নিকোলা টেসলার কিছু অজানা তথ্য



নিকোলা টেসলাকে নিয়ে অনেক ডকুমেন্টারি দেখেছি বেশিরভাগই তার গুনগান সম্বলিত ,তবে তার সব প্রজেক্টই চটকদার হলেও প্রায় সবগুলোই শুধুমাত্র আইডিয়া ছিলো ,তিনি সেগুলো বাস্তবায়ন করতে পারেননি ।

তিনি


তার কাজ নিয়ে বেশ অহংকার করতেন ,এবং বিশ্বাস করতেন তার কাজ এতো বেশি আলোড়ন তৈরি করবে যে তার ছবি একদিন পৃথিবীর মানুষ মুদ্রাতে ব্যবহার করবে |টমাস আলভা এডিসনের সাথে তার কারেন্ট ওয়্যারের মধ্যে দিয়েই বিশ্ববাসি টেসলা নামটি শুনতে পায় ,সে সময় বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেন তিনি ।

তবে মানুষ তাকে পাগল বলতে থাকে তখন যখন তিনি এলিয়েনদের সাথে যোগাযোগের উদ্ভট গল্প বানাতে থাকেন | এবং তিনি কিছু প্রাকৃিতিক ঘটনাকে নিজের তৈরি বলে বলতে থাকেন ,যেমন:সে সময় একটি ভূমিকম্পের ঘটনায় তিনি বলেন সেটি তার যন্ত্রের লাগামহীন ফ্রিকুয়েন্সির কারনেই হয়েছে |তাছাড়া নরদান হেমোস্ফেয়ারে যে নীল আলোর প্রতিপ্রভা দেখা যায় সেটিও নাকি তার একটি এক্সপেরিমেন্টাল ফল্টের কারনেই ঘটেছিল 

এরকম উদ্ভট সব কাজ এবং গল্পের জন্য মানুষ তাকে পাগল এবং দূরে ঠেলতে সুরু করে ।


একটা সময় আমিও ভাবতাম নিকোলা টেসলাকে দুনিয়াবাসি খুব অবহেলা করেছে ,তার এত অবদানকে সবাই হেও করেছে ,তবে তার ব্যপারে জানারপর সবটা ক্লিয়ার হয়ে গেছে ,বিজ্ঞানে ওনার অবদান খুব আহামরি কিছু নয় ।


বিজ্ঞান রাজনীতির মঞ্চ নয়, যে এখানে কারো অবদান থাকা সত্তেও হেলা করা হবে ,বিজ্ঞান তাকেই মাথায় তাজ পড়ায় যে সেটার যোগ্য


তবে আমি ব্যাক্তিগতভাবে তাকে ভিষন পছন্দ করি কারন তার জিবনের গল্পটি বেশ চ্যালেন্জিং এবং তার বিজ্ঞানের জন্য নিবেদিত প্রান আমাকে বেশ উৎসাহিত করে|তিনি এমন একজন ব্যাক্তি যিনি নতুন কিছু আবিষ্কারের নেশায় কখনো কোন মেয়ের সাথে সম্পর্কে জড়াননি ,পুরো জিবন শুধু আবিষ্কার নিয়ে বিভোর ছিলেন ,বিয়েটাও করেননি ,সারা জিবন একা কাটিয়েছেন


তিনি প্রায় বেশিরভাগ আবিষ্কারে ফ্লপ হলেও ,তার কয়েকটি উদ্ভাবন মানব জিবনকে বেশ সাচ্ছন্দ এনে দিয়েছে |তার উদ্ভাবিত ইন্ডাকশন মটর ব্যবহার করেই আমরা কৃষিকাজ করি ,আমার আপনার বাসার পানি উত্তলোনে ব্যবহার হচ্ছে এটি 


যিনি না থাকলে আমার আপনার ঘরে বিদ্যুত আসতোনা ,যার অবদানে চলছে ইন্টারনেট |সেই অজানা,অভাগা বিজ্ঞানী

এতো কিছু দিয়েছে পৃথিবীর মানুষকে তার বিনিময়ে আমরা তাকে অবজ্ঞা,অবহেলাই দিয়েছি ।

দুঃখিত স্যার



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ