মহান আল্লাহ তায়ালা পরিচয় || ফেরেশতার পরিচয়



 মহান আল্লাহ তায়ালা এই বিশাল পৃথিবী , চন্দ্র , সূর্য , নক্ষত্র , গ্রহ - উপগ্রহ , বৃক্ষ - লতা , মানব - দানব , পশু - পক্ষী , সাগর - পাহাড় সবকিছু যিনি সৃষ্টি করিয়াছেন তিনিই আল্লাহ তায়ালা । তিনি সর্বশক্তিমান , অনন্ত মহিমায় অদ্বিতীয় । তিনিই সব কিছুর সৃষ্টিকর্তা , রক্ষাকর্তা ও লালন পালনকারী । খাওয়া - পরা , রোগ - শোক , মৃত্যু কোন কিছুই তাঁহাকে স্পর্শ করিতে পারে না ।

 হায়াত ও মউতের মালিক তিনিই । রিযিকদাতা , আইন এবং বিধানদাতাও একমাত্র তিনি । আমাদের মনের কোণে যে কথা লুক্কায়িত থাকে তিনি সবই জানেন । আর তাঁহার ক্ষমতায় বাধা দিতে বা প্রতিবাদ করিতে পারে এমন শক্তিধর আর কেহ নাই ।

 মহান আল্লাহ তা'আলার মাঝে এইসব অসীম গুণাবলী বিদ্যমান এবং তিনি ছাড়া আর কেহই ইলাহ বা এবাদতের যোগ্য নাই । সৃষ্টি জগতের সকলকেই আল্লাহর উপর ঈমান আনিতে হয় । মুসলমান হিসাবে আমাদের কর্তব্য- মুখে স্বীকার করা এবং অন্তর দিয়া বিশ্বাস করা যে , মহান সত্তা আল্লাহ নামে পরিচিত তিনি ছাড়া আর কোন ইলাহ নাই । 

এই ঈমানের দাবী হইল ৷ আর সব কিছুকে বর্জন করিয়া কেবল মাত্র তাঁহারই প্রতি দৃঢ় প্রত্যয় স্থাপন করা , তাঁহাকেই ভালবাসা , তাঁহাকেই ভয় করা , তাঁহারই কাছে প্রার্থনা করা , তাঁহার কাছেই কামনা করা , সর্বাবস্থায় তাঁহারই উপর ভরসা রাখা , সর্বদা মনে রাখা , একদিন তাঁহার নিকট সকলকে ফিরিয়া যাইতে হইবে ।


 সকলের ভাল বা মন্দ পরিণতি তাঁহার ফয়সালার উপরই নির্ভরশীল । ঈমানদারগণ কিয়ামতের দিন এই মহান প্রভৃ আল্লাহ তা'আলার দিদার লাভ করিয়া ধন্য হইবে ।

ফেরেশতা :- মহান আল্লাহর প্রতি ঈমান আনার পর ফেরেশতাগণের উপরও ঈমান আনিতে হইবে । ফেরেশতাগণের প্রতি ঈমান প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ্র প্রতি ঈমানের পরিপূর্ণতা মাত্র । ইহার উদ্দেশ্য শুধু ফেরেশতাগণের অস্তিত্বের প্রতি স্বীকৃতিদানই নহে , বরং প্রকৃত উদ্দেশ্য বিশ্ব ব্যবস্থায় তাহাদের সঠিক মর্যাদা উপলব্ধি করা । পবিত্র কোরআন মজীদে ফেরেশতাদের মর্যাদা ও দায়িত্ব সম্পর্কে বলা হইয়াছে ,

 আল্লাহ তা'আলা তাহাদের মাধ্যমেই পয়গম্বরগণের কাছে তাঁহার বাণী প্রেরণ করেন । ফেরেশতাগণ প্রথমত , নিজেরাই আজ্ঞানুবর্তী ও সৎস্বভাব বিশিষ্ট , সর্ববিধ মন্দ প্রবৃত্তি ও স্বার্থপরতা হইতে মুক্ত স্বত্ত্বা । 

তাহারা আল্লাহর ভয়ে সব সময় ভীত এবং তাঁহার নির্দেশের দ্বিধাহীন অনুগত । দ্বিতীয়ত , তাহারা এতখানি শক্তিশালী যে , তাহাদের এই বাণী পৌছানো এবং তত্ত্বাবধানকার্যে কোন শয়তানী শক্তি বিন্দু পরিমাণও হস্তক্ষেপও করিতে পারে না , ফেরেশতাগণের মাধ্যমেই তিনি কাহারো উপর আযাব নাযিল করেন আর কাহারো উপর করেন রহমত , কাহারো জীবন নিয়ে নেন , কাহাকেও জীবন দান করেন ।

 কোথাও বৃষ্টি বর্ষণ করেন , কোথাও দুর্ভিক্ষ নামাইয়া দেন । তাহারা প্রতিটি মানুষের কর্মকান্ড , কথাবার্তা ও কল্পনা পর্যায় রেকর্ড করিয়া রাখিতেছেন এবং প্রতিটি তৎপরতা পর্যবেক্ষণ করিতেছেন । আল্লাহ ফেরেশতাগণের মর্যাদার কথা কোরআনে বর্ণনা করিয়াছেন ।







একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ