আজানের আগে সালাত সালাম পড়া জায়েজ নাকি নাজায়েজ | কয়েকটি দলিল - alhadimedia 360

 


 সুরা আহযাবের ৫৬নং আয়াত ان الله وملائكته يصلون علي النبي 

এই আয়াতে যেহেতু কোন সময় সংশ্লিষ্ট করেননি।তাই সর্বদা দরূদ সালাম পড়া খোদার নির্দেশ। আজানের আগের সময়টাও এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত এবং দরূদ সালাম নিষিদ্ধ সময়ের মধ্যে আজানের পুর্বমুহুর্তটা নেই, তাই সে সময় সালাত সালাম দেয়া জায়েজ, কোন অসুবিধা নেই। 

তাছাড়া এই আয়াতটি مطلق উসুলের কিতাবে আছে المطلق يجري علي اطلاقه.

আজান নিশ্চয় ভালো কাজ।

আর হাদিসে এসেছে কোন ভালোকাজ হামদ ও দরূদ শরীফ দিয়ে শুরু না করলে তা অসম্পূর্ণ ও বরকতশুন্য হয়।(جامع الصغير مع التيسير ١/9702)

 তাই আজানের পুর্বে দরূদ সালাম পড়া বরকতময় নিঃসন্দেহে।

নিষেধাজ্ঞা না থাকা

শরীয়তের একটি মৌলিক কায়দা হলো اصل الشيئ الاباحة কোন কাজের উপর নিষেধাজ্ঞা না থাকাই ঐ কাজ জায়েজের দলিল।যেহেতু আজানের আগে সালাত সালাম পড়ার নিষেধাজ্ঞা নেই, কেউ দেখাতে পারবেনা তাই সালাত সালাম কাবলাল আযান নিঃসন্দেহে উত্তম কাজ।

 হজরত বেলাল রাঃ একামতের আগে সালাত সালাম পড়েছেন।

كان بلال  اذا اراد ان يقيم قال السلام عليك ايها النبي ورحمة الله وبركاته الصلوة رحمك الله.

এই হাদিসখানা তবরানী মু'জামে আওসাতে 8/372পৃষ্টাতে এসেছে।

বুঝা গেলো আজান একামতের আগে সালাত সালাম পড়া সাহাবায়ে কেরাম থেকে প্রমানিত।


তিরমিজি,ইবনে মাজাহ,মুস্তাদরাকে হাকেমে হজরত সালমান ফারসী থেকে রেওয়ায়ত এসেছে "হালাল ঐগুলো যা আল্লাহ পাক হালাল করেছেন, হারাম ঐগুলো যা আল্লাহ পাক হারাম করেছেন। আর যা সম্পর্কে নিরবতা পালন করেছেন তা সবগুলো মুবাহ বা জায়েজ"।

( তিরমিজি4ঃ220)

এখন আজানের পুর্বে সালাত সালাম যারা নাজায়েজ বলতে চান তাদের উচিত কোন একটি নিষেধাজ্ঞার দলিল উপস্থাপন করা।অন্যথায় তারা দরূদ সালামের বিরোধিতাকারী হিসেবে চিহ্নিত হবে ।



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ