় হুকুম পালন করিতে অক্ষমে একজন ক্রীতদাস আজাদ করিয়া দেওয়া। 




একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ