চির তরুন ও তরুণী থাকার টিপস

 


 খুব ধীরে ধীরে চেষ্টা করতে করতে কয়েক মাসের

মধ্যে সকালে ঘুম থেকে উঠে চার গ্লাস পানি

খাওয়ার অভ্যাস করুন। এর পর বাথরুমে যান।

 বাথরুম থেকে ফিরে এসে আরও এক গ্লাস পানি

খান এবং তার পর খান দুধ ছাড়া খুব হালকা এক

কাপ চা। আপনার ওজন বেশি হলে চিনি খাওয়া ছেড়ে

দিন। চা কখনোই অতিরিক্ত গরম খাবেন না।

 সারা দিনে ৮ থেকে ১২ গ্লাস বাড়তি পানি

খাবেন।

 পানি খাওয়ার নাম হচ্ছে হাইড্রোথেরাপি রা

জলচিকিৎসা। মূলত এটি হচ্ছে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার

বছরের প্রাচীন ভারতীয় চিকিৎসা। আধুনিক

বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে- ঘুম থেকে

উঠে ধীরে ধীরে চার গ্লাস পানি খাওয়ার অভ্যাস

করলে প্রায় ৩৬ ধরণের রোগ হয় না এবং হলেও

সেরে যায়।

 অপর পক্ষে, দুধহীন এবং দুধ-চিনি-হীন হালকা

গরম চা হচ্ছে আড়াই হাজার বছর আগের একটি

চায়নিজ হারবাল মেডিসিন । সেকালে এই চা দিয়ে

হার্ট, ব্লাড প্রেসার (উচ্চ রক্তচাপ) ও পেটের

নানা রকম রোগের চিকিৎসা করা হতো। আবার

আধুনিক বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে- চায়ে

রয়েছে অ্যান্টিঅিডেন্ট, যা ক্যান্সার প্রতিরোধে

নিশ্চিত অবদান রাখে। এ ছাড়াও অন্য বহুগুণ

রয়েছে চায়ে। তবে যে চা-টা প্রক্রিয়াজাত হয়নি, সে

চায়ের গুণাগুণই অপেক্ষাকৃত ভালো।

 ভিটামিন সি একটি বৈপ্লবিক খাদ্যপ্রাণ এর

গুণাগুণ অসংখ্য। জানা গেছে, দিনে ১ হাজার

মিলিগ্রাম ভিটামিন সি খেলে মানুষ চির তরুণ থাকে।

তবে ট্যাবলেট খেলে কিছুই উপকার পাওয়া যায় না।

প্রতিদিনই কমবেশী খেতে হবে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ

তাজা ফলমূল। ভিটামিন সিও ক্যান্সার ঠেকাতে

সাহায্য করে। আমলকি, সব ধরনের লেবু, টমেটো,

কমলা, পেয়ারা, নানা রকর টক স্বাদের ফলে

বিভিন্ন মাত্রায় ভিটামিন সি রয়েছে।

 ধূমপানসহ সকল ধরণের নেশা জাতীয় অভ্যাস

ত্যাগ করুণ। কারণ নেশা মানুষকে সকল দিক দিয়ে

ধ্বংস করে দেয়।

 রেডমিট অর্থাৎ গরু, মহিষ, খাসি, ভেড়া

ইত্যাদির মাংস খাওয়া ছেড়ে দিতে হবে। ফার্মের

মুরগিও চলবে না। শুধু চর্বিহীন বাচ্চা মুরগির মাংস

খাওয়া চলতে পারে।

 প্রচুর পরিমাণে আধা-সেদ্ধ শাক-সবজি,

তরিতরকারি এবং খুব অল্প পরিমাণে ভাত-রুটি

খাওয়া উচিত।

ভাজাভুজি খাবেন না। অতিরিক্ত তেল, চর্বি, ঘি,

মাখন খাবেন না। মসলার বিভিন্ন ভেষজ গুণ আছে,

তবুও রান্নায় খুব বেশি মসলা ব্যবহার করবেন না।

 সালাদ হিসাবে প্রতিদিন বেশি করে খাবেন

কাঁচা লেটুস পাতা, পুদিনা পাতা, টমেটো ইত্যাদি।

 বিধিনিষেধ না থাকলে সকালে খালি পেটে এক

চামচ মধু খাবেন।

 ছোট-বড় সব ধরনের মাছ খাবেন। সমুদ্রের

মাছ খাওয়া অভ্যাস করতে পারলে তো খুবই ভালো।

কেননা, এটা মহৌষধ। গাদা-গাদা মাছের কাটা খাওয়া

ঠিক নয়। ওতে পাকস্থলিতে পাথর হতে পারে।

 সূর্যমূখী ফুলের বীজ হচ্ছে হার্টের ভেষজ

ওষুধ। রান্নায় সূর্যমূখী তেল ব্যবহার করলে

হার্টের সুরক্ষা যেমন হয়, তেমনি হার্টের অসুখ

থাকলে তা সারাতে সাহায্য করে।

 প্রতিদিন অল্প একটু টক দই খাওয়ার অভ্যাস

করুন। টক দই উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে আনতে

সাহায্য করে ।

পর্যাপ্ত না ঘুমালে আমাদের যে অপুরনীয় ক্ষতি হয় ।

একজন সুস্হ মানুষের সুস্হ থাকার জন্য দৈনিক ৭ থেকে ৯ ঘন্টা ঘুমানো প্রয়োজন।

বর্তমান বিশ্বের প্রায় এক তৃতীয়াংশ মানুষ পর্যাপ্ত ঘুমায় না।

প্রতিদিন ৬ ঘন্টার নীচে ঘুমালে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হবে, ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বাড়বে।


Immune system যেমন দুর্বল হবে পাশাপাশি Inflammation (প্রদাহ) বাড়তে থাকবে, শরীরে যত ব্যাথা বেদনা বা বাতের ব্যাথা এগুলো বাড়তে থাকবে এবং অনেক ধরনের Inflammatory রোগে আপনি আক্রান্ত হবেন যেমন: Asthma, Arthritis etc.

পর্যাপ্ত ঘুম ব্যাতীত শরীর তার পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার (Detoxification) কাজ করতে পারে না অর্থাৎ শরীরে Toxin জমতে থাকে বিশেষ করে Brain  detoxify হতে পারে না।

স্বাভাবিক অবস্হার চাইতে ঘুমের ভেতর ১০ ভাগ বেশী Detoxification হয় Brain এ জমে থাকা Metabolic end product পরিস্কার হয়।

বয়স বাড়ার সংগে সংগে স্মৃতি শক্তি হারাতে থাকবে এবং Brain এর কার্যকারীতা কমতে থাকবে; Alzheimer’s রোগে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি বাড়বে।

এক সপ্তাহের ঘুমের ব্যাঘাতে হতে পারেন আপনি Pre-Diabetic patient.

আপনার Testosterone level significantly কমে যাবে আপনি হবেন নাম পুরুষ।নারী পুরুষ উভয়ের যৌন ক্ষমতা এবং আকাংখা কমে যাবে।

পর্যাপ্ত ঘুম না হলে আপনার রক্তনালী Block হয়ে যেতে পারে এবং বিভিন্ন Cardiovascular সমস্যা দেখা দিতে পারে যেমন : Brain Stroke , Congestive Heart Failure.


বিভিন্ন মানসিক সমস্যার একটা মুল কারন হল অপর্যাপ্ত ঘুম যেমন : Anxiety, Depression, এমনকি অনেকে আত্নহত্যাও করে ফেলেন।

ঘুম কম হলে আপনার অকারনে বার বার ক্ষুদা লাগবে এবং অস্বাস্হ্যকর খাবারের প্রতি আসক্ত হবেন।

ওজন বাড়ার এবং (মিস্টি জাতীয় খাবারের প্রতি আকর্ষন)/ Sugar addiction এর একটা মুল কারন হল sleep deprivation.

যদি ওজন কমেও ঘুম না হলে আপনার মুল্যবান Muscle loss করবেন হাত পায়ের মাংসপেশী শুকিয়ে যাবে; কিন্তু পেটের চর্বি কমবে না। 

আপনার মেজাজ থাকবে তিরিক্ষি, অকারনে মন খারাপ হবে, সব কিছু অসহ্য লাগবে আর শুধু বাজে এবং নেগেটিভ চিন্তা আসবে, ধৈর্য্য আপনার জীবন থেকে পালাবে, মাথা থাকবে গরম, শরীরে হবে জ্বালা পোড়া কোন কাজে উৎসাহ পাবেন না নিজেকে অলস মনে হবে Motivation বলে কিছু থাকবে না।


আর আপনাকে দেখতে বয়স্ক লাগবে, চেহারায় বয়সের ছাপ বড়বে সতেজতা চলে যাবে চোখের নীচে কালো দাগ হয়ে যাব skin নস্ট হবে, চেহারার উজ্জ্বলতা চলে যাবে। 

পৃথিবীতে মানুষই বোধ হয় একমাত্র প্রানী যে কিনা রাতের ঘুম নস্ট করে নিজের ক্ষতি নিজেই করে এবং এত ক্ষতি জানার পরও অনেক সময় অকারনে রাত জাগে।


ডাঃ- দেবী শেঠী


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ