• লেখক পরিচিতি
নাম: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
জন্ম:১৯০৮ সালের ১৯ মে
জন্মস্থল : বিহারের সাওতাল পরগনার দুমকায়
পৈতৃক নিবাস: ঢাকার বিক্রমপুরে
পিতা : হরিহর বন্দ্যোপাধ্যায়
মাতা: নীরদাসুন্দরী দেবী
পিতৃপ্রদত্ত নাম: প্রবোধকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়
ডাকনাম : মানিক
চাকরিজীবন -৩ বছর
প্রথম প্রকাশিত গল্প : অতসীমামী(১৯৩৫)
প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস:জননী(১৯৩৫)
উপন্যাস: জননী,দিবারাত্রির কাব্য, পদ্মানদীর মাঝি, পুতুলনাচের ইতিকথা,চিহ্ন
ছোটগল্প: প্রাগৈতিহাসিক,সরীসৃপ,সমুদ্রের স্বাদ, টিকটিকি,হলুদ পোড়া, আজ কাল পরশুর গল্প, হারানের নাতজামাই
মোট ৪০ টি উপন্যাস ও ৩০০ ছোটগল্প সৃষ্টি করেছেন
মৃত্যু : ১৯৫৬ সালের ৩ রা ডিসেম্বর
মৃত্যুস্হল : কলকাতা
প্রথম প্রকাশিত হয় কলকাতার পূর্বাশা পত্রিকার ১৩৫২ বঙ্গাব্দের চৈত্র সংখ্যায়( ১৯৪৬ মার্চ -এপ্রিল)
দ্বিতীয় সংকলন পরিস্হিতি গল্পগ্রন্থ (১৯৪৬ অক্টোবর
বর্তমান পাঠ গ্রহন ঐতিহ্য প্রকাশিত মানিক - রচনাবলী পঞ্চম খন্ড থেকে
স্বামীর নির্মম অত্যাচারের শিকার পিতৃমাতৃহীন এক তরুণীর করুণ জীবনকাহিনী
• গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
সালতি দিয়ে তিনজনের মাথায় চড়ে খড় জমা হচ্ছে গাদায়
সালতি থেকে খড় তোলার সময় সালতিতে ২ জন লোক ছিল
কলেরায় আহ্লাদীর পরিবারের ৩ জন মারা গেছে
আহ্লাদী ৪ মাসের গর্ভবতী
কানাইয়ের সাথে গোকুলের ৩ জন পেয়াদা এসেছে
ডোবার ধারে কাঠাল গাছের নিচে ৩/৪ জন ঘুপটি মেরে বসে আছে
মাসি ঘর থেকে ১ টি বটি ও পিসি ১টি রামদার মতো কাটারি নিয়ে বের হয়
মাসি পিসি গলা ছেড়ে ৬ জন প্রতিবেশীর নাম ধরে ডাকে
আজ দ্বাদশী
শুল্কপক্ষের একাদশীর উপোস রাখে মাসি পিসি
শেষবেলায় খালে এখন পুরো ভাটা
কৈলাশ বাহকের মাথায় খড় চাপাতে ব্যস্ত
কৈলাশের ডাকে সামনের দিকে লগি পুতে মাসি পিসি সালতির গতি ঠেকায়
আহ্লাদী সিঁথির সিঁদুর পর্যন্ত ঘোমটা টেনে দেয়
জগুর সাথে কৈলাশের চায়ের দোকানে দেকা হয়েছিল
জগু বৌকে নেবার জন্য মামলা করবে
শকুনেরা উড়ে এসেছে পাতাশূন্য শুকনো গাছটায়
শহরের বাজারে তরিতরকারি ফলমূলের দাম চড়া
আহ্লাদীর বাবা কলেরায় মারা গেছে
বেঁচে থাকার তাগিদে কোমর বেধে মাসি পিসি হয়ে গেল একমন, একপ্রাণ
আহ্লাদীর স্বামীর নাম জগু
আহ্লাদীর সম্পত্তির উপর জগুর প্রচুর লোভ
মাসির শাউড়ি,ননদ ছিল বাঘের মতো
সরকারবাবুর সঙ্গে বাজারের তেলা নিয়ে ঝগড়া করে মাসি পিসির অর্ধেক জীবন শেষ
রসুই চালায় ঝাঁপ এঁটে মাসি পিসি বাইরে যায়
শুক্লপক্ষের একাদশীর উপোস করেছে দুইজন গতকাল
পথের ধারে ডোবার পাশে কয়েকজন ঘাপটি মেরে বসে আছে
আজ দ্বাদশী, জোৎস্না বেশ উজ্জ্বল
আহ্লাদীর এক ভাই ছিল
কানাই মাসি পিসিকে কাছারিবাড়ি যেতে বলে
মাসি পিসির উপর আহ্লাদীর দেখাশোনার ভার পড়েছে
দুর্ভিক্ষ কোনোরকমে ঠেকিয়েছিল আহ্লাদীর বাবা
মাসি পিসি ছাগল বেচে ভাল মন্দ দশটা খাইয়েছিল জগুকে
• উক্তিসমূহ
"মাসি পিসি ফিরেছে কৈলাশ"- উক্তি বুড়ো লোকের
"ও মাসি ওগো পিসি, রাখো রাখো।খপর আছে শুনে যাও।"-উক্তি কৈলাশ
"খুনসুটি রাখো দিকি কৈলেশ তোমার,মোদ্দাকথাটা কি তাই কও"-উক্তি মাসি
"লোকটা কেমন বদলে গেছে মাসি,সত্যি কথা পিসি, জগু আর সেই জগু নেই"- উক্তি কৈশাল
"তার মেয়েটা শ্বশুরঘরে মরেছে কিছুদিন আগে"-রহমানের মেয়ে
"জগু মোকে বলেছে,এবার সে মামলা করবে বৌ নেবার জন্য"- উক্তি কৈলাশ
"তুইও যাবি,সোয়ামির ঘর করবি।ডরাানি,ডর কিসের"-উক্তি পিসির
"কাছারিবাড়ি যেতে হবে একবার"-উক্তি কানাই
"এত রাতে মেয়েনোককে কাছারিবাড়ি ডাকতে কত্তার নজ্জা করে না কানাই"-উক্তি পিসি
"তোমাদের সাতে মোরা মেয়েনোক পারব না জানি কিন্তু দুটো একটাকে মারব জখম করব ঠিক"-উক্তি মাসি
"কাথা কম্বলটটা চুবিয়ে রাখি জলে,কি জানি কি হয়"-উক্তি পিসি
গায়ে জামা আছে,নকশা পাড়ের সস্তা সাদা শাড়ি।আটসাট থমথমে গড়ন,গোলগাল মুখ- আহ্লাদী সম্পর্কে
ছোট অবুঝ মেয়ে,বয়সে ছোট,চেহারা ছিল অনেক বেশি রোগা- রহমানের মেয়ে সম্পর্কে
শরীর নয়,মনটা তার কেমন করচে।নিজেকে তার ছ্যাচড়া,নোংরা,নর্দমার মতো লাগে-আহ্লাদী
0 মন্তব্যসমূহ