•• লেখক পরিচিতি:
নাম: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
জন্ম:৭ মে,১৮৬১;২৫শে বৈশাখ ১২৬৮
জন্মস্থল :কলকাতার জোড়াসাকোর ঠাকুর পরিবারে,পিরালি ব্রাহ্মণ বংশে
পিতার নাম:দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর
মাতার নাম: সারদা দেবী
দাদার নাম:দ্বারকানাথ ঠাকুর
ছদ্মনাম:ভানুসিংহ
গীতাঞ্জলী প্রকাশিত হয়:১৯১০ সালে,ইংরেজী অনুবাদ রবীন্দ্রনাথ নিজেই করেন। উইলিয়াম বাটলার ইয়েটস এটার ভুমিকা লিখে দেন নাম রাখেন- songs offering, প্রকাশিত হয় ১৯১২ সালে ইংল্যান্ডে। ১৯১৩ সালে songs offering এর জন্য নোবেল পায় রবীন্দ্রনাথ।
সম্পাদিত পত্রিকা :সাধনা(১৮৯১)
প্রথম প্রকাশিত কবিতা:হিন্দু মেলার উপহার(১৮৭৪,অমিত্রাবাজার পত্রিকায়
প্রথম প্রকাশিত কাব্য :বনফুল(১৮৭৬)
প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস:বৌ ঠাকুরাণীর হাট(১৮৮৩)
প্রথম প্রকাশিত ছোটগল্প:ভিখারিণী(১৮৭৪,১৬ বছর বয়সে)
প্রথম প্রকাশিত নাটক :বাল্মীকি প্রতিভা(১৮৮১)
প্রথম প্রকাশিত প্রবন্ধ :বিবিধপ্রসঙ্গ(১৮৮৩)
শ্রেষ্ঠ কাব্য সংকলন: সঞ্চয়িতা(১৯৩১)
বাংলা ছোটগল্পের জনক- রবীন্দ্রনাথ
গানের সংকলন:গীতবিতান
জালিয়ানওয়ালাবাগে ইংরেজদের বর্বরতার প্রতিবাদে ১৯১৯ সালে নাইট উপাধি ত্যাগ করেন।
রবীন্দ্রনাথ নামকরণ করে যেতে পারেন নি-শেষ লেখা গ্রন্থটির
রবীন্দ্রনাথের সার্ধশত জন্মবার্ষিকী পালন হয়-২০১১ সালে
রবীন্দ্রনাথের ছোটগল্প রচনার স্বর্ণযুগ-কুষ্ঠিয়ার শিলাইদহে বসবাস কালে
শান্তি নিকেতন অবস্হিত-বীরভূমের বোলপুরে
রবীন্দ্রনাথ নজরুল কে উৎসর্গ করেন-বসন্ত নাটক
নজরুল রবীন্দ্রনাথ কে উৎসর্গ করেন-সঞ্চিতা
রবীন্দ্রনাথ নেতাজী সুভাষ কে উৎসর্গ করেন-তাসের দেশ
রবীন্দ্রনাথ শরৎচন্দ্রকে উপহার করেন-কালের যাত্রা
প্রথম কবিতা লেখেন-৮ বছর বয়সে
অঙ্কিত চিত্রকলার সংখ্যা-দুই হাজারের বেশি
ডি লিট ডিগ্রি লাভ:
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় -১৯১৩
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-১৯৩৬
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়-১৯৪০
উপন্যাস: চোখের বালি,গোরা,শেষের কবিতা, ঘরে বাইরে,মালঞ্চ
নাটক :রাজা,ডাকঘর,রক্তকরবী, মুক্তধারা,তাসের দেশ চিরকুমার সভা
মৃত্যু :৭ আগস্ট,১৯৪১; ২২ শ্রাবণ ১৩৪৮
অপরিচিতা প্রথম প্রকাশিত হয়-সবুজপত্র পত্রিকায়(১৯১৪), ১৩২১ বঙ্গাব্দ কার্তিক সংখ্যায়
প্রথম গ্রন্থ ভুক্ত হয়- গল্পসপ্তক।পরে গল্পগুচ্ছ তৃতীয় খন্ডে(১৯২৭)
গল্পটি বর্ননার ক্ষেত্রে উত্তম পুরুষের জবানিতে লেখা।
দৃষ্টিভঙ্গি: যৌতুকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ও প্রতিবাদ
অনুপমের বর্তমান বয়স-২৭
বিয়ের সময় অনুপমের বয়স ছিল-২৩
বিয়ের সময় কল্যাণীর বয়স ছিল-১৫
রেলে কল্যানীর সাথে মেয়ে ছিল-(২-৩) টি
কল্যাণীর বর্তমান বয়স-১৯
অনুপমের চেয়ে মামা -৬ বছরের বড়
বিয়ের সময় বর কনের বয়সের ব্যবধান- ৮
মামার বর্তমান বয়স-৩৩
শম্ভুনাতথের বয়স-৪০
শম্ভুনাথ অনুপমকে দেখে- বিয়ের ৩ দিন আগে
• গুরুত্বপূর্ণ উক্তি:
ঠাট্টা করিতেছেন নাকি উক্তিটি-মামার
হাল ফ্যাশনের সূক্ষ্ম কাজ নয়-কল্যাণীর বাবার দেওয়া গহনার
দেয়ালটুকুর আড়ালে রহিয়া গেল- উক্তিটি কল্যাণী সম্পর্কে
কলি যে চারপোয়া হইয়া আসিয়াছে-উক্তিটি বিয়ে ভাঙা সম্পর্কে
বিবাহ সম্বন্ধে তাহার বিশেষ মত ছিল- উক্তিটি মামা সম্পর্কিত
মন্দ নয় খাঁটি সোনা বটে-বিনুদার উক্তি কল্যাণী সম্পর্কে
সেই ইতিহাসটুকু আকারে ছোট-অনুপমের জীবনের ইতিহাস
অনুপম এখানে কি করিবে,ও সভায় গিয়া বসুক- উক্তিটি মামার
তলায় সামান্য কিছু আছে-শম্ভু বাবুর বৈষয়িক সম্পত্তি যৎসামান্য এখনও আছে
আমার ভাগ্যে প্রজাপতির সাথে পঞ্চশরের কোন বিরোধ নেই-উক্তিটি বিয়ে সম্পর্কে
দেখা হয়,সেই কন্ঠ শুনি যখন সুবিদা পাই, কিছু তার কাজ করিয়া দিই আর মন বলে এই তো জায়গা পাইয়াছি- ভাবনাটি অনুপমের
ওহে,মেয়ে যদি বল একটি খাসা মেয়ে আছে- উক্তিটি হরিশের কল্যাণী সম্পর্কে
ইহা বিলাতি মাল,ইহাতে সোনার ভাগ সামান্যই আছে-এয়ারিং সম্পর্কে স্যাকরার উক্তি
মৃত্যুতে তিনি হাফ ছাড়িলেন সেই তার প্রথম অবকাশ-উক্তিটি অনুপমের বাবা সম্পর্কে
এ মেয়ের বয়স হইয়াছে কিন্তু শিক্ষা হয় নাই- কল্যাণী সম্পর্কে অনুপমের মায়ের উপলব্ধি
• গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
অনুপমের বাবা উকিল
ছুটিতে হরিশ এসেছে কলকাতায়
মেয়ের বয়স পনেরো শুনে মামার মুখ ভার হলো
বিশেষ কাজে মামা একবার কোন্নগর গিয়েছিল
শম্ভুনাথের চেহারা চোখে পড়ার মতো
শম্ভুনাথ বাবুর স্মিতহাস্য বন্ধুটি পেশায় উকিল
বিয়ে করবে না পণ করেছে কল্যানী
কল্যানীর বাবা পেশায় ডাক্তার
অনুপমের আসল অভিভাবক মামা
মামা সর্বদা নিজেকে চালাক মনে করে
অপরিচিতা গল্পের কথক অনুপম নিজে
গল্পে রসিক মানুষ হরিশ
গল্পের বিশেষ দিক-নারীর ব্যক্তিত্বের জাগরন
অনুপমের শিক্ষাগত যোগ্যতা-এমএ পাস
অনুপমের পিসতুতো ভাই-বিনু
নিতান্ত ভালো মানুষ-অনুপমের শ্বশুর
ভেতরে মা আর বাহিরে মামা -অনুপমের
বিনুদার কথা অত্যন্ত আঁট
শম্ভুনাথ বাবু অত্যন্ত নির্জীব
শম্ভু বাবুর বয়স চল্লিশের একটু কম বা বেশি
মামা হরিশকে পেলে ছাড়তে চায় না
শম্ভুনাথ বাবুকে গাড়িতে তুলে দিতে মামা গেলেন না
সরস রসনার গুন আছে হরিশের
কল্যানী কানপুর স্টেশনে নেমে গেল
স্টেশনে ক্যামেরা ফেলে রেখে অনুপম ট্রেনে উঠে গেল
অনুপম তার ইতিহাস লিখতে চেয়েছে ছোট করে
পন্ডিত মশাই অনুপমকে বলতেন মাকাল ফল
অনুপমের বন্ধুর নাম হরিশ
গল্পে উল্লেখিত দ্বীপ হলো আন্ডামান দ্বীপ
কল্যানীর পিতার নাম শম্ভুনাথ সেন
অনুপমের ভাগ্যে প্রজাপতির সাথে পঞ্চশরের বিরোধ নেই
প্রকৃতি গত দিক দিয়ে অনুপম ব্যক্তিত্বহীন পুরুষ
অনুপমের মতে,অনুপম সৎপাত্র কন্যার পিতা তা স্বীকার করবেন
তামাক খায় না বলে অনুপম নিজেকে নিয়ে গর্ব করেন
মামা গরিব ঘরের মেয়ে পছন্দ করেন
হরিশ কানপুরে কাজ করত
এয়ারিং আনা হয়েছে বিলেত থেকে
বিনুদা চমৎকার কে বলেন চলনসই
আসর জমাতে অদ্বিতীয় হরিশ
মেয়ে যদি বল,তবে-উক্তিটি হরিশের
কন্যাকে আশীর্বাদ করতে গেল বিনুদা
তাহার বিনয়টা অজস্র নয়-শম্ভুনাথের
বাবাজি একবার এদিকে আসতে হয়-উক্তি
শম্ভুনাথের
কল্যানী স্টশন থেকে চানা মুঠ কিনে নেয়
মাতৃ আজ্ঞা বলতে কল্যানী ইঙ্গিত করেছে মাতৃভূমির প্রতি
গজাননের মায়ের নাম অন্নপূর্ণা
অনুপম মামাকে ভাগ্য দেবতা বলে উল্লেখ করেছেন
সুপুরুষ বটে- শম্ভুনাথ
মামার বাহিরের সীমানা কোন্নগর পর্যন্ত
রেল কর্মচারী বেঞ্চে ঝুলিয়ে রেখেছিল দুটি টিকিট
কল্যানী প্লাটফর্মে টিকিট গুলো ফেলে দিল
মামার মতে বেহাই সম্প্রদায়েরর তেজ থাকাটা দোষের
মামার গহনা পরীক্ষার কারনে শ্বশুরেরর সামনে অনুপমের মাথা হেট হয়ে গেল
খাদ নেই বলে একখানা বালা বেঁকে গেল
বরের হাট মহার্ঘ যৌতুকের কারনে
পাত্রীপক্ষের গহনাগুলো মোটা ও ভারী
মামার কাছে মেয়ের চেয়ে মেয়ের বাবার খবরটা গুরুতর
মামা নিজেকে অসামান্য চতুর মনে করেন
অনুপমের মা হঠাৎ কারো সাথে আলাপ করতে পারে না
আন্ডামান দ্বীপ বঙ্গোপসাগরের অংশবিশেষ
বিবাহের প্রধান অংশ দেনা পাওনা
বিবাহ উপলক্ষে কনে পক্ষকে কলকাতায় আসতে হলো
শম্ভুনাথ বাবু গামছায় বেঁধে গহনা নিয়ে এলো
মাকাল ফল মানে গুণহীন
অনুপমের কাছে গলার স্বর চিরকালই সবচেয়ে বড় সত্য
কলকাতায় এসে হরিশ অনুপমের মন উতলা করে তুলল
অনুপমকে মাস্টার মশাই শিমুল ফুলের সাথে তুলনা করেছেন
চোখের পলক পড়ছিল না অনুপমের মায়ের
টাকার প্রতি নেশা মামার অস্হি মজ্জায় জড়িত
গহনাগুলোর মধ্যে একজোড়া এয়ারিং ছিল
হরিশের সর্বত্র খাতির রয়েছে
নানা রকম বাদ্যযন্ত্রের ঐকতানকে কন্সার্ট বলে
দুই তিন মিনিট পর গাড়ি এলো
অনুপম কল্যানীকে রজনীগন্ধার মঞ্জুরীর সাথে তুলনা করেছেন
সেকরা দাড়িপাল্লা ও কষ্টিপাথর নিয়ে মেজের উপর বসল।
জায়গা আছে উক্তিটি কল্যানীর
মামা যদি মনু হতেন তাহলে হাবড়ার পুল পার করা একবারে নিষেধ করতে
গল্পের নায়িকা কল্যানী বুদ্ধিমতী,মেধাবী,শিক্ষিত
এককালে শম্ভুনাথের বংশে লক্ষ্মীর মঙ্গলঘট ভরা ছিল
বিনুদার রুচি ও দক্ষতার উপর অনুপমের ষোল আনা আস্হা রয়েছে
অনুপম নিজেকে অন্নপূর্নার কোলে গজাননের ছোট ভাই রূপে কল্পনা করেছেন
শম্ভুনাথ বাবুর ঠাট্টার সম্পর্কটাকে স্হায়ী করার ইচ্ছে নেই
ভারতের গয়া অঞ্চলের অন্তঃসলিলা নদীর নাম ফল্গু
গল্পে বলিষ্ঠ ব্যক্তিত্বের অধিকারী কল্যানী
বাপের বড়ো আদরের মেয়ে কল্যানী
মামা প্রতিজ্ঞা করেছেন কারো কাছে ঠকবেন না
অনুপমের বিয়ে ভেঙে যায় মামার হীন ব্যবহারের কারনে
মামার নিষেধ অমান্য করে অনুপম কানপুরে এসেছেন কল্যানীর সাথে দেখা করতে
বিয়ের আসর থেকে বরযাত্রীর প্রস্হানকে অনুপম দক্ষযজ্ঞের সাথে তুলনা করেছেন
বিয়ের আসরে মামা অনুপমের সামনে অবস্হান করে মূর্তিমতী মাতৃ আজ্ঞা রূপে
অনুপমের কাছে টিকিট ছিল ফার্স্ট ক্লাসের
পরীক্ষা করার জন্য স্যাকরা নিয়েছিলল মকরমুখা বালা
অনুপমের মামা গুড়গুড়ির পরিবর্তে ব্যবহার করতে চান-বাঁধাহুকা
অপরিচিতা গল্পে উল্লেখ আছে-শিমুল,বকুল,রজনীগন্ধা ফুল
বাগধারা-এসপার ওসপার, ধনুক ভাঙা পণ, উপরি পাওনা, হাবড়ার পুল, কোলে কোলে মানুষ
শম্ভুনাথের বন্ধু না থাকলে বিবাহ গোড়াতেই নষ্ট হতো
রেলের কামরার দুটি বেঞ্চ রিজার্ভ করা ইংরেজ জেনারেল সাহেবের জন্য
কল্যানী যাত্রী ছিল সেকেন্ড ক্লাসের
অনুপম যাত্রী ছিল ফার্স্ট ক্লাসের
অনুপম নিজের চোখে পাত্রী দেখার কথা বলতে পারলেন না সাহস নেই বলে
কল্যানীর বাবা বিয়ের তিন দিন আগে অনুপমকে আশীর্বাদ করেন
স্টেশনে কল্যানীকে নিতে এসেছিল-হিন্দুস্তানি চাকর
কল্যানীর নাম শুনে চমকে উঠল-অনুপম ও তার মা
শম্ভুনাথ বাবু বংশমর্যাদা রক্ষায় পশ্চিমে বসবাস শুরু করেন
মামার সঙ্গে মা পাত্রীদের দুরবস্থার কথা ভেবে একযোগে হাসলেন
মামা অনুপমদের সংসারে গর্বের সামগ্রী আশ্চর্য পাকা লোক বলে
বরযাত্রীর বাদ্য বাজনাকে অনুপম অভওহিত করেছেন বর্বর কোলাহল বলে
বিবাহ বাড়িতে প্রবেশ করে মামা খুশি হন নি
অনুপম প্রস্তুত হইয়াছে অন্তঃপুরের শাসন চলার মতো করে
উপরিপাওনা বাগধারাটি গল্পে ব্যবহৃত হয়েছে অধিক লজ্জা অর্থে
অভ্রের ঝাড়গুলো আপনার কর্তব্যের বরাত দিয়েছিল-আকাশের তারার উপর
0 মন্তব্যসমূহ