সমাজবিজ্ঞান প্রথম পত্র - দ্বিতীয় অধ্যায় - গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন

  


প্রশ্ন -১ . ইংরেজি ‘ Science ' শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে কোন শব্দ থেকে ?

 উত্তর : ইংরেজি ‘ Science ' শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে ল্যাটিন ' Scientia ' শব্দ থেকে । 

প্রশ্ন -২ . “ বিজ্ঞান বলতে বোঝায় কার্যকারণ সূত্রে গ্রথিত জ্ঞান ” – সংজ্ঞাটি কার ?

 উত্তর : “ বিজ্ঞান বলতে বোঝায় কার্যকারণ সূত্রে গ্রথিত জ্ঞান ” – সংজ্ঞাটি ব্রিটিশ দার্শনিক টমাস হবস - এর । 

প্রশ্ন -৩ . বিজ্ঞান কী ?

 উত্তর : পরীক্ষা , প্রমাণ , যুক্তি ইত্যাদি দ্বারা নির্ণীত সুশৃঙ্খল ধারাবাহিক জ্ঞানই হচ্ছে বিজ্ঞান ।

 প্রশ্ন -8 . ' Science in History ' গ্রন্থটি কার ?

 উত্তর : ' Science in History ' গ্রন্থটি আইরিশ বিজ্ঞানী জে . ডি . বার্নাল - এর । 

প্রশ্ন -৫ . অগবার্ন ও নিমকফের মতানুসারে বিজ্ঞানের কয়টি সাধারণ নিদর্শন থাকবে ? 

উত্তর : আমেরিকান সমাজবিজ্ঞানী অগবার্ন ও নিমকফ - এর মতানুসারে বিজ্ঞানের তিনটি সাধারণ নিদর্শন থাকবে । যথা ১. তথ্য ও সূত্রগুলোর নির্ভরযোগ্যতা , ২. জ্ঞানের সংগঠিত রূপ এবং ৩. অনুশীলনের বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি । বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির সংজ্ঞা ; এর নীতিমালা ও বৈশিষ্ট্য 

প্রশ্ন -৬ . বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি কী ? ( ঢা . বো , রা . বো . , দিবো , চ.বো. , সি . বো , য . বো . ১৯ রাবো , ব.বো. ১৭  সকল বোর্ড ১৫ 

উত্তর : সুসংঘবদ্ধ জ্ঞান প্রতিষ্ঠার জন্য পরিচালিত কিছু সংখ্যক নীতির সমষ্টিকে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি বলে ।

 প্রশ্ন -৭ . জি . এ . লুন্ডবার্গের মতে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি কী ?

 উত্তর : আমেরিকান সমাজবিজ্ঞানী জি . এ . লুন্ডবার্গ ( George Andrew Lundberg ) - এর মতে “ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি হলো তথ্যরাজির এক ধারাবাহিক পর্যবেক্ষণ ও শ্রেণিকরণ । ” 

প্রশ্ন -৮ . বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির প্রধান বৈশিষ্ট্য কী ?

 উত্তর : বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো বস্তুনিষ্ঠতা ।

 প্রশ্ন -৯ . এবনে গোলাম সামাদ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির কয়টি পর্যায় উল্লেখ করেছেন ? 

উত্তর : বাংলাদেশি বিজ্ঞানী এবনে গোলাম সামাদ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির তিনটি পর্যায় উল্লেখ করেছেন ।

 প্রশ্ন -১০ . বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির প্রথম স্তর কোনটি ? 

উত্তর : বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির প্রথম স্তর হচ্ছে সমস্যা নির্বাচন । 

প্রশ্ন -১১ . কোনো বিজ্ঞানী নিজের মতো করে সংজ্ঞা প্রদান করলে তাকে কী বলে ? 

উত্তর : কোনো বিজ্ঞানী নিজের মতো করে সংজ্ঞা প্রদান করলে তাকে ‘ কার্যকরী সংজ্ঞা ’ বলে । 

প্রশ্ন -১২ . গবেষণার মূল লক্ষ্য কী ? 

উত্তর : গবেষণার মূল লক্ষ্য বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি প্রয়োগে প্রশ্নসমূহের উত্তর অনুসন্ধান । 

প্রশ্ন -১৩ . অনুকল্প কী ? 

উত্তর : অনুকল্প হচ্ছে গবেষণার ফলাফল সম্পর্কে পূর্বানুমান করা । 

প্রশ্ন -১৪ . বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের প্রধান নির্ধারক কোনটি ? 

উত্তর : বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের প্রধান নির্ধারক হচ্ছে সাধারণীকরণ । 

 -১৫ . তথ্য সংগ্রহের পর গবেষককে কী করতে হয় ? 

উত্তর : তথ্য সংগ্রহের পর গবেষককে নির্ভরযোগ্যতা ও যথার্থতা নিশ্চিত করতে হয় । 

প্রশ্ন -১৬ . সামাজিক গবেষণার শেষ ধাপ কোনটি ? 

উত্তর : সামাজিক গবেষণার শেষ ধাপ হচ্ছে , গবেষণাকৃত বিষয় সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করা ।

 প্রশ্ন -১৭ . সমাজবিজ্ঞানের গবেষণার প্রধান বিষয়বস্তু কী ?

 উত্তর : সমাজবিজ্ঞানের গবেষণার প্রধান বিষয়বস্তু মানবসমাজ । 

প্রশ্ন -১৮ . প্রকৃতিগত দিক থেকে সমাজবিজ্ঞানের গবেষণার বিষয়বস্তু কীরূপ ?

 উত্তর : প্রকৃতিগত দিক থেকে সমাজবিজ্ঞানের গবেষণার বিষয়বস্তু অবস্তুগত । 

প্রশ্ন -১৯ . পদ্ধতি কী ? 

উত্তর : পূর্ণাঙ্গ ও ব্যাপকতার সাথে কোনো কিছু সম্পন্ন করতে হলে যে পন্থার সাহায্য নিতে হয় তাই পদ্ধতি । 

প্রশ্ন -২০ . পদ্ধতির ইংরেজি প্রতিশব্দ কী ? 

উত্তর : পদ্ধতির ইংরেজি প্রতিশব্দ হচ্ছে ' Method ' | 

প্রশ্ন -২১ . সামাজিক বিজ্ঞানের আলোচনা ও অনুশীলনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে প্রাচীন পদ্ধতি কোনটি ? 

উত্তর : সামাজিক বিজ্ঞানের আলোচনা ও অনুশীলনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে প্রাচীন পদ্ধতি হচ্ছে দার্শনিক পদ্ধতি । 

প্রশ্ন -২২ . ঐতিহাসিক পদ্ধতি কাকে বলে ?

 উত্তর : ঐতিহাসিক বর্ণনার ভিত্তিতে অতীত ঘটনা সম্পর্কে যুক্তিনির্ভর গবেষণা প্রচেষ্টাকে ঐতিহাসিক পদ্ধতি বলে । 

প্রশ্ন -২৩ , ঘটনা অধ্যয়ন পদ্ধতি কাকে বলে ?

 উত্তর : একাধিক প্রপঞ্চ বা ঘটনা পর্যবেক্ষণ করে একটি সাধারণ সূত্রে উপনীত হওয়ার প্রচেষ্টাকে ঘটনা অধ্যয়ন পদ্ধতি বলে । 

প্রশ্ন -২৪ . কে সর্বপ্রথম সামাজিক বিজ্ঞানে ঘটনা অনুধ্যান পদ্ধতি ব্যবহার করেন ? 

উত্তর : ফরাসি অর্থনীতিবিদ ও সমাজবিজ্ঞানী ফ্রেডারিক লো প্লে সর্বপ্রথম সামাজিক বিজ্ঞানে ঘটনা অনুধ্যান পদ্ধতি ব্যবহার করেন । 

প্রশ্ন -২৫ . সমাজবিজ্ঞানে ব্যবহৃত কোন পদ্ধতিতে এক বা একাধিক ঘটনা পর্যবেক্ষণ করা হয় ? 

উত্তর : সমাজবিজ্ঞানে ব্যবহৃত কেস্ স্টাডি পদ্ধতিতে এক বা একাধিক ঘটনা পর্যবেক্ষণ করা হয় ।

 প্রশ্ন -২৬ . প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণমূলক পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি কী ? 

উত্তর : যে গবেষণায় গবেষক গবেষণার লক্ষ্যে দলের মধ্যে উপস্থিত থেকে তাদের দৈনন্দিন আচার - আচরণ , মনোভাব ও দৃষ্টিভঙ্গির সাথে সম্পৃক্ত থাকেন , তাকেই প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণমূলক পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি বলে ।

প্রশ্ন -২৭ . পলিন ভি . ইয়ংয়ের মতে , সামাজিক জরিপ কী ? 

উত্তর : আমেরিকান গবেষক ও শিক্ষাবিদ পলিন ডি . ইয়ং বলেন , “ সামাজিক অগ্রগতির জন্য গঠনমূলক কর্মসূচি প্রণয়নের উদ্দেশ্যে সামাজিক অবস্থা ও চাহিদার ওপর বৈজ্ঞানিক উপায়ে সম্পন্ন অনুসন্ধানকে সামাজিক জরিপ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা যায় । " 

প্রশ্ন -২৮ . সামাজিক জরিপকে কয় ভাগে ভাগ করা হয় ?

 উত্তর : সামাজিক জরিপকে দুই ভাগে ভাগ করা হয় । যথা- নমুনা জরিপ ও পূর্ব গণনামূলক জরিপ ।

 প্রশ্ন -২৯ . কোন পদ্ধতিতে Micro Level- এ গবেষণা করা যায় ?

 উত্তর : ঘটনা জরিপ পদ্ধতিতে Micro Level- এ গবেষণা করা যায় । 

প্রশ্ন -৩০ . কোন পদ্ধতিতে সামাজিক ঘটনাবলির গাণিতিক পরিমাপ নির্ণয় করা যায় ? 

উত্তর : সামাজিক পরিসংখ্যান পদ্ধতিতে সামাজিক ঘটনাবলির গাণিতিক পরিমাপ নির্ণয় করা যায় । 

প্রশ্ন -৩১ . তুলনামূলক পদ্ধতি কী ? উত্তর : সাম্প্রতিক কোনো সামাজিক প্রপঞঞ্চ অতীতে কেমন ছিল তা এবং বর্তমান সময়ের অবস্থা কী সেসব জেনে এর অতীত ও বর্তমানের মধ্যে একটি তুলনামূলক আলোচনাকেই তুলনামূলক পদ্ধতি বলা হয় । 

প্রশ্ন -৩২ . অন্তর্নিহিত নানা ঘটনা উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে কোন পদ্ধতি খুবই ফলপ্রসূ ? 

উত্তর : অন্তর্নিহিত নানা ঘটনা উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণমূলক পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি খুবই ফলপ্রসু ।

 প্রশ্ন -৩৩ . কে সামাজিক ঘটনা বিশ্লেষণে সংখ্যাতাত্ত্বিক সর্বপ্রথম পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন ? 

উত্তর : আমেরিকান সমাজবিজ্ঞানী ফ্রাংকলিন এইচ . গিডিংস সর্বপ্রথম সামাজিক ঘটনা বিশ্লেষণে সংখ্যাত াত্ত্বিক পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ