বর্তমানে চোখের যেনার নতুন নাম করণ করা হয়েছে "ক্রাশ"(নাউজুবিল্লা)।
চোখের যেনা সব থেকে বড় যেনা।
এই সম্পর্কে মহান আল্লাহ তাআলা বলেন :
“তিনিই চক্ষুর অপব্যবহার এবং অন্তরের গোপন বস্তু সম্পর্কেও অবগত”। [সূরা গাফির, আয়াত: ১৯]
হে নবী আপনি মুমিনদেরকে বলে দিন যেন তারা নিজ দৃষ্টিকে সংযত করে এবং নিজ লজ্জাস্থানকে হিফাযত করে। এটাই তাদের জন্য প্রবিত্র থাকার সর্বোত্তম মাধ্যম। নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা তাদের কর্ম সম্পর্কে অধিক অবগত। তেমনিভাবে তুমি মুমিন মহিলাদেরকেও বলে দাওঃ যেন তারা নিজ দৃষ্টিকে সংযত করে এবং নিজ লজ্জাস্থানকে হিফাযত করে। [সূরা আন-নূর, আয়াত: ৩০-৩১]
একবার যদি অনিচ্ছাকৃতভাবে কারো দিকে নজর পরে যায় তাহলে সে গুণাহ্ ক্ষমা করা হবে,কিন্তু ২য় বার আবার যদি ইচ্ছাকৃতভাবে নজর দেয়া হয় সেটা হয়ে যাবে চোখের যেনা।
ইবান বুরাইদা ( রাঃ) হতে বর্ণিত।হয়রত আলী (রাঃ)কে নবীজি করিম (সাঃ)বলেছেন, ‘হে আলী! (হঠাৎ) দৃষ্টি পড়ে যাওয়ার পর আবার দ্বিতীয়বার তাকিয়ো না। কারণ, (হঠাৎ অনিচ্ছাকৃত পড়ে যাওয়া) প্রথম দৃষ্টি তোমাকে ক্ষমা করা হবে, কিন্তু দ্বিতীয় দৃষ্টি ক্ষমা করা হবে না। (তিরমিজি: ২৭৭৭)
চোখের যিনার শাস্তি যে কত বেশি ভয়ঙ্কর তা আমাদের মত মানুষের চিন্তার ও বাহিরে।
আর চোখের যিনা যে কত নিকৃষ্ট কত ঘৃণীত তা যদি আমরা বুঝতাম তাহলে হয়তো কখনো কোনো পর-পুরুষ বা পর-নারীর দিকে আমরা চোখ তুলেও তাকাতাম না।
আমরা এতোটাই নিচে নেমে গিয়েছে যে আমরা এখন এই চোখের যিনাকেও হালাল বানিয়ে ফেলার চেষ্টা করছি আর তাই এখন এর নতুন নাম করণ করে ফেলেছি "ক্রাশ"(নাউজুবিল্লাহ)।
বর্তমানে তরুন-তরুণীদের মুখের বুলি হয়ে গেছে অমুক সেলিব্রিটি আমার ক্রাস অমুক ছেলে বা মেয়ে আমার ক্রাস,কথাগুলো এখন আমাদের জন্য খুবই স্বাভাবিক হয়ে গেছে।
আর খুব স্বাভাবিক ভাবেই আমরা আল্লাহর বলা হারাম কে হালাল ভেবে মেনে নিচ্ছি ;
কিভাবে আমরা আল্লাহ্র এতটা অবাধ্য হতে পারছি??
সবশেষে কি তার কাছেই আমাদের ফিরে যেতে হবেনা?
তখন কি জবাব দিবো আল্লাহর কাছে?কি নিয়ে দাঁড়াবো তার সামনে?
একবারও কি এটা ভেবে দেখেছি??
চোখ আমাদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে অন্যান্য নেয়ামতে মধ্যে একটি।আমরা কি আল্লাহর নেয়ামত সঠিক ব্যবহার করছি?
সবশেষে বলবো আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক টা বুঝার তৌফিক দান করুক,শয়তানের এসব ধোঁকা থেকে বের হয়ে আসার তৌফিক দান করুক আমিন
0 মন্তব্যসমূহ